সিলেট ব্যুরো
সিলেটের সব উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) কবির আহামদ। নগরভবনে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় চলমান প্রকল্পবিষয়ক পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভায় রোববার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই তাগিদ দেন। তিনি বলেন, আমরা সিলেটবাসীর কোনো ভোগান্তি চাই না। তাই যথাযথ মান ঠিক রেখে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্পসহ চলমান সব প্রকল্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খান মো: রেজা-উন-নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান (যুগ্মসচিব) মো: হায়দর আলী ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সচিব মো: আশিক নূরের পরিচালনায় সভায় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত অধিদফতরসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কবির আহামদ সিলেটের উন্নয়ন কাজের প্রশংসা করে বলেন, আমরা ১০টি সিটি করপোরেশন ভিজিট করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে সিলেট সবগুলো নগরের চেয়ে পরিচ্ছন্ন। আমরা এ ক্ষেত্রে অন্যান্য সিটি করপোরেশনে সিলেটকে পাইওনিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করব। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খান মো: রেজা-উন-নবী বলেন, মানুষ সিলেট নগরীকে একটি স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে দেখতে চায়। আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই কাজ করছি। সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক বাতির উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা কাজ করছি।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিটি করপোরেশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা নতুন কিছু আইডিয়া নিয়ে এই বিভাগের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার চেষ্টা করছি। হোল্ডিংগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে আমরা একটা নীতিমালা করছি, যেটি শেষ পর্যায়ে আছে।
জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেট অংশের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে কাজ করছি। আশা করছি নভেম্বরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তিনি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পার্কিং স্পেস না থাকা, হাসপাতালে জলাবদ্ধতা, নগরীর যানজটসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।



