বিনোদন প্রতিবেদক
৫ অক্টোবর ২০১২, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। কারণ ওই দিনই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ডিজিটাল যুগের যাত্রা শুরু হয় শাহীন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রং’ সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে। আর এই সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ডিজিটাল যুগের প্রথম নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহির। প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন মাহিয়া মাহি। এরপর মাহিয়া মাহি জাকির হোসেন রাজুর ‘পোড়ামন’ সিনেমাতে চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের বিপরীতে অনবদ্য অভিনয় করে ব্যাপক আলোচনায় চলে আসেন। এই সিনেমার প্রেমের কলসী, পোড়ামন পোড়ামন, জ্বলে জ্বলে জোনাকি দিয়ে যায় আলো গানগুলো দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে। নায়িকা হিসেবে মাহিয়া মাহি চলে আসেন আলোচনায়। এরপর ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘অগ্নি’ সিনেমাতে নাম ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করে মাহিয়া মাহি তার প্রজন্মের সেরা নায়িকা হিসেবে আলোচনার শীর্ষে চলে আসেন। এরপর দবির সাহেবের সংসার, হানিমুন, অনেক সাধের ময়না, দেশা দ্য লিডার, অগ্নি-২, রোমিও বনাম জুলিয়েট, ওয়ার্নিং, কৃষ্ণপক্ষ, ঢাকা অ্যাটাক, পবিত্র ভালোবাসা, নবাব এলএলবি, যাও পাখি বলো তারে, জান্নাতসহ আরো বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জান্নাত’ সিনেমাতে নাম ভূমিকায় মাহি তার অভিনয় দিয়ে দর্শকের মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। আর এই সিনেমাতেই অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এবার তাকে গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ‘ভায়োলেটস গ্রুপস’ আয়োজিত’ (ঠরড়ষবঃং এৎড়ঁঢ়, গরপযরমধহ, টঝঅ) একটি অনুষ্ঠানে ‘বেস্ট অ্যাক্ট্রেস’ হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। ‘ভায়োলেটস’-এর সিইও শারমিন তানিম স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। ‘জান্নাত’ সিনেমাতে অনবদ্য অভিনয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কমার্শিয়াল নায়িকাদের মধ্যে তিনি কৃতিত্ব অর্জন করায় এবং অভিনয়ে দক্ষতার কারণেই তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘সিনেমাতে অভিনয় জীবনের এক যুগেরও বেশি সময়ের পথচলায় বাংলা ভাষাভাষী কোটি কোটি দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি।



