আরো ৬০ লাখ ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে

১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম

বিশেষ সংবাদদাতা
Printed Edition

নতুন করে ৬০ লাখ ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে। সেই সাথে ভোটার তালিকা থেকে সাড়ে ২০ লাখ ভোটারও বাদ দেয়া হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোটার তালিকা হালনাগাদকার্যক্রমে সম্প্রতি মাঠ পর্যায় থেকে আসা তথ্য একীভূত করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)। এদিকে, ঈদ পরবর্তী কর্মকর্তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এস এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আপনারা খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটার নিবন্ধনের মতো অসাধ্য কাজ সাধন করেছেন। আপনারা খুবই ভালো কাজ করছেন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ সরকারকে সময়ে সময়ে জানানো হচ্ছে।

গতকাল নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়ে চার কমিশনার ও ইসি সচিবও উপস্থিত ছিলেন। সিইসি বলেন, এনআইডি ও সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ নির্বাচনের সব কাজ ভালোভাবে এগোচ্ছে।

ইসির এনআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত মোট ৬০ লাখ ৮৩২ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২৮ লাখ ২৯ হাজার ২২৮ জন, নারী ভোটার রয়েছে ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৯ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছে এক হাজার ৫৫ জন। তাদের মধ্যে ছবি তুলে ও আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৪৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৪ জন। এ ছাড়া মারা যাওয়ায় ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৬ জনকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। যার মধ্যে পুরুষ মৃত ভোটার বাদ যাবে ১১ লাখ ৮১ হাজার ২০৫ জন, নারী মৃত ভোটার বাদ যাবে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৫০ জন এবং হিজড়া মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে ৫৭৩ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধনকার্যক্রম চলবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন তারা অনলাইনে ফরম পূরণ করে নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন।

জানা যায়, ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)। এ ছাড়া রয়েছে, এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রসিদের ফটোকপি)। ভোটার হওয়ার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে ইসি। নিজের নাম, বাবা-মার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সাথে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে; জন্মতারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষাসনদ অনুযায়ী হতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে; কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলমান রয়েছে। এতে আরো প্রায় ৬০ লাখের বেশি ভোটার আগামী জুনে তালিকায় যুক্ত করবে ইসি।