সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বছরের জুলাইয়ে রাস্তায় নেমে আসে ছাত্র-জনতা। আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিশেষ আদালত শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন তার আস্থাভাজন গুলির নির্দেশদাতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ভোল পাল্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দফতরে পদায়ন, উপদেষ্টার একান্ত সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছেন।
গত বছরের জুলাই মাসের প্রথম দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দমন করতে সারা দেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালানো হয়। বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা সরকারের অনুগত লোকদের নামিয়ে দেয়া হয় রাস্তায়। অহিংস এই আন্দোলন ক্রমান্বয়ে সহিংস রূপ নেয় ১৫ জুলাই থেকে।
জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিহত করতে তাদের ওপর গুলি চালাতে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। গত বছরের ২০ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতি থেকে জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান এবং শান্তিশৃঙ্খলা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা জেলা ও মহানগর এলাকায় ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে, সশস্ত্রবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনাকালে আইনগত দিকনির্দেশনা প্রদান ও দায়িত্ব পালনের জন্য নি¤œ ছকে বর্ণিত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০ কর্মকর্তা দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক তাদের নামের বর্ণিত অধিক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত আইনগুলোয় এবং নি¤œবর্ণিত শর্তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকাতে সংযুক্ত করা হলো। এইভাবে ৩০ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ১৯ জনকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সহিংস পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল অথবা আওয়ামী পরিবারের সদস্য এমন কর্মকর্তাদের প্রাধান্য দেয়া হয়। সম্ভাব্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের ৩০, ৩১ এবং ৩৩ ব্যাচের ৭৮৩ জন কর্মকর্তার মধ্যে স্বৈরাচারী সরকারের আস্থাভাজন এমন ৩৯ জনকে বাছাই করে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০তম ব্যাচের ১৬ জন, ৩১তম ব্যাচের ১৬ জন এবং ৩৩তম ব্যাচের সাতজন কর্মকর্তা রয়েছেন। যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে আওয়ামী শাসনামলের ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে।
জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩০ জুলাই ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন হওয়া তালিকায় ৫ নম্বরে রয়েছেন তৎকালীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সারোয়ার। এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ (এপিডি) উইংয়ে কর্মরত থেকে উপসচিব পদোন্নতিও বাগিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি পদায়ন নিয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টার দফতরের পরিচালক হিসেবে। এর আগে আওয়ামী শাসনামলে তিনি রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পান অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এই কর্মকর্তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গত বছরের ২০ জুলাইয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ পাওয়া তালিকার ৬ নম্বরে থাকা সত্যজিত রায় দাশ। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩০ ব্যাচের এই কর্মকর্তার ভাই বিশ্বজিত রায় দাশ খাগড়াছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২০ জুলাইয়ে তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছেন স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের উপসচিব সুজিৎ দেবনাথ। এই কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে গত চার বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তালিকার ২ নম্বরে থাকা আবদুল্লাহ আল জাকী রয়েছেন নদী রক্ষা কমিশনের উপপরিচালক হিসেবে। এই কর্মকর্তা হাসিনার শাসনামলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, নরসিংদীর এডিসি, গাজীপুর সদরের ইউএনও এবং নারায়ণগঞ্জ সদরের এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন।
তালিকার ৩ নম্বরে রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুবায়েত হায়াত শিপলু। এই কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত ভোটে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং সোনারগাঁও উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন।
তালিকার ৪ নম্বরে থাকা নিকারুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব হিসেবে কাজ করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ভাই হওয়ার পরে এই কর্মকর্তা সম্প্রতি উপসচিব পদোন্নতি পেয়েছেন। কাজ করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হিসেবে। ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এই কর্মকর্তা।
তালিকার ৫ নম্বরে থাকা পারভেজুর রহমান রয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে। এর আগে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, কেরানীগঞ্জের এসিল্যান্ড, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদরের সহকারী রিটার্নিং অফিসার, সাভারের ইউএনও এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছেন।
তালিকার ৭ নম্বরে থাকা তুষার আহমেদ রয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে, ৮ নম্বরে থাকা শরিফুল আলম তানভীর রয়েছেন ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক হিসেবে, ৯ নম্বরে থাকা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ রয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উপব্যবস্থাপক হিসেবে, ১০ নম্বরে থাকা হুমায়ুন কবীর রয়েছেন রাজবাড়ীর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে, ১১ নম্বরের নজরুল ইসলাম রয়েছেন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১) এর সহকারী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে, ১২ নম্বরে থাকা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান রয়েছেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে, ১৩ নম্বরে থাকা মেহেদী হাসান রয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে, ১৪ নম্বরে থাকা খন্দকার রবিউল ইসলাম রয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে, ১৫ নম্বরে থাকা কবীর হোসেন রয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে, ১৬ নম্বরে থাকা বিপুল চন্দ্র দাস রয়েছেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে, ১৭ নম্বরে থাকা আব্দুল আউয়াল রয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে, ১৮ নম্বরে থাকা এস এম মুনিম
৩০ জুলাইয়ে পদায়ন হওয়া ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকায় প্রথমে রয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান। এর আগে এই কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের এডিসি, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার ইউএনও, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছেন। তালিকায় দুই নম্বরে থাকা বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা সম্প্রতি উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এর আগে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনার কয়রা উপজেলার ইউএনও, এর আগে নড়াইল সদর উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেব কাজ করেছেন তিনি।
তালিকার ৩ নম্বরে থাকা ¯েœহাশীষ দাশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থেকে সম্প্রতি উপসচিব পদোন্নতিও পেয়েছেন। এর আগে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, চাঁদপুরের মতলব ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
তালিকার ৪ নম্বরে থাকা শফিকুল ইসলাম রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ২০১৮ এর বিতর্কিত নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তালিকার ৬ নম্বরে মো: মাজহারুল ইসলাম সম্প্রতি উপসচিব পদোন্নতির পাশাপাশি সৌদিতে বাংলাদেশ হজ অফিসের কনসাল (হজ) পোস্টিংও বাগিয়ে নিয়েছেন।
৭ নম্বরে থাকা বিকাশ বিশ্বাস জননিরাপত্তা বিভাগে বহাল থেকে সম্প্রতি উপসচিব পদোন্নতিও বাগিয়ে নিয়েছেন। ৮ নম্বরে থাকা দেবাংশু কুমার সিংহ অর্থ বিভাগে বহাল থেকে উপসচিব পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। মাঠ প্রশাসনে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
৯ নম্বরে থাকা লিটন সরকার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক হিসেবে বহাল রয়েছেন। ১০ নম্বরে থাকা প্রত্যয় হাসান স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বহাল রয়েছেন। ১১ নম্বরে থাকা বি এম রুহুল আমিন রিমন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক, ১৩ নম্বরে থাকা আক্তারুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদায়ন পেয়েছেন। ১৪ নম্বরে থাকা নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, ১৫ নম্বরে থাকা মো: ইয়াসিন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। ১৬ নম্বরে থাকা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী রয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে, ১৭ নম্বরে থাকা অমিত দেবনাথ রয়েছেন গোপালগঞ্জের জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে। বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের ভাগ্নে পরিচয়ে দাপটের সাথে চাকরি করেছেন। ছিলেন ঢাকার লালবাগ সার্কেল এবং নরসিংদীর পলাশ উপজেলার এসিল্যান্ড। ইউএনও হিসেবে চাকরি করেছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়। রাজউকের উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থ
১৮ নম্বরে থাকা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু কর্মরত রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে, ১৯ নম্বরে থাকা আতিকুল ইসলাম রয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে।
গুলি চালানোর নির্দেশদাতা এসব ম্যাজিস্ট্রেটের প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষরকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।



