জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হানিয়া আমিরকে জাতিসঙ্ঘের নারী সংস্থা (ইউএন উইমেন)-এর নতুন জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সংস্থাটি গত বুধবার ইনস্টাগ্রামে এই ঘোষণা দেয়। হানিয়া হলেন পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই সম্মান পেলেন; এর আগে ২০১৫ সালে মানবাধিকার কর্মী মুনিবা মাজারি একই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
অভিনয় দক্ষতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সাবলীল উপস্থিতির জন্য পরিচিত হানিয়া আমির, তার নতুন এই ভূমিকায় পাকিস্তানের নারী ও মেয়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাদের জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রেরণা দেয়া এবং তাদের কণ্ঠস্বরকে জোরালো করতে নিজের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন। ইউএন উইমেনের পাকিস্তান অফিস তাদের পোস্টে জানিয়েছে, এই অভিনেত্রীর সাথে তারা এমন একটি ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী, যেখানে ‘প্রতিটি নারী ও মেয়ে সহিংসতা, বৈষম্য এবং বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়ে তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে পারবে।’
দক্ষিণ এশিয়া থেকে হানিয়া এই মর্যাদাপূর্ণ শুভেচ্ছাদূতদের তালিকায় মুনিবা মাজারি ছাড়াও যোগ দিলেন ভারতীয় অভিনেতা ফারহান আখতার এবং ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সাথে। আন্তর্জাতিকভাবে, ইউএন উইমেনের শুভেচ্ছাদূতদের মধ্যে রয়েছেন এমা ওয়াটসন, নিকোল কিডম্যান এবং অ্যান হ্যাথাওয়ের মতো তারকারা।
জাতিসঙ্ঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তানে জাতীয় দূত হিসেবে আছেন ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য ফাওয়াদ খান, ইউএন হাই কমিশনার ফর রিফিউজিসের জন্য মাহিরা খান, ইউএন অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) জন্য শেহজাদ রয় এবং ইউনিসেফের জন্য সাবা কামার।
লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করা জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএন উইমেন সঙ্কটের সময়েও পাকিস্তানি নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এই বছরের ভয়াবহ বন্যার পরে, সংস্থাটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ‘ওমেন সেফ স্পেস’ প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে স্থানীয় নারীরা কাউন্সেলিং এবং আইনি পরামর্শ পাওয়ার পাশাপাশি ইন-হাউস চাইল্ডকেয়ার পরিষেবাও পাচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হানিয়া আমিরের শক্তিশালী ও সামাজিক মাধ্যম-সচেতন উপস্থিতি ইউএন উইমেনের কাজে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা দেশের তরুণীরা এই সংস্থার কার্যক্রমে নতুন করে আগ্রহী হবে এবং সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।



