বেতাগীতে বৃষ্টিতে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

Printed Edition

বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা

বরগুনার বেতাগীতে বৃষ্টির পানিতে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। একসময় শহরকেন্দ্রিক বলে পরিচিত এডিস মশাবাহিত রোগটি বর্তমানে পৌর এলাকা পেরিয়ে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জনসাধারণের মধ্যে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং আরো চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য, অক্টোবরের শেষে এমন সংক্রমণ এ অঞ্চলের জন্য অস্বাভাবিক; এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং বৃষ্টির পর তীব্র রোদের কারণে ডেঙ্গুর বিস্তার দ্রুত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সৈয়দ আমারুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টির পর রোদ উঠলে মশার ডিম খুব দ্রুত পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হয়। অল্প পানিতেই এডিস ডিম পাড়ে, এ কারণেই হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ছে।

তিনি আরো জানান, তাপমাত্রার ওঠানামা মশার জীবনচক্রে প্রভাব ফেলে। আবার নতুন করে বৃষ্টি ও রোদ থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, উপকূলীয় অঞ্চলে এবার অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাসাবাড়ি, আবদ্ধ ডোবা-নালা ও জলাশয়ে জমে থাকা পানি নতুন মশা জন্মের বড় উৎসে পরিণত হয়েছে। শহরের মতো গ্রামেও ফুলের টব, ডাবের খোসা কিংবা ছোট পাত্রে জমে থাকা পানিতে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী রাশিদা বেগম কষ্টের কথা জানিয়ে বলেন, ‘জ্বরে কিচ্ছু খাইতে পারি না। কবে ভালো হমু আল্লাহই জানে।’

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিনির্ভর সতর্কতাই এখন সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ডেঙ্গু লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসাসেবা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।