নওগাঁয় একই স্কুলে ২ শিক্ষক জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন

Printed Edition

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বীরজোয়ান উচ্চবিদ্যালয়ে দুই শিক্ষক জাল ‘শিক্ষক নিবন্ধন সনদ’ ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করছেন। এনটিআরসির যাচাইয়ে সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান ও বাবুল আকতারের সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে।

সম্প্রতি এনটিআরসির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০০৬ সালের দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার রোল ১১২২০০৫৪ নম্বরধারী বাবুল আকতার চৌধুরী ও রোল ৪২৬১৩২৭ নম্বরধারী কামরুজ্জামান মণ্ডলের দাখিল করা প্রত্যয়নপত্রের সাথে অফিস সংরক্ষিত ফলাফলের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে উল্লিখিত হয়, উভয় শিক্ষক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, জীববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক কামরুজ্জামান ২০০৮ সালের ৫ মে জাল সনদে যোগদান করেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক বাবুল আকতার ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর একইভাবে নিয়োগ পান। এরপর থেকে তারা সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব আলীর সহযোগিতায় তারা দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। অন্যদিকে, শিক্ষক বাবুল আকতারের কাছে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফোন ধরেননি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব আলী বলেন, তাদের কোনো তথ্য আমি দিতে পারব না। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জেনে নিন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। এনটিআরসিএ থেকে সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জেনেছি। তবে অফিসিয়াল চিঠি এখনো হাতে পাইনি। চিঠি পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।