যশোর অফিস
যশোর সদর উপজেলা ভূমি অফিসে জমির নামপত্তন (মিউটেশন) নিয়ে নাগরিক ভোগান্তি এখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডিজিটাল সেবা ও প্রশাসনিক সংস্কারের যুগেও এখানকার সাধারণ মানুষকে ঘুরপাক খেতে হচ্ছে দুর্নীতির জালে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভূমি অফিসে আবেদনের পর সিস্টেমে শুনানির দিন নির্ধারণ হয়। কিন্তু আবেদনকারীকে এসএমএস পাঠানো হয় শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনটি পার হয়ে যওয়ার পর! এতে সেবা প্রার্থীরা শুনানিতে হাজির হতে না পারার কারণে কেস ‘খারিজ’ করে দেয়া হয়। এরপর নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়। তবে কথিত একটি সিন্ডিকেটকে দুই হাজার টাকা দিলে আগের আবেদনেই কাজ হয়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক আ্েবদনকারী।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আবেদন জমার ২৮ দিনের মধ্যে নামপত্তন সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে, আবার কোনো কোনো আবেদন অস্বাভাবিক দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে, যেখানে টাকার অঙ্কটাও বড়।
স্থানীয় সূত্র বলছে, ভূমি অফিসে একটি প্রভাবশালী মহল পুরো প্রক্রিয়াকে ‘টাকা নির্ভর’ করে তুলেছে। এসিল্যান্ডের জ্ঞাতসারে এই সিন্ডিকেট আবেদনকারীদের হয়রানি করছে, অভিযোগ এমনটাই।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন স্বীকার করেছেন, ‘সিস্টেমে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকায় সময়মতো এসএমএস যাচ্ছে না।’ তবে সমস্যার সমাধানে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট জবাব দেননি তিনি।
অন্য দিকে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সময়মতো এসএমএস না যাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



