কালীগঞ্জে কলা চাষে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন

কম খরচে বেশি লাভ এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ অঞ্চলে দিন দিন কলাচাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন সবুজে ঘেরা কলা বাগান যেন নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা
Printed Edition

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ধান ও সবজির পাশাপাশি এখন কৃষকদের নতুন আশার নাম কলা চাষ। কম খরচে বেশি লাভ এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ অঞ্চলে দিন দিন কলাচাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন সবুজে ঘেরা কলা বাগান যেন নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কালীগঞ্জে প্রায় ৫২ হেক্টর জমিতে কলাচাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাঙ্গালিয়া, মোক্তারপুর ও জামালপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে।

জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের দুবুরিয়া গ্রামের কৃষক সাজিদুল আলম জানান, ধান চাষে খরচ বেশি, তুলনামূলকভাবে কলা চাষে লাভ বেশি। একবার চারা লাগালে দুই থেকে তিন বছর ফল পাওয়া যায়। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে দেশী ও ‘সাবরি’ জাতের কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকদের মনে আশার সঞ্চার করছে।

কৃষকরা জানান, মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কলা চাষে ফলন ভালো হচ্ছে। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা ও সরকারি সহযোগিতা পেলে কালীগঞ্জের কলা আগামীতে অন্যতম অর্থকরী ফসলে পরিণত হতে পারে।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, কালীগঞ্জের মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকদের আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ, সার প্রয়োগ ও কীটনাশক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দিচ্ছি।

গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম খান জানান, তবে একই জমিতে টানা তিন বছরের বেশি কলা চাষ না করাই উত্তম। স্থানীয় কৃষকদের আশা- সরকারি সহায়তা ও বাজার ব্যবস্থাপনা জোরদার হলে কালীগঞ্জের কলাচাষ বদলে দিতে পারে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির চিত্র।