নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন , আওয়ামী লীগের শাসনামলে কিছু বুদ্ধিজীবী দলটির মতাদর্শ উৎপাদনে সক্রিয় ছিলেন এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের পক্ষে সম্মতি তৈরি করেছিলেন। বর্তমানেও একটি অংশ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং জুলাইয়ের গণহত্যার বিপক্ষে গিয়ে মত তৈরি করছে।
গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি লড়াইয়ে বুদ্ধিজীবীদের একটি শ্রেণী যেমন পক্ষে ছিল, আবার এক শ্রেণী বিপক্ষেও ছিল। বিগত দিনে কিছু বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন নামে আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে গেছেন এবং ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও এই ধারা অব্যাহত আছে। আমরা ৫ আগস্টের পরে এই সময়েও সেটি দেখতে পাচ্ছি। বুদ্ধিজীবীর নাম করে ৫ আগস্টের বিরুদ্ধে, জুলাইয়ের বিপক্ষে এবং গণহত্যার পক্ষে সম্মতি তৈরি করে যাচ্ছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকের এই দিনে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধপন্থী লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার যারা স্বাধীনতাকামী ব্যক্তি ছিলেন, তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলাদেশের যারা চিন্তাশীল মানুষ ছিলেন, স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন তাদেরকে হত্যা করা হয়, যাতে বাংলাদেশ জাতি হিসেবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে না পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা পুরো জাতি দেখেছে। ওসমান হাদিকে যারা হত্যা চেষ্টায় লিপ্ত ছিল, তাদের কিন্তু এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। আমরা মনে করি, এই সময়ে আমাদেরকে এই জায়গা থেকে সরে এসে একটা ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে বিভক্ত থাকলে ফ্যাসিস্ট শক্তি সবচেয়ে বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত হবে। আমরা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে গণতন্ত্রের যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই। এ সময় দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



