হোসেনপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

Printed Edition

জাহাঙ্গীর আলম হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ৩৮ নম্বর ধনকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ যেন এক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে যাওয়া ভবনটির দেয়াল ও ছাদে বড় বড় ফাটল, খসে পড়ছে পলেস্তারা। প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যে চলছে পাঠদান, ভয় যেন শিশুদের প্রতিটি কাসের সঙ্গী।

সরেজমিন দেখা যায়, শ্রেণিকরে ছাদে ফাটল, দেয়ালে ধসের চিহ্ন, বৃষ্টি হলে চুইয়ে পড়ে পানি। কোথাও কোথাও ইট খসে পড়ছে। তবুও আটজন শিক ২২০ শিার্থী নিয়ে টিকে রেখেছেন পাঠদান কার্যক্রম। এলাকার একমাত্র শিাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় ঝুঁকি জেনেও সন্তানদের পাঠাতে বাধ্য অভিভাবকরা।

চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ফাউজিয়া আবিদা সাওদা জানায়, ‘আমাদের কাসের ছাদে বড় ফাটল। মাঝে মধ্যে পলেস্তারা পড়ে মাথার পাশে। ভয় লাগে, তবুও স্কুলে আসি, না এলে পড়া মিস হয়ে যায়।’ সহপাঠী রিফাত হোসেন যোগ করে, বৃষ্টি হলে বেঞ্চ সরিয়ে বসতে হয়। ভয় লাগে; কিন্তু স্কুল ভালো লাগে। শিকরা জানান, প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়েই কাস নিতে হয়। ভবনের অবস্থা এতটাই নাজুক যে সামান্য ঝাঁকুনিতেই ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সহকারী শিক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা জানি ঝুঁকি আছে, তবুও কাস নিতে হয়। শিখতে আগ্রহী এই শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে ভয় ভুলে যাই।’

অভিভাবক জিন্নাত আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিন সন্তানকে পাঠানোর সময় মনে ভয় হয়, কখন কী ঘটে যায়। সরকার যেন দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করে দেয়ার ব্যবস্থা নেন আমরা সেই দাবি করি।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিকিা ছালমা ইয়াসমিন জানান, ‘১৯৬৯ সালে ভবনটি নির্মাণের পর আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি।