তালায় আগাম শীতের সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি

Printed Edition
তালায় আগাম শীতের সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি
তালায় আগাম শীতের সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি

ইয়াছীন আলী সরদার তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কোথাও জমিতে বীজ বপণ চলছে, আবার কোথাও সবজি গাছ পরিচর্যা এবং আগাছা দমনসহ মাঠের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগাম সবজি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

উপজেলাজুড়ে শীতকালীন সবজি চাষে দেখা দিয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের মতে, বাজার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হলে তারা আরো বেশি লাভবান হতে পারবেন।

তালা উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এক হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির শীতকালীন সবজি এবং ১৬৫ হেক্টর জমিতে কপি চাষ করা হয়েছে। সরেজমিন উপজেলার খলিলনগর, তালা সদর, মাগুরা ও ইসলামকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কৃষকরা মুলা, বেগুন, করলা, ঢেঁড়স, পটল, শিম, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, গাজর, লালশাক, পুইশাকসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করেছেন। এ বছর সবজির দাম ভালো থাকায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।

খলিলনগর ইউনিয়নের মহান্দী গ্রামের কৃষক মহিদুল ইসলাম বলেন, সবজি চাষের ফলে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। এক বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। দাম ভালো থাকলে এক লাখ টাকার মতো লাভ হবে বলে আশা করছি।

একই এলাকার কৃষক গফুর মোড়ল বলেন, আমি ২৫ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ২২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আরো কিছুদিন পর সবজি তোলা শুরু করব। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো লাভবান হতে পারব।

কৃষকদের আগ্রহ বাড়ার কারণ হিসেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, এ বছর আগাম শীতকালীন সবজি চাষ বেড়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সবজির আবাদ আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগাম শীতকালীন সবজিতে সাধারণত পোকামাকড় ও ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। তাই মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে ফসলের কোনো ক্ষতি না হয়।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, আগাম চাষ করা সবজির দাম বাজারে তুলনামূলক ভালো থাকে। তাই কৃষকরা মৌসুমের শুরুতেই জমি প্রস্তুত করে বীজ বপণ করছেন। এর ফলে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি দেশের বাজারেও আগেভাগেই আসছে শীতের সবজি।