ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার ধামরাইয়ে দেড় বছর আগে হেলে পড়া চারতলা ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গত শুক্রবার ভূমিকম্পের পর আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে ভবনটি। এ কারণে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেছেন মালিক।
জানা গেছে, গত বছরের ১২ মে ধামরাই পৌরসভার ধানসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকার দন্ত চিকিৎসক জিয়াউর রহমান সিকদারের চারতলা ভবনটি পাশের সাততলা ভবনে হেলে পড়ে। এরপর তৎকালীন পৌরমেয়র, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে একই বছর নয়া দিগন্তে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হেলে পড়া ভবনটি আবার আবাসিক হিসেবে ভাড়া দেন মালিক জিয়াউর রহমান সিকদার। এর মধ্যে গত শুক্রবার সারা দেশের মতো ধামরাইয়েও ভূমিকম্প অনুভূত হলে পাশের সাততলা ভবনের মালিক শিরিন মমতাজসহ স্থানীয়রা বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। এরপরই ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মামনুন আহমেদ অনীকের নির্দেশে মালিক ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেন।
গত শনিবার দেখা গেছে, চারতলা ভবনটি পাশের সাততলা ভবনে হেলে রয়েছে। তিনতলার বারান্দার রেলিংয়ের ইটের গাঁথুনির অংশটি ফেটে গেছে।
ভবন মালিক জিয়াউর রহমান সিকদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ছেলে মোনায়েম সিকদার বলেন, আসলে আগেই এটা আমাদের ভাঙার পরিকল্পনা ছিল। প্রশাসন যতটা ভাঙতে বলবে, সেটা ভাঙতাম। কিন্তু শুক্রবার যে ভূমিকম্প হয়েছে, সে কারণে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য দ্রুত এটা ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছি। খুব দ্রুত ভাঙার কাজ শেষ হবে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মামনুন আহমেদ অনীক জানান, দেড় বছর আগে ভবনটি হেলে পড়লেও কী কারণে তখন ভবনটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তা জানা নেই। তবে শুক্রবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর আশপাশের ভবন মালিক বিষয়টি তাকে জানান। এরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়।



