খুলনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

Printed Edition

খুলনা ব্যুরো

খুলনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সবুজ খান (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর খালিশপুর এলাকার হাউজিং বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ খান ভাঙ্গাড়ির ব্যবসা করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সবুজ খানের সাথে তার আপন ভায়রা কালাম ও শ্যালিকা নাজমা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গতকাল সকাল ১০টার দিকে সবুজ খান বাজার করার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এ সময় ভায়রা ভাই কালাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম এবং তাদের ছেলে সোহেল, সুজন, সাগর, প্রতিবেশী নজরুল ও মণ্ডলসহ সাত-আটজন তার ওপর ধারালো চাপাতি দিয়ে হামলা চালায়। তারা সবুজ খানের ডান হাত, বাম হাতের কনুই, দুই হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্র্তব্যরত ডাক্তার বেলা ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সবুজের মেয়ে সাথী বেগম বলেন, খালিশপুরের চিহ্নিত মাদককারবারি নাজমা, কালাম, সোহেল, সুজন, সাগর, জয়, বিজয়, আরিফ ও রিয়াদ আলীর মাদক ও সুদের কারবারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এমন ঘটনা ঘটলেও অস্ত্রধারীদের ভয়ে কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

সবুজ খানের মেয়ের জামাই মোহাম্মদ বাবু বলেন, স্থানীয় মাদক ও মামলাবাজ একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে গত ৫ অক্টোবর খুলনা প্রেস কাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। তারাই বৃহস্পতিবার সকালে আমার শ্বশুরকে বাজারে যাওয়ার সময় বক্কর বস্তি এলাকায় পথ আটকে দেয়। ছয়-সাতজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

এলাকাবাসী জানান, গত এক বছর ধরে মাদক ও সুদের একটি বড় সিন্ডিকেট খালিশপুর বক্কর কলোনিসহ আশপাশ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এলাকার যে কয়েকজন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন সবুজ খান তাদের অন্যতম। মাদককারবারিরা তাদের পথের কাঁটা সরাতে পরিকল্পিভাবে সবুজ খানকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আতাহার আলী বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহত সবুজ খানের শ্যালিকা নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।