ভাষান্তর : শেখ আবদুল্লাহ নূর
(গত দিনের পর)
বেশি সময় লাগেনি তার। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে সে খুঁজে পেল সওদাগর পুত্রের সেই প্রাসাদ। যে প্রাসাদে কালো চুলের সেই রূপের কন্যা থাকে। প্রাসাদের এক কোণে গিয়ে রাজার মাসি এবার এক বৃদ্ধার রূপ ধারণ করে। মৌমাছি থেকে মুহূর্তের মধ্যে সে হয়ে যায় এক ঝুনকো বুড়ি। তারপর কুঁজো হয়ে হেঁটে হেঁটে প্রবেশ করে প্রাসাদের ভেতরে। ভেতরে ঢুকেই রাক্ষুসী দেখতে পায় কালো চুল ছড়িয়ে রেখে রূপের কন্যা বসে আছে উঠোনে।
কোঁকাতে কোঁকাতে বুড়ি হাজির হয় রূপের কন্যার কাছে। চোখে মুখে মায়াবী কান্নার ভান করে এবার বুড়ি বলে, আহারে আমার বহিন! মুখটা কেমন শুকিয়ে আছে তোমার। চোখের নিচে কালি। কত কষ্টেই না আছো তুমি স্বামীর বাড়ি। আহারে, আমার বহিনের এমন সোনামুখ কতকাল পরে দেখলাম।
রূপের কন্যা প্রথমে অবাক হয়। এত আপন করে কথা বলে কে? (চলবে)



