এটিবিতে তালিকাভুক্তির উৎসাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ

Printed Edition
এটিবিতে তালিকাভুক্তির উৎসাহ  বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ
এটিবিতে তালিকাভুক্তির উৎসাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্তির উৎসাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন। তিনি বলেন পুঁজিবাজারের মূল বোর্ডের পাশাপাশি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম। যেখানে ফাস্ট-ট্র্যাক লিস্টিং সুবিধা ও বিশেষায়িত বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল কাঠামো রয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটিবিতে তালিকাভুক্ত করায় উৎসাহ বাড়াতে ডিএসই সচেতনতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ডিএসইর অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) প্রথমবারের মতো রেনাটা পিএলসির ইস্যু করা প্রেফারেন্স শেয়ারের আনুষ্ঠানিক লেনদেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ডিএসই ও রেনাটার মধ্যে তালিকাভুক্তিকরণ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে সই হয়। এতে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও এমডি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এবং রেনাটার এমডি ও সিইও সৈয়দ এস কায়সার কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো: শফিকুর রহমান স্বারিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মমিনুল ইসলাম বলেন, বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রেফারেন্স শেয়ার ও বন্ড নিয়মিত ও পুনরাবৃত্তিমূলক অর্থায়নের একটি কার্যকর মাধ্যম। ভবিষ্যতে এ ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে বাজার প্রতিষ্ঠানগুলোর রিপেমেন্ট কমপ্লায়েন্স দায়বদ্ধতা মূল্যায়ন করবে। ফলে এসব ইনস্ট্রুমেন্টের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, ডিএসইর লক্ষ্য হলো ব্যাংকিং সেক্টরের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমিয়ে পুঁজিবাজারভিত্তিক অর্থায়ন জোরদার করা, যা বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ডিএসই, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ ও ব্যাংকসহ অন্যান্য ইন্টারমিডিয়ারির সাথে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে। একই সাথে ইস্যুকারী কোম্পানি ও শিল্পভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সাথে সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে বিদ্যমান নীতিগত ও প্রক্রিয়াগত জটিলতা চিহ্নিত করে সমাধানে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে রেনাটার সিইও সৈয়দ এস কায়সার কবির বলেন, প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর পেছনে একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জপূর্ণ প্রক্রিয়া কাজ করে, যা মোটেও সহজ নয়। রেনাটার ক্ষেত্রে মুদ্রার আকস্মিক ও বড় ধরনের অবমূল্যায়নের ফলে কোম্পানির পরিকল্পিত বিনিয়োগ ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, যেখানে প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেখানে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকায়, যা ছিল সম্পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই অবমূল্যায়ন ঘটায় রেনাটাকে বাধ্য হয়ে ঋণের ওপর নির্ভর করতে হয়, যদিও প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে কার্যত ঋণমুক্ত অবস্থায় ছিল। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রেনাটা সচেতনভাবে একটি বিকল্প অর্থায়ন কাঠামোর সিদ্ধান্ত নেয়।

কায়সার কবির বলেন, রাইট শেয়ার ইস্যু করলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডারের মালিকানা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেত বিধায় প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুকে উপযুক্ত সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ প্রেফারেন্স শেয়ার ভোটাধিকারবিহীন এবং এতে অংশগ্রহণ সত্ত্বেও মালিকানায় বড় ধরনের ডাইলিউশন ঘটে না।