ওয়াসেকেই শেষ হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

শাখা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করিয়ে সেটা এস আলমের হাতে বেনামী ঋণের মাধ্যমে তুলে দিয়ে দেশ থেকে পাচারের ব্যবস্থা করতেন তিনি।

আশরাফুল ইসলাম
Printed Edition
  • ৯ বছরে এস আলমের হাতে তুলে দেন ৩২ হাজার কোটি টাকা
  • ঋণ জালিয়াতিতে ব্যবহার করা হয় ফুচকাওয়ালা, চাকরিপ্রার্থী, রিকশাওয়ালা, সিকিউরিটি গার্ড ড্রাইভার, কাজের বুয়া, পছন্দের কর্মীদের গার্ল ফ্রেন্ডসহ গরিব-দুঃখী মানুষের ছবি ও আইডি কার্ড

সৈয়দ ওয়াসেক মো: আলী। ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শীর্ষ নির্বাহী। ব্যাংকটিতে তিনি ২০১৬ সালে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় স্থায়ীভাবে চাকরি হারান ১৫ জুলাই, ২০২৫। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ সাড়ে ৯ বছরের চাকরিজীবনে ৯ বছরই ছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদের অপকর্মের সহযোগী। শাখা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করিয়ে সেটা এস আলমের হাতে বেনামী ঋণের মাধ্যমে তুলে দিয়ে দেশ থেকে পাচারের ব্যবস্থা করতেন তিনি। এভাবে ব্যাংকটিতে দায়িত্ব পালনকালে এস আলমের হাতে তুলে দেন ৩২ হাজার কোটি টাকা। ঋণ জালিয়াতিতে ব্যবহার করা হয় ফুচকাওয়ালা, চাকরিপ্রার্থী, রিকশাওয়ালা, সিকিউরিটি গার্ড, ড্রাইভার, কাজের বুয়া, পছন্দের কর্মীদের গার্ল ফ্রেন্ডসহ গরিব-দুঃখী মানুষের ছবি ও আইডি কার্ড। এভাবেই ওয়াসেকেই শেষ হয়েছে ব্যাংকটি।

ব্যাংকটির সর্বশেষ হিসেবে ৬৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৪২ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে পালিয়েছে এস আলম। ওয়াসেক আলীর নানা অপকর্ম উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে। নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জানা গেছে, গতানুগতিক ধারায় শুরু হওয়া ব্যাংকটি ২০০৯ সালে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও আধুনিক সেবা দেশের আপামর জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠে। আমানত সংগ্রহে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দ্বিতীয় অবস্থান নেয় ব্যাংকটি।

ব্যাংকের সুবিশাল আমানতের ওপর একসময় ব্যাংকের পরিচালক এস আলমের লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে। শুরু হয় লুটপাটের মহাপরিকল্পনা। এ কাজে সহযোগিতার জন্য নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার ঘনিষ্ঠজনদের নিয়োগ দিতে থাকেন। নিয়োগ পান তার একসময়ের পিএস আকিজ উদ্দিন। ২০১৬ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান ওয়াসেক মো: আলী। এরপর ওয়াসেক আলীসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মদদে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে লুটপাট চালাতে থাকে আর্থিক খাতের এই মাফিয়া। এর মধ্যে আকিজ উদ্দিন পরবর্তীতে ইসলামী ব্যাংকে ডিএমডি হিসেবে নিয়োগ পান। নজিরবিহীন অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে বর্তমানে ব্যাংকটি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। গ্রাহকদের মাঝে তৈরি হয়েছে আস্থার সঙ্কট। প্রয়োজনে টাকা তুলতে না পেরে বিপাকে রয়েছে গ্রাহকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত গ্রাহকের লাঞ্ছনা, নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে পরিচালিত চলতি হিসাবে ব্যাংকটির মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩৪.৪৭ কোটি টাকায়। মোট বিনিয়োগের প্রায় ৯২ শতাংশ শ্রেণীকৃত হওয়ায় প্রভিশন দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ১৬৭

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে এমডি ওয়াসেকের অনিয়মের চিত্র বের হয়ে আসে।

বিনিয়োগসংক্রান্ত অনিয়ম : বাই-মুরাবাহা (হাইপো) খাতে ১৫টি শাখায় ৯২ জন গ্রাহকের নামে বিনিয়োগ করেছে। এতে বিনিয়োগের অনুমোদিত সীমা আট হাজার ১২ কোটি টাকা থাকলেও বিতরণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা অর্থাৎ নিয়মবহির্ভূতভাবে সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ বিতরণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। যার বর্তমান স্থিতি ২৬ হাজার ২৫৬.২৯ কোটি টাকা। বাই মুরাবাহা এগেইন্সট এমটিডি খাতে ২০টি শাখায় ৬৮ জন গ্রাহকের নামে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এতে বিনিয়োগের অনুমোদিত সীমা ছিল ৬৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিতরণ করা হয়েছে ছয় হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা অর্থাৎ নিয়মবহির্ভূতভাবে সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ বিতরণ করা হয়েছে ছয় হাজার ২০৩ কোটি টাকা। এ খাতে বর্তমান স্থিতি ১৯ হাজার ৭ কোটি টাকা।

বন্ধকীকৃত সম্পত্তির অতিমূল্যায়ন : ১৪টি শাখায় ৯৪ জন গ্রাহকের মোট ৩২৪১৪ শতাংশ জমি বন্ধক নেয়া হয়েছে। শাখা কর্তৃক যার মূল্যায়ন করা হয় ৪ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃত মূল্যায়নে পাওয়া যায় ৬০৮ কোটি টাকা অর্থাৎ অতিমূল্যায়ন হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা।

মুনাফা মওকুফের নামে আসল বিনিয়োগ মওকুফ- মুনাফা মওকুফের নামে বিনিয়োগকৃত আসল টাকা আদায় না করেই মুনাফা মওকুফ, মুনাফার নামে আসল বিনিয়োগ মওকুফ এবং মুনাফা ও আসল পুরোটাই মওকুফের মতো ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। ব্যাংকটির দিলকুশা, মহাখালী, ধানমন্ডি, সেনানিবাস ও জুবিলী রোড শাখায় ১২ জন গ্রাহককে বিনিয়োগের কোনো টাকা আদায় না করেই ২০১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা মুনাফা মওকুফ করা হয়েছে। শাখাগুলোতে নিয়মবহির্ভূতভাবে মুনাফার নামে এক হাজার ৩১৪ কোটি টাকা আসল বিনিয়োগ মওকুফ করা হয়েছে। মুনাফা ও আসলসহ মওকুফ করা হয়েছে ১৫১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

ভুয়া স্থায়ী আমানত দেখিয়ে ঋণ বিতরণ : গ্রাহকের নামে কোনো ফিক্সড ডিপোজিট না থাকা সত্ত্বেও অস্তিত্বহীন ফিক্সড ডিপোজিটের বিপরীতে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। শুধু প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতার মৌখিক নির্দেশনায় নিয়মবহির্ভূতভাবে কাল্পনিক স্থায়ী ডিপোজিটের বিপরীতে বিনিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছে তৎকালীন দিলকুশা শাখার শাখা ব্যবস্থাপক ওয়াসেক মো: আলী।

চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ প্রদান-ভুয়া কাগজপত্র ও জালিয়াতির মাধ্যমে চটপটির দোকানের অনুকূলে ২৩৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসেক আলী। ব্যাংকের চট্টগ্রামস্থ মহিলা শাখা থেকে এ বিনিয়োগটি বিতরণ করা হয়। এভাবে ঋণ জালিয়াতিতে ব্যবহার করা হয় ফুচকাওয়ালা, চাকরিপ্রার্থী, রিকশাওয়ালা, সিকিউরিটি গার্ড, ড্রাইভার, কাজের বুয়া, পাচাটা কর্মীদের গার্ল ফ্রেন্ডসহ গরিব-দুঃখী মানুষের ছবি ও আইডি কার্ড। ব্যাংকটির সর্বশেষ হিসেবে ৬৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৪২ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে পালিয়েছে এস আলম। ওয়াসেক আলীর নানা অপকর্ম উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে। যাদের জীবন ও পরিবার আজ বিপন্ন। নিজের নামে ঋণ আছে এমন ব্যক্তি এখন মুখোমুখি হচ্ছেন সামাজিক চাপের, তাদের বাড়ি/স্থাপনার সামনে সাইনবোর্ড স্থাপন, ব্যানার ঝুলানোসহ নানাবিধ হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। মামলা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে।

জনবল নিয়োগ, পদোন্নতিতে চরম আঞ্চলিক বৈষম্য : বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের ১৬০ জনকে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এক হাজার ৮৭৭ জনের মধ্যে এক হাজার ৫৮৩ জনই নিয়োগ পেয়েছে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে। আর এই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসেক আলী নিজেই। তার সময়ে পদোন্নতিতেও মানা হয়নি কোনো নিয়মনীতি। চাকরি বিধি অনুযায়ী এফএভিপি থেকে এসইভিপি পর্যন্ত পদগুলোতে পদোন্নতি পেতে ন্যূনতম তিন বছর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার হতে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পর্যন্ত প্রতি পদে পদোন্নতির জন্য ন্যূনতম দুই বছর মেয়াদ পূর্ণ করার কথা থাকলেও প্রতি বছর পদোন্নতি দেয়া হয়েছে অনেককে। অন্য দিকে কোনো কারণ ছাড়াই বছরের পর বছর যোগ্যতাসম্পন্নদের পদোন্নতি না দিয়ে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।

কাজ না করেই বিল উত্তোলন : বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসেক আলীর নির্দেশে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা শাখায় ‘রিনোভেশন এগেইন্সট এক্সটারিয়র ওয়ালস’ বাবদ ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বিল উত্তোলন করা হয়। সরেজমিন জানা যায় বন্দরটিলা শাখায় এ ধরনের কোনো কাজই করা হয়নি।

জাকাত ফান্ডের অর্থ লোপাট : ওয়াসেক আলীর দায়িত্ব চলাকালে ব্যাংকের জাকাত তহবিল থেকে ৭৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লোপাট হয়। বিভিন্ন সময়ে ঠিকানাবিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের অনুকূলে এসব তহবিল বিতরণ করার কথা উল্লেখ করা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

উচ্চ হারে আমানত সংগ্রহ : ওয়াসেক আলীর সময়ে সংগৃহীত আমানতের বৃহৎ অংশ করপোরেট আমানত, যা উচ্চহারে মুনাফা ও উৎকোচ দেয়ার বিনিময়ে সংগৃহীত। ব্যাংকিং খাতের গড় আমানতের বিপরীতে প্রদেয় লভ্যাংশের হার ২.৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ হলেও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রদেয় লভ্যাংশের হার ৭.৫ শতাংশ, যা ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন। ব্যাংকটির মোট আমানতের পরিমাণ ৪১ হাজার ৩২ কোটি টাকার বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। আমানতে উচ্চহার প্রদানের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে আকৃষ্ট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে তা সাইফুল আলম মাসুদের জন্য বেনামী ঋণের মাধ্যমে লোপাট করা। ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ওয়াসেক যখন ব্যাংকে যোগদান করেন, তখন ২০১৫ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিনিয়োগ ছিল ১৮ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুনে এসে ব্যাংকটির বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে তার আমলে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩২ হাজার কোটি টাকাই তুলে দেয়া হয়েছে এস আলমের হাতে। এ অর্থ এখন ব্যাংকের খাতায় মন্দ ঋণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

চূড়ান্ত বরখাস্ত : বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত লুটপাটের মূল হোতা সাইফুল আলম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহচর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো: আলীকে গত ১৫ জুলাই চূড়ান্ত বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে সীমাহীন দুর্নীতি, আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের ঋণ প্রদান, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি তিন মাসের জন্য তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে আরেক দফা ছুটি বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর এবং আর্থিক খাতের মাফিয়াদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং তাদের অবৈধ উপায়ে উপার্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা; অন্যথায় এ ধরনের দুর্নীতির কবল থেকে দেশ ও দেশের অর্থনীতি বাঁচানো যাবে না।

এ বিষয়ে সৈয়দ ওয়াসেক মো: আলীর বক্তব্য নিতে কয়েক দফা মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।