রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার কুয়ান্টিকোতে শত শত জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে ডেকে সেনাবাহিনীর সাজপোশাক, শারীরিক সক্ষমতা ও নেতৃত্বের মানদণ্ডে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অপেশাদার চেহারার যুগ শেষ। কোনো দাড়ি থাকবে না, ভুঁড়িও না।’
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে ‘রাজনৈতিকভাবে সঠিক’ থাকার সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির নীতির অবসান ঘটানো হবে। সব সদস্যকে বছরে অন্তত দুইবার ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং যুদ্ধসংক্রান্ত পদে নিয়োজিতদের জন্য ‘পুরুষভিত্তিক সর্বোচ্চ মান’ নির্ধারণ করা হবে।
হেগসেথ বলেন, ‘যদি কোনো নারী এই মান পূরণ করতে না পারেন, তবে তা-ই। উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু ফলাফল এমনটা হতে পারে।’ দুর্বল পুরুষরাও এই মান পূরণ না করলে যুদ্ধক্ষেত্রে জায়গা পাবেন না। সাজপোশাক ও চেহারার মানদণ্ডে দাড়ি, লম্বা চুল বা ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি নিষিদ্ধ থাকবে। চিকিৎসাগত বা ধর্মীয় কারণে দাড়ি রাখার অনুমতিও বাতিল করা হয়েছে।
এই আয়োজনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাজ কারো অনুভূতির সুরক্ষা দেয়া নয়। আমাদের লক্ষ্য ফিটনেস, শক্তি ও চারিত্রিক দৃঢ়তা।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি কোনো জেনারেল বা অ্যাডমিরাল আমার পছন্দ না হয়, তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হবে।’
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অস্ত্রভাণ্ডার এত শক্তিশালী যে এর ২০ ভাগের একভাগ দিয়েই ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চালানো সম্ভব।’ এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নীতিতে এক মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা হলো, যা ভবিষ্যতে নারী, সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে।



