- দেশ আইসিইউতে ছিল, আমরা দায়িত্ব না নিলে কী যে হতো’
- বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে
যারা বিদেশে অর্থ পাচার করে তারা অত্যন্ত চালাক। এমন নয় যে, তারা হুট করে সব টাকা এক সাথে পাচার করেন। সুতরাং পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নাইজেরিয়ার পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে ২০ বছর লেগেছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দুই এক বছরের মধ্যে পাচার হওয়া কিছু টাকা ফিরিয়ে আনতে। এই টাকা ফিরিয়ে আনলে আমাদের আর বিদেশী সংস্থার কাছ থেকে বাজেটে সহায়তার প্রয়োজন হবে না।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের একদিন পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগ করা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা, এটি বাদ দিব কি না তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব হয়েছে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা যারা বাজেটকে গতানুগতিক বলছেন তাদের উদ্দেশে বলেন, হুট করেই একটা বিপ্লবী বাজেট দেয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা বাজেটে কথার ফুলঝুরি দিয়ে বাজেট দেইনি।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থসচিব মো: খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো: আবদুর রহমান খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ ছাড়া সবাই কথা বলেছেন।
দর্শনার্থীর কাতারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, অর্থ বিভাগের বাজেট-সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মচারীরা।
ক্রান্তিলগ্নে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সবাই মিলে চেষ্টা করে দেশটাকে একটা স্থিতিশীল অবস্থান নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে বলেন, আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্বটা একটা কঠিন সময়ে নিয়েছি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংসদ না থাকায় আমরা গতকাল জাতির সামনে বাজেট উপস্থাপন করেছি। অর্থ বিলে রাষ্ট্রপতি সই করেছেন। সেটা দ্রুতই হবে। সেখানে যদি কিছু থাকে সেটাও আমরা চেষ্টা করব নিতে।
দেশ আইসিইউতে ছিল : অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্বটা একটা কঠিন সময়ে নিয়েছি। অনেকেই বলেছেন দেশ আইসিইউতে ছিল, খাদের কিনারে চলে আসছিল, বিশেষ করে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। সে সময় যদি আমরা দায়িত্ব না নিতাম তাহলে কী হতো। যাই হোক আমরা চেষ্টা করে সবাই মিলে দেশটাকে একটা স্থিতিশীল অবস্থান নিয়ে আসতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, যে সংস্কারগুলো আমরা হাতে নিয়েছি সেটা চলমান। আমরা যতটুকু পারি; করব। আমরা যে পদচিহ্ন রেখে যাবো (ফুটপ্রিন্ট) আশা করছি পরে যারা আসবে তারা সেটা বাস্তবায়ন করবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন যে, আমাদের সম্পদ সীমিত, চাহিদা অনেক বেশি। বাইরে থেকে সম্পদ আনা, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, পুঁজিবাদের অবস্থা, ব্যাংকের অবস্থা, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা সব মিলিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা। এর ভেতরেই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে কিন্তু আমরা বাজেট করিনি। আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল যেমন- মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাত, জ্বালানি খাত, রাজস্ব আদায় এসব কিছুর মধ্যেই বাজেট করতে হয়েছে। তার পরও আমাদের প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার বাড়েনি। তিনি আরো বলেন, এত দিন তো আপনারা প্রবৃদ্ধি আর প্রবৃদ্ধির ন্যারেটিভ শুনেছেন। গ্রোথ হয়েছে অনেক বেশি কিন্তু সেটার সুবিধা কে পেয়েছে? সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়, ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চালিয়ে যেতে পারে সেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাজেট সাজিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা তিন বছরের জন্য বাজেট দিয়েছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। অনেকে বলেছেন আমরা আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছি। আসলে আমরা এসব অনুসরণ না করে চট করে বিপ্লবী একটা বাজেট দিয়ে দেবো, দারুণ একটা রেভিনিউ আনব সেটা সম্ভব নয়। আমরা কতগুলো ফ্রেমওয়ার্ক বা পদাঙ্ক অনুসরণ করে সামনে যাচ্ছি ঠিক। এবার যে ইনোভেশন নেই; সেটা কিন্তু নয়। কিছু পদক্ষেপও আছে। বাজেট তিন বছর হওয়ায় বাজেট চলমান থাকায় ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এত চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমাদের প্রতি একটু সমবেদনা নিয়ে কাজ করেন, গুণগান গাইবেন সেটাও আমরা চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মোটকথা আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বাজেট দিয়েছি, যা বিশ্বের অন্য দেশের কাছে যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
টাকা ফেরত আনা সহজ নয় : পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার হওয়া টাকা দেশে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে কাজ হচ্ছে। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সহজ কিন্তু না। যারা টাকা পাচার করে তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান লোক, লেয়ারিং করে করে টাকা পাচার করে। এমন না যে ধপ করে টাকা পাঠিয়ে দিলাম।
সালেহউদ্দিন বলেন, অনেকেই বলেছেন কালো টাকা সাদা করে দেয়া ঢালাওভাবে। কালো টাকা কিন্তু ঠিক কালো টাকা না, আমরা বলছি অপ্রদর্শিত আয়। অপ্রদর্শিত আয় যদি থাকে তবে শুধু ফ্ল্যাটের ব্যাপারে একটা বিধান দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কালো টাকা সাদা করার দু’টি দিক আছে, একটা হলো নৈতিক দিক আরেকটা হলো প্রাকটিক্যাল দিক, আমরা ট্যাক্স পাবো কি না। কালো টাকাটা সাদা করার যে দু’টি সুযোগ দেয়া হয়েছে, সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখব। আমরা বলছি না যে, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করে ফেলেছি।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজেটে বৈষম্যবিরোধী পদক্ষেপ একেবারে নেই তা কিন্তু না। বাজেটে নারীদের জন্য ফান্ড আছে, স্টার্টআপের জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে, যুবকদের জন্য আছে। বাকি অনেক খাতের জন্যও আছে। তবে একেবারে বৈষম্যবিরোধী, কর্মসংস্থানের জন্য নেই সেটা কিন্তু না। ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক কিছুর ট্যারিফ উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট গত বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন খুব বেশি কঠিন না। বাজেট ছয় মাসের জন্য না, তিন মাস বা ছয় মাসে বাজেট করা যায় না। বাজেট করতে হয় এক বছরের জন্য মুদ্রানীতি করতে পারে ছয় মাসে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার জন্য আগের মতো কোনো বিশেষ সুযোগ নেই। তবে দু’টি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করে ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর একটি হলো কেউ নিজের জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে যদি বাড়ি তৈরি করেন, তাহলে দ্বিগুণ কর দিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো সংস্থা প্রশ্ন করতে পারবে না, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। অন্যান্য সংস্থার প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় সুযোগটি হলো ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে আমরা কর পাঁচগুণ করে দিয়েছি। এটা খুব ব্যয়বহুল হয়েছে। তার পরও অনেকেই যেহেতু এটা নিয়ে কথা বলছে, আমার মনে হয় স্যার (অর্থ উপদেষ্টা) সবার সঙ্গে আলোচনা করে চিন্তা করতে পারেন কী করবেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্য : পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অনেক ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। আমরা ঋণ না করেই ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমাদের একটা প্রবণতা আছে, ঋণ করে আবার ঋণ পরিশোধ করার। এই দুষ্টু চক্র থেকে আমরা বের হওয়ার চেষ্টা করছি।
অন্য দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আমাদের দুটো বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তার মধ্যে একটি মূল্যস্ফীতি আরেকটি মুদ্রাবাজার। এখন মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে আবার বিনিময় হারও স্থিতিশীল। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে। তখন সুদহারও কমানো হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
ঋণের দুষ্টু চক্র থেকে বের হয়ে এসেছি : পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে। এ বাজেট অনেক বেশি বাস্তবসম্মত। আমাদের চাহিদা বেশি, কিন্তু কাঠামোগত কারণে রাজস্ব আদায় করতে পারছি না। পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বাজেটকে অনেকে গতানুগতিক বলছে। তবে সামাজিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বাজেট বরাদ্দ বেশি হয়েছে। বাজেট একটা চলমান প্রক্রিয়া।’
তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প সবই আগের সরকারের চলমান প্রকল্পে। আগে অর্থসংস্থানও বিবেচনা করা হয়নি। ২০ থেকে ৩০টি নতুন প্রকল্প বাকিগুলো পুরনো। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রয়োজনীয় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিচ্ছি। মাঝপথে কোনো প্রকল্প বাদ দেয়া হবে না। মেগাপ্রকল্প নিতে চাই না। তবে তিনটা মেগা প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় খুলনা মোংলা রেললাইন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক পুল নষ্ট হচ্ছে এগুলো গুরুত্ব দিচ্ছি। জঞ্জাল পরিষ্কার করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রকল্পের পোর্টফলিও করে যাবো।
সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতি ৭% নামবে : ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি ও এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল না হলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত। এখন স্বস্তিতে এসেছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপরে ছেড়ে দেয়ার পরও পরিবর্তন হয়নি, অর্থাৎ এটাও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এতে আস্থা এসেছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে। গভর্নর বলেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা নেমে সাড়ে ৮ শতাংশে এসেছে। যদিও খাদ্যবহির্ভূত (নন ফুড) মূল্যস্ফীতি একটু বেশি আছে। তবে এটিও কমছে, সাড়ে ১১ শতাংশ থেকে কমে সোয়া ৯ শতাংশে এসেছে। অন্য দিকে বিশ্ববাজারে খাদ্য, তেল-গ্যাসের দর কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতি করেছে। আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছি।
এলপিজি আমদানি করি ৬৫ টাকায়, বিক্রি করি ৩০ টাকায় : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা এলপিজি আমদানি করি ৬৫ টাকায়, আর বিক্রি করি ৩০ টাকায়।
এ সময় তিনি বলেন, এবারে বিদ্যুৎ ও এলপিজির দাম কমানো হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ থেকে এলপিজি ও জ্বালানি তেলের দাম কমিশন করা হয়েছে। এবারের এই বাজেট অপচয় অসঙ্গতি কমানোর বাজেট। এই বাজেটকে ব্যতিক্রমী বাজেট বলব। উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে। এলপিজি, গ্যাসের জন্য ভালো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা করা হয়েছে সাধারণের মধ্যে স্বস্তি দিতে। তিনি বলেন, জ্বালানির দাম কমানোর ফলে গাড়ি ভাড়া কমবে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি চাঁদাবাজিকে সীমিত করার। আমরা সড়ক বিভাগ থেকে চাঁদাবাজিকে সীমিত করতে পুলিশের সাথে কাজ করছি।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আসন্ন ঈদ ও রোজার ঈদের বাজার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখবেন আমরা এখন স্বস্তিতে আছি। এখন ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে যত কথা বলছি, কৃষকের অধিকার নিয়ে অতটা বলি না। এখন ভোক্তারা অল্প দামে আলু পেলেও কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে এবার আমাদের সবগুলো ফসল বেশি উৎপাদন হয়েছে। আমাদের কোল্ড স্টোরেজগুলো আলুতে ভরে গেছে। কৃষকের ঘরেও আলু রয়েছে।
এবার আদা, পেঁয়াজ, ভুট্টার উৎপাদনও বাম্পার হয়েছে। শীত ও গ্রীষ্মের এক মাস ব্যবধানে কৃষকের সবজি নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য আমরা ১০০টির মতো ছোট কোল্ড স্টোরেজ করছি। আলু ও বীজের আলু রাখার জন্য আলাদা করে বড় চারটি কোল্ড স্টোরেজ করে দিচ্ছি। আগামী সবজি ওঠার আগেই এসব কোল্ড স্টোরেজগুলো তৈরি হয়ে যাবে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৫০০টির মতো ঘর করে দিচ্ছি যেন চার-পাঁচ মাস এটি সংরক্ষণ করা যায়।



