কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের অভিযানে হাসপাতালে ঔষধ কেনাকাটায় গরমিলের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুল হাসান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে কুমেক হাসপাতালের ঔষধ ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর, তারই সূত্র ধরে গত রোববার সকালে দুদকের একটি দল হাসপাতালের স্টোর রুম ও সংশ্লিষ্ট দফতরে অনুসন্ধান চালায়। দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের কেনাকাটাসংক্রান্ত নথি, চালান ও সরবরাহের তালিকা পর্যালোচনা করেন। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সাথেও কথা বলেন তারা। দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: মাসুদ পারভেজের কাছ থেকে অভিযোগসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন ও নথিপত্র তলব করেন। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো: তারিকুর রহমান এবং কনস্টেবল মো: মামুন অর রশিদ।
অভিযানে উপস্থিত থাকা দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হাসান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তিনটি বড় ধরনের ওষুধ ক্রয়ে অনিয়মের ওপর জোর দিয়ে তদন্ত শুরু করবেন। তিনি জানান কার্যাদেশ ও আর্থিক নথিতে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের সুপারিশ পাঠানো হবে।