লালমনিরহাটে আগাম জাতের ফুলকপি বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

স্বল্প সময়ে বেশি মুনাফার আশা

চারা রোপণের পর নিয়মিত সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করলে ৭০-৭৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি ও বাঁধাকপি ঘরে তোলা সম্ভব। একই সাথে বেগুন, মরিচ, টমেটো, ধনিয়া পাতা ও শিমেরও ব্যাপক চাষ হচ্ছে এ অঞ্চলে।

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট
Printed Edition
লালমনিরহাটে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা পরির্চযা করছেন কৃষকরা
লালমনিরহাটে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা পরির্চযা করছেন কৃষকরা |নয়া দিগন্ত

অল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফার আশায় লালমনিরহাটের কৃষকেরা শীতকালীন আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকছেন। আগাম জাতের সবজির চাহিদা সবসময় বেশি থাকে এবং দামও তুলনামূলক ভালো থাকায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ছয় হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শীতকালীন সবজি আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন এ ফসল চাষে বিশেষভাবে পরিচিত। পানি জমে না এমন উঁচু জমি এসব সবজি চাষের জন্য উপযোগী। চারা রোপণের পর নিয়মিত সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করলে ৭০-৭৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি ও বাঁধাকপি ঘরে তোলা সম্ভব। একই সাথে বেগুন, মরিচ, টমেটো, ধনিয়া পাতা ও শিমেরও ব্যাপক চাষ হচ্ছে এ অঞ্চলে।

আগাম সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় লালমনিরহাটের ফসল প্রতিদিন ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বড় বাজারে যাচ্ছে। কৃষকরা জানান, পাইকাররা ক্ষেত থেকে সরাসরি সবজি কিনে নিয়ে যান। অনেক সময় তারা পুরো ক্ষেতটাই কিনে নেন এবং ক্ষেতের সমস্ত সবজি শ্রমিক দিয়ে সংগ্রহ ও বাজারজাত করেন। এতে করে কৃষকদের সবজি বিক্রিতে তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।

চিনিপাড়া গ্রামের কৃষক ছব্বুল আলী বলেন, হাটে আগাম সবজির চাহিদা বেশি। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই কিনে নেন। তাই বিক্রি নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করতে হয় না।

ফুলকপি চাষি রবিউল ইসলাম জানান, গত মৌসুমে তিনি তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে দুই লাখ টাকা খরচে প্রায় চার লাখ টাকার ফসল বিক্রি করেছেন। ভালো মুনাফা হওয়ায় এবারো তিনি ফুলকপির চাষ করছেন। অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় শুধু কপি নয়, বেগুন, মরিচ, টমেটো ও শিম চাষেও ঝুঁকছেন অনেকে বলে জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. সাইখুল আরিফিন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কৃষকরা আগাম সবজি চাষ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বাজার ভালো থাকায় এ মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।