কাতারে হামলায় সৌদির মহাকাশপথ ব্যবহার করেছে ইসরাইল

Printed Edition
কাতারে হামলায় সৌদির মহাকাশপথ ব্যবহার করেছে ইসরাইল
কাতারে হামলায় সৌদির মহাকাশপথ ব্যবহার করেছে ইসরাইল

জেরুসালেম পোস্ট

কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয় এবং সেই মিসাইল সৌদি আরবের ওপর দিয়ে দোহায় আঘাত হানে। ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো পার্শ্ববর্তী কোনো আরব দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই লোহিত সাগর থেকে দোহায় অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরের আকাশপথ ব্যবহার করে আটটি এফ-১৫ এবং চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে ইসরাইলি বিমান কোনো আরব দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সাংবাদিক হামলার শিকার দোহার ভবনটি ঘুরে দেখে জানিয়েছেন, ভবনের মধ্যবর্তী ও নিচতলার ডানদিকের অংশ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার সময় ব্যবহার করা মিসাইল মহাকাশপথে পাঠিয়ে সৌদি আকাশসীমার লঙ্ঘন এড়িয়ে আঘাত হানার কৌশল গ্রহণ করা হয়। মার্কিন সেন্সর অনুযায়ী, মিসাইলের তাপ ও গতিপথ শনাক্ত করে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে।

হামলার পরপরই সৌদি আরব নিন্দা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরাইলের অপরাধমূলক আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ডের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’ তবে সৌদি আরব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেনি যে, তাদের আকাশসীমার ওপর দিয়ে মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অজ্ঞাত রাখা হয়েছিল এবং হামলার কয়েক মিনিট আগে ইসরাইলি সেনারা এই তথ্য জানায়। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘সে সময় এই হামলা বন্ধ করার কোনো উপায় ছিল না।’

হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় তাদের ভারপ্রাপ্ত নেতা খলিল আল-হাইয়া বেঁচে গেছেন। তবে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, শীর্ষ হামাস নেতাদের প্রাণহানি না হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি করেছে এবং কাতার ও সৌদি আরবের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।