দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন গণভোট নিয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেয় এটাই দেখবার বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার যে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে। এখন সরকার আদেশ জারি করবে কী করবে না, এখানে গণভোটের যে বিষয়গুলো প্রস্তাবে ছিল ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে তার কোনগুলো সরকার গ্রহণ করবে এগুলোর ওপর নির্ভর করবে স্টেপ বা পরবর্তীতে রাজনৈতিক বিষয়গুলো কী হয়, এটাই দেখার বিষয়।
ব্যারিস্টার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
নয়া দিগন্ত : অনেকে বলছেন এখানে সরকারের একটা দৃঢ় ভূমিকা নেয়ার সময় এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো বিস্তর আলাপ আলোচনা করেছে, রেফারি হিসেবে সরকারের এখন দৃঢ়চিত্তে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক : সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত সরকারকেই নিতে হবে। কারণ গণভোটের ব্যাপারে যদিও সবগুলো রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছে, গণভোট কখন হবে, কিভাবে হবে, গণভোটের ব্যাপারে প্রশ্ন কী হবে, এসব বিষয়ের এখতিয়ার সম্পূর্ণ সরকারের। এবং সরকারকেই শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নয়া দিগন্ত : সরকার কী পরামর্শ চাইতে পারে?
ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক: রাজনৈতিক দলগুলো পরামর্শ দিতে পারে। সিভিল সোসাইটি, আইনজীবীদের পরামর্শ চাইলেও শেষ পর্যন্ত সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটার ফুল পাওয়ার ও জুরিসডিক্সন ওনাদের আছে।
নয়া দিগন্ত : এই সিদ্ধান্ততো মনে হয় দ্রুত নিতেই হবে কারণ নির্বাচনমুখী একটা পরিবেশ, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়ন এগুলো দেখতে পাচ্ছি আমরা।
ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক : না সরকারতো প্রাজ্ঞ একটা সিদ্ধান্তই নিয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করেছিল যে নিজেদের মধ্যে সাত দিনের মধ্যে ওনারা একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারেন কি না। এখনতো সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং দ্রুতই নিতে হবে। কারণ যেহেতু সরকার ঘোষণা দিয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, সময়তো একেবারেই নেই, সেই জন্য সরকারকে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নয়া দিগন্ত : মানে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় নির্বাচনী হাওয়া আটকে আছে এমনটা বলা যায় কি না।
ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক : না তা না, সময় যেহেতু আজকেই (রোববার) শেষ হলো, এখনো সময় আছে, এই সপ্তাহটা দেখা যায়।
নয়া দিগন্ত : সরকার গুরুত্বসহকারেই তো বিষয়টা ভাবছে?
ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক : এক্সাটলি। সরকারও চাচ্ছে একই সময়ে সবাইকে নিয়ে চলা। কনফিডেন্সের ভিত্তিতে আগানো। সরকারতো সেটাই চায় এবং সেটা চাওয়াটাই স্বাভাবিক আর কি।
নয়া দিগন্ত : সরকারের তরফ থেকে আজকেও বলা হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই।
ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক : প্রত্যেক সরকারের প্রতিক্রিয়া থাকে যে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। এটা সবারই প্রত্যাশা থাকে। যেহেতু সময় কম আমরা সবাই আশা করি সরকার সঠিক সময়ে এবং দ্রুততার সাথে একটা সিদ্ধান্ত নিবে।



