আ’লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে সাধুবাদ ইসলামী দলগুলোর

খালিদ সাইফুল্লাহ
Printed Edition
শনিবার মধ্যরাতে মগবাজার চৌরাস্তায় পথসভায় বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান
শনিবার মধ্যরাতে মগবাজার চৌরাস্তায় পথসভায় বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান |নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে ইসলামী দলগুলো। তবে এতে জনতার প্রত্যাশার একাংশ পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন তারা। দলগুলোর নেতারা দ্রুতই বিচারিক প্রক্রিয়ায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের টালবাহানা করলে জনতা সরকারের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

গত বছরের জুলাই মাসে ৩৬ দিনব্যাপী আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে ইসলামী দলগুলো। বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে নিয়মিতই এ দাবি জানিয়ে আসছিল তারা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং সরকার এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। এজন্য জনমনে ক্ষোভ দেখা দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে সরকারের ব্যর্থতাও জনসাধারণকে ভাবিয়ে তোলে। সর্বশেষ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হঠাৎই বিদেশে চলে গেলে সরকারের প্রতি জনসাধারণের ক্ষোভ বেড়ে যায়। এজন্য গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি হাসনাত আব্দুল্লাহর ডাকে আন্দোলন শুরু হলে সে আন্দোলনে যোগ দেয় সব ইসলামী দল। দুই দিনের আন্দোলন শেষে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসে সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানিয়েছে ইসলামী দলগুলো। একই সাথে সরকারকে অবিলম্বে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিল এবং তাদের অপরাধী নেতাকর্মীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

হেফাজতে ইসলাম : আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা, ওলামায়ে কেরাম ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান। এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণায় ছাত্র-জনতাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের প্রথমিক বিজয়। হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন যে কোনো দাবি আদায়ের নিয়ামক শক্তি। দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায়, শান্তি নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রায় সুদৃঢ় ঐক্য মজবুত রাখতে হবে। বিবৃতিতে তিনি বিডিআর হত্যা, শাপলা চত্বর গণহত্যা, মোদী বিরোধী আন্দোলন ও জুলাই গণহত্যাসহ আওয়ামী আমলে গণহত্যার শিকার সব শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী : দলটির আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রাণের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই প্রোক্লেমেশন এখনো আসেনি। বিপ্লবের পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা এখনো পাইনি। তবে আমাদেরকে ধৈর্যের সাথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা জুলাইকে কোনোভাবেই হারিয়ে যেতে দেবো না বরং তা দেশ, জাতি, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যথাযথভাবে কাজে লাগাব। তিনি বলেন, আমরা শহীদ পরিবারের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। তারা সরকারের কাছে কোনো আর্থিক সহযোগিতা চায় না বরং তারা দ্রুততার সাথে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার চায়। জনগণ আশা করে বর্তমান বিপ্লবী সরকার জনগণের আবেগ-অনুভূতি ও আশা-আকাক্সক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে যৌক্তিক সব দাবি পূরণ করবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : দলটির আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী লীগ যে মাত্রায় অপরাধ করেছে তাতে অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের প্রথম কার্যদিবসেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে জনতাকে বৈশাখের প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে লাগাতার আন্দোলন করতে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করতে হয়েছে। তথাপিও গত পরশু উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা সাধ্বুাদ জানাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির আরো বলেন, মানুষের প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। উপদেষ্টা পরিষদ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় জনতার প্রত্যাশার একাংশ পূরণ হয়েছে। আমরা চাই অতি দ্রুততার সাথে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। বিগত ৯ মাসের মতো এই ক্ষেত্রে টালবাহানা করলে জনতা সরকারের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

খেলাফত মজলিস : ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। দলটির আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ এর আগে বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে সংঘটিত বিভিন্ন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ফ্যাসিবাদি দল আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত সত্য। দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অনেক নেতা-কর্মী মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত। এসব অপরাধীর এখনো অনুতাপের লেশমাত্র নেই। তারা আরো বলেন, খেলাফত মজলিস ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকেই হত্যাকারীদের বিচারের স্বার্থে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম বন্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। অবশেষে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়। এই আন্দোলনে খেলাফত মজলিসসহ দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও তাওহিদী জনতা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। আমরা সরকারকে অবিলম্বে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিল এবং তাদের অপরাধী নেতাকর্মীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলটির আমির শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে সময়োচিত, বাস্তবধর্মী এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদপে হিসেবে বিবেচনা করছি। এই সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার অতীতের অবিচার ও নিপীড়নের বিচারিক পথ সুগম করল। তারা বলেন, বিগত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের ওপর যে সীমাহীন নির্যাতন, হত্যা, গুম, গ্রেফতার ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তা ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস, বিরোধী মত দমন এবং ইসলামপন্থীদের ওপর অমানবিক হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নসহ ইত্যকার অপরাধের বিচারকাজ নির্বিঘœ ও নিরক্ষেপভাবে সম্পন্ন করতে হলে এই নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য ছিল। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনে করে, জাতিকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে হলে অতীতের সব অপরাধের বিচার হওয়া আবশ্যক। আর এই বিচারের পথে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি বড় অগ্রগতি। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্যাসিট হাসিনা, তার লেসপেন্সারদের এবং দল-আওয়ামী লীগের বিচারকার্যক্রম সম্পন্ন করুন। শাস্তি কার্যকর করুন।

খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী ও মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী এক যুক্ত বিবৃতিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা ও গণহত্যার দায়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার দাবি মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মোবারকবাদ জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় বলেন, শেখ হাসিনাসহ অপরাধে জড়িত দেশ-বিদেশে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীরা কে কোথায় লুকিয়ে আছে খুঁজে বের করতে হবে। এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যত দিন পর্যন্ত শাপলার গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, জুলাই ২৪-এর গণহত্যাসহ সব অপরাধের বিচার না হবে তত দিন আওয়ামী লীগের কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম জনগণ বাংলাদেশের মাটিতে দেখতে চায় না।

ইসলামী ঐক্যজোট : জোটের নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের মধ্য দিয়ে আজ জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসলে ফ্যাসিবাদমুক্ত হলো দেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। অবিলম্বে নিবন্ধনও বাতিল করতে হবে। তারা যেন কোনো নির্বাচন অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনে যেসব আওয়ামী লীগের দোসররা রয়েছে তাদেরকেও বিতাড়িত করতে হবে।

পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের যৌথ শুকরানা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মো: ইলিয়াস আতহারীর সভাপতিত্বে এবং ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বেলাল হোসাইনের পরিচালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, ঢাকা মহানগর সহসভাপতি মাওলানা নুরুল হক আরমান, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ : আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি বেগম জোবায়দা কাদের চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।

মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রনেতাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সাময়িক নিষিদ্ধ করায় আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। আমরা তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে যেন কোনো দলে স্থান দেয়া না হয়।

পরিশেষে আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা এবং মুসলিম লীগ নেতাকর্মীরা যারা সভাপতির নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য দলের সব কর্মসূচি স্থগিত করে আন্দোলনে ছিল তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।