নগরকান্দা-সালথার নদী-বিলে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্কট

Printed Edition
নগরকান্দার স্থানীয় বাজারে দেশী মাছের আকাল : নয়া দিগন্ত
নগরকান্দার স্থানীয় বাজারে দেশী মাছের আকাল : নয়া দিগন্ত

কাজী আফতাব হোসেন নগরকান্দা (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের মৎস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় ভরা বর্ষা মৌসুমেও দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র সঙ্কট দেখা গেছে। কয়েক বছর আগেও আশ্বিন-কার্তিক মাসে ঘোড়ামারা বিল, মাউড়ার বিল, কাজলডাঙ্গা বিল, কাইচাইল বিল এবং কুমার নদসহ খাল-বিল ও জলাশয়ে প্রচুর দেশী মাছ পাওয়া যেত। এখন এসব বিলে-ঝিলে ও জলাশয়ে মাছের দেখা মেলে খুবই কম। এতে স্থানীয় জেলে ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

এখন এ অঞ্চলে মানুষের প্রধান ভরসা হলো পুকুরে চাষ করা পাঙ্গাশ, কাতলা, পাবদা ও তেলাপিয়া। অথচ ঘোড়ামারা, খোয়াড়, কাকদি বাউড়, মজলিশপুর বিল, ধলেশ্বরী নদী ও কুমার নদ ছিল রুই, কাতলা, বোয়াল, পাবদা, টেংরা, কই, মাগুর, চিংড়ি, আইড়, রিঠা, বাইম, খলিশা ও কালিবাউশসহ দেশীয় মাছের ভাণ্ডার।

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, খাল-বিলের নাব্যতা সঙ্কট, কৃষি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার এবং কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ ও পোনা নিধন, অভয়াশ্রমে মা মাছ ধরা এবং জলাশয় ভরাটের কারণে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমেও নগরকান্দা ও সালথা অঞ্চলে মাছের প্রচুর আকাল লক্ষ্য করা যায়।

নগরকান্দা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আবরার বলেন, দেশী মাছ রক্ষায় অভয়াশ্রম স্থাপন, পোনা অবমুক্তকরণ ও প্রদর্শনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে অনেক অভয়াশ্রমের অবকাঠামো ভেঙে পড়ায় সেখান থেকে নির্বিচারে মাছ ধরার ঘটনা ঘটছে।