ইরানে ইসরাইলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে এমন জল্পনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউজে দু’জনের একসাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা। এ বৈঠকে গণমাধ্যমের কারো থাকার কথা নয়। জেনারেল মুনির ১৪ জুন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তার সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক আগেই নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু ঘটনাচক্রে সেই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ইসরাইল-ইরান পাল্টাপাল্টি আকাশপথে হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য তেঁতে রয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় ওয়াশিংটনও শিগগিরই যোগ দিচ্ছে বলে ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্র এতে যোগ দিলে যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য এমনকি এর বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
তার মধ্যেই আসিম মুনিরের সাথে ট্রাম্পের বৈঠক পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোরও নজর কাড়ছে। ইরানের সাথে পাকিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। ইসলামাবাদ চলতি সপ্তাহেই ওই সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েক দিন আগে ভারতের সাথে সঙ্ঘাতের পর দেশে ‘ফিল্ড মার্শাল’ খেতাব পাওয়া আসিম মুনির পাকিস্তানের রাজনীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বেশ প্রভাবশালী। মে-র শেষ ভাগে তিনি ইরানি সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরির সাথেও বৈঠক করেছিলেন বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যমগুলো। শুক্রবার ইরানে ইসরাইলের হামলার প্রথম দিনই বাঘেরি নিহত হন।



