আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন-২০২৫ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে। তাদের মতে, প্রশাসনের একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করছে যাতে নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে না হয়।
প্রার্থীরা বলছেন, প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নেই এমন অজুহাত দিয়ে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর চেষ্টা করছে। তাদের মতে যথাসময়ে ডাকসু নির্বাচন হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আছে। ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন পেছানো হলে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তারা।
এর আগে, ২২ আগস্ট রাতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের কমিশন এবং প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে বেশ কিছু উদ্বেগের কথা বলেছেন প্রাধ্যক্ষরা।
ওই বৈঠকের আলোচনার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রাধ্যক্ষরা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, সভায় কয়েকজন প্রাধ্যক্ষ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকা (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন করার ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তাদের কেউ।
একজন প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে যারা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, তারা মব ক্রিয়েট করে বিভিন্ন রকম হেনস্তার সাথে জড়িত ছিল। তারা বিভিন্ন প্যানেল থেকে নির্বাচন করছে। এতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রার্থীদের ওপর প্রভাব ফেলছে। কেননা তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে একক আধিপত্য বিস্তার করেছে।
আরেকজন প্রাধ্যক্ষ বলেন, বিভিন্ন হলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধিদের কেউ বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবগুলোতে ছাত্রদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। সেটাও পরিবেশের একটা অন্তরায়।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির পৃথক বৈঠকেও একই ধরনের আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে একজন প্রাধ্যক্ষ বলেন, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মামুন বলেন, সভায় অনেক কথা এসেছে, তিনি একা কিছু বলেননি। এ ব্যাপারে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ কেমন আছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সব মিলিয়ে। কোথাও ভালো, কোথাও সমস্যা আছে; অর্থাৎ ভালো মন্দ মিলিয়ে মতামত এসেছে। সমস্যাগুলো কিভাবে কাটানো যায় সেই বিষয়ে স্যার বলেছেন। ওভারঅল পরিবেশ ভালো রাখার জন্য বলা হয়েছে। সবার জন্য সমান সুযোগ রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে কারো জন্য সমস্যা তৈরি না হয়।’
ছাত্রদলের প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ডাকসু নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হওয়ার পক্ষে রয়েছে। বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করছেন। এখানে যত ছাত্র সংগঠন ও প্রার্থী আছে, তারা সবাই ডাকসু নির্বাচন যথাসময়ে হওয়ার পক্ষে। যদি যথাসময়ে এ নির্বাচন না হয়, তাহলে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন করব।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে। না হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কেউ যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করবে। আমাদের কাছে বিকল্প কোনো অপশন নেই। অলরেডি অনেক দেরি হয়ে গেছে।’
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, প্রশাসন নিজে থেকে ডাকসু নির্বাচন দিচ্ছে না, বরং বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের কারণে দিচ্ছে। ডাকসুর জন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করেছে। আমি নিজেও অনশনসহ নানা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলাম। প্রশাসন কখনোই ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক ছিল না। তারা এখনো সূক্ষ্ম কিছু বিরোধপূর্ণ বিষয় জিইয়ে রেখেছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে নির্বাচন স্থগিত রাখা যায়। নির্ধারিত সময়ে যদি ডাকসু নির্বাচন না হয়, তাহলে কী কারণে হয়নি, সেটা আজ আমাদের বুঝতে হবে। যদি ডাকসু নির্বাচনের সময় পেছানোর সিদ্ধান্তে সব প্যানেলের প্রার্থীরা একমত হয়, তবে সেটা অন্য বিষয়। যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন পেছানো হয়, তাহলে আমরা তা মেনে নেব না।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী আল সাদী ভুইয়ান বলেন, ডাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দিলে এই নির্বাচন হয়তো আর হবে না। ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য আমরা সর্বদা পাশে আছি। যারা হলের এসির নিচে বসে বলছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, আসলে তাদের মাঠে এসে প্রার্থীদের প্রচারণা দেখা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ডাকসু নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশই আছে। যারা ডাকসু নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবে, সফল হবে না। প্রশাসনের কাছে আমার আহ্বান থাকবে তারা যেন সঠিক সময়ে নির্বাচন দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে।
প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের এজিএস জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ক্রস স্টার্লিং কমিটির মিটিংয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। ডাকসু নির্বাচন হবে কি না বা এটি পেছানোর জন্য যে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাদের দায়-দায়িত্ব আছে, তারা যথাযথভাবে তা পালন করছেন না। বরং তারাই ষড়যন্ত্র হাজির করছেন। যদি ষড়যন্ত্র করে ডাকসু নির্বাচন পেছানো হয়, তাহলে ছাত্রসংগঠনগুলো এবং শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না।
প্রাধ্যক্ষদের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, গত শুক্রবারের মিটিংয়ে মোট ১২-১৩টি বিষয়ে বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা কথা বলেছেন। তার মধ্যে ছাত্রলীগের বিচার, ভোটার তালিকায় তাদের থাকার বিষয়, শৃঙ্খলা কমিটির বিষয়, ছাত্রশিবির যদি ইন্টারনালি থেকে থাকে, বিভিন্ন ক্লাবে থাকলে কী হবে, বাগছাস বিভিন্ন নামে থাকলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে। শুধু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয় না, আলোচনাটা এসেছে যে, হলকেন্দ্রিক সমস্যাগুলো আছে। সেক্ষেত্রে এগুলো আমরা যদি সমাধান না করে এগিয়ে যাই, তাহলে বড় বিপদ হবে কি না।
নির্বাচনের বিষয়ে ‘অবস্থান স্পষ্ট’ হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার অবস্থান এ ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট যে, আমরা কোনো আইডিয়াল জগতে বসবাস করি না। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রত্যেকটা কনসার্ন পেয়ে যত সম্ভব দূর করার চেষ্টা করছে। আমার অবস্থান হচ্ছে যে কবে সবকিছু নিখুঁত হবে, তারপর আমরা কাজ শুরু করব- এগুলো সব তাত্ত্বিক কথা। তাত্ত্বিক কথাবার্তার মধ্যে আমি নাই। আমার কথা খুব পরিষ্কার, আমি এখানে শখ করে নির্বাচনের জন্য নামি নাই। এটা নেমেছি কারণ, এটাতে ব্যাপক এবং বিপুল একটা আগ্রহ ছাত্রদের আছে।’
প্রাধ্যক্ষদের প্রতিটি উদ্বেগ নিরসনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নিতে চাই, আমরা চাই যে আসলেই সবাই আসুক। আমি প্রথম থেকেই বলছি, আমার কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডা নাই। কিছু বিষয়ে শঙ্কাতো আছেই। আছে দেখেই আমি চেষ্টা করছি, সবাই চেষ্টা করছি। আবার এটাও সত্যি কথা অনেক সমর্থনও আছে। সমর্থন না থাকলে টিকতে পারতাম না। এই ধরনের একটা আয়োজন, যেটা কোনো অর্থে জাতীয় নির্বাচনের চাইতেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি সাড়া জাগাচ্ছে। সেজন্য এইসব ক্ষেত্রে কিছু ষড়যন্ত্র থাকবে, কিছু সংঘাত থাকবে। আবার সমর্থনও আছে। শক্তিটাতো আমাদের ওটাই। আমি যদি কোনোরকম লুকোচুরি না করি, আমার যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে সফল হবই।
ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতায় বাতিল হচ্ছে দুজনের প্রার্থিতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রার্থিতা বাতিল হতে যাচ্ছে স্বতন্ত্র ভিপি (সহ-সভাপতি) পদপ্রার্থী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো: জুলিয়াস সিজার তালুকদার। নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা থাকায় তিনিসহ বায়েজিদ বোস্তামী নামে আরো একজন বাদ পড়তে যাচ্ছেন।
গতকাল বিকেলে ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বাতিলকৃত প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইবুন্যাল কমিটির সভার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তা ছাড়া তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকেও বাদ দেয়া যেতে পারে পরে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এটি উচ্চতর কমিটি, এই কমিটির সুপারিশ আমরা মানতে বাধ্য। ফলে পূর্ণ কমিশন বসে এই দুজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ট্রাইব্যুনাল কমিটির সুপারিশ বলছে, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বায়েজিদ বোস্তামী সন্ত্রাসের দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিল। অনুরূপ ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে ইতঃপূর্বে বাদ দেয়া হয়েছে বিধায় এই দুই শিক্ষার্থীর নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে। ফলে মো: জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও বায়েজিদ বোস্তামীর প্রার্থিতাও বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হলো।
সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান জিলানী ও মো: খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে যথাযথ প্রমাণাদি না থাকায় এবং অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর স্বাক্ষর না থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মনোনীত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আবাসিক হলের রিডিংরুমে (পাঠকক্ষ) ঢুকে শিক্ষার্থীদের সাথে করমর্দন ও কোলাকুলি করে ভোট প্রার্থনা করেন যা আচরণবিধি অনুযায়ী নিষিদ্ধ। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
গতকাল আবিদুল ইসলাম খান হল পাড়ায় আসেন শিক্ষার্থীদের কাছে। এর আগে তিনি অমর একুশে হলের রিডিংরুমে প্রবেশ করে একাধিক শিক্ষার্থীর কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দিতে থাকেন দোয়া/সমর্থন চান এবং কয়েকজনের সাথে কোলাকুলি করেন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর নির্বাচনী বিধিমালা ৬(চ) অনুযায়ী, শ্রেণীকক্ষ, পাঠকক্ষ, পরীক্ষার হলসহ পাঠদান বা অধ্যয়ন ব্যাহত হতে পারে, এমন স্থানে সভা/সমাবেশ বা নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না। আর বিধিমালা ১৭ অনুযায়ী, আচরণবিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার বা আইন অনুযায়ী অন্যান্য দণ্ডের বিধান আছে।
এ দিকে এ ঘটনায় গতকাল নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থী ও ভোটার শাহজামাল সায়েম। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, ২১ আগস্ট থেকে অভিযোগের দিন পর্যন্ত প্রার্থী একাধিক কমিশন বিজ্ঞপ্তি অমান্য করে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমের স্ক্রিনশট ও একটি ভিডিও লিংক সংযুক্ত আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘কেউ যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে, তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ একাধিকবার চেষ্টা করেও এ বিষয়ে আবিদুল ইসলাম খানের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ছাত্রদলের ডাকসু প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী তানভীর হাদি আল মায়েদ বলেন, বিষয়টি আমি মাত্র জেনেছি এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে জানাব।