আলজাজিরা
লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করে ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্যারিসের একটি ফৌজদারি আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত সারকোজিকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত করলেও অবৈধ অর্থায়ন ও ঘুষ গ্রহণসহ অন্যান্য অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
২০০৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে গাদ্দাফির সাথে একটি চুক্তি করে আন্তর্জাতিকভাবে লিবিয়ার সরকারকে সমর্থন দেয়ার বিনিময়ে প্রচারণার জন্য অর্থ নিয়েছিলেন সারকোজি, এমন অভিযোগে মামলাটি গড়ে ওঠে। সারকোজি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২০১১ সালে একটি লিবীয় সংবাদ সংস্থা এবং গাদ্দাফি নিজেই দাবি করেন, ফ্রান্সের ২০০৭ সালের নির্বাচনে সারকোজির প্রচারণায় লিবিয়া গোপনে কোটি কোটি ইউরো পাঠিয়েছিল।
২০১২ সালে ফরাসি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম মেডিয়াপার্ট একটি লিবীয় গোয়েন্দা মেমো প্রকাশ করে, যেখানে ৫০ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়নের উল্লেখ ছিল। সারকোজি ওই নথিকে জাল বলে দাবি করে মানহানির মামলা করেন। বিচারক নাথালি গাভারিনো বলেন, সারকোজি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে লিবীয় কর্তৃপক্ষের সাথে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে আদালত সরাসরি সারকোজিকে অবৈধ অর্থের সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত করেনি।
সারকোজির দুই সাবেক মন্ত্রী ক্লদ গুয়ান ও ব্রিস হরতোফেউ অপরাধমূলক সংস্থার সাথে সম্পৃক্ততার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, যদিও অন্যান্য অভিযোগ থেকে তারা মুক্তি পেয়েছেন। সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ২০১৭ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। এর আগেও তিনি দুর্নীতির মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড পেয়েছিলেন, যার তিন মাস তিনি ইলেকট্রনিক ট্যাগে কাটান। বিগমালিয়ন নামে আরেকটি মামলায় অবৈধ প্রচারণা অর্থায়নের দায়ে এক বছরের সাজা হয়, যার অর্ধেক স্থগিত।