সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার বলেছেন শেখ হাসিনার পলায়নের পরেও আমাদের সবার মধ্যে সচেতনভাবে অথবা অবচেতনভাবে এক টুকরা হাসিনা ঢুকে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীরা চাঁদাবাজি করছে, দখলদারিত্ব করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছে এটি খুবই প্রকাশ্য। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম, গোপালগঞ্জের ঘটনা, রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি বিষোদগার এগুলো দেখে আমার মনে হচ্ছে নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশটা দরকার, ক্রমে আমরা সেই পরিবেশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। অথবা ওই পরিবেশের কাছাকাছি আসতে পারছি না।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন ঠিক থাকার কথা, সামাজিক সৌহার্দ্য থাকার কথা, একটা রাজনৈতিক সংহতি থাকার কথা, এ ছাড়া কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে না। পুলিশ বলেন, বেসামরিক প্রশাসন বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেন তারা এগুলোর ওপর নির্ভর করে নির্বাচন পরিকল্পনা করে। সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করে আশরাফ কায়সার বলেন, জামায়াত এবং এনসিপি বলেছে যে সংস্কার ও বিচার ছাড়া তারা নির্বাচন চায় না। বিএনপি বলছে দলটি একটি ন্যূনতম সংস্কারে আগ্রহী। তারা আগে চাচ্ছে নির্বাচন। যদি নির্বাচনের মাঠটি সুন্দর করে সাজানো না যায় এবং আইনশৃঙ্খলা ও বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সরকারের সক্ষমতা দেখা যাচ্ছে না। অস্থিতিশীল পরিবেশ ও গোপালগঞ্জের মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানোর পর সেটি নিয়ে মিথ্যাচার করা, এসব দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচন ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে। নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আশরাফ কায়সার এসব কথা বলেন।
নয়া দিগন্ত : অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দৃশ্যমান ঐক্য দেখাতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করছেন, তারপরও একটা শক্তিশালী ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির অভাব কেন মনে হচ্ছে?
আশরাফ কায়সার : অনেকগুলো বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে অনৈক্য হয়েছে এবং তার প্রতিক্রিয়া আমরা মাঠেও দেখতে পাচ্ছি, যেটা পদযাত্রা করছে একটি দল, জামায়াতে ইসলামী মহাসমাবেশ করল, বিএনপির সাথে জামায়াতের দৃশ্যত অনেক বিপরীত অবস্থান তৈরি হয়েছে, আমার ধারণা এতে অন্তর্বর্তী সরকারের মনে হয়েছে তাদেরকে আর একবার বলা দরকার যে দেশ এখনো ইন্ডিপেনডেন্টলি বিরোধিতার জায়গায় যায়নি। আর যেহেতু আবার স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার পরে কোনো কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির অনুপ্রবেশ দেখতে পাচ্ছি। সেটা মাঠেও পাচ্ছি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাচ্ছি। এ জন্য আমার ধারণা সরকার যেটা বলতে চেয়েছে যে আপনাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকুক, কিন্তু সেটি যেন মাত্রা ছাড়িয়ে না যায় এক, আর দুই, যেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী অবস্থান যেন অটুট রাখা হয় দেশের স্বার্থে।
নয়া দিগন্ত : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহনশীল ও আত্মসংযমের মাধ্যমে সমাজ গড়ে তুলতে বলেছেন তার মানে আমাদের রাজনৈতিক ঐক্য এখন গড়ে তোলা জরুরি নয়কি?
আশরাফ কায়সার : অফকোর্স জরুরি। দেখুন আপনি যদি জনগণের রাজনীতি করেন, মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে পলাতক শক্তির কোনো যেন পুনর্বাসন না হয়। সেটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে না, সেটি আইনশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে না, এমনকি সেটি ধরেন প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেও না। এটি হচ্ছে মানুষের চাওয়া, আশা আকাক্সক্ষা। কাজেই আপনি ওই জায়গাগুলোতে একমত থাকবেন, সংহতি থাকবে, দৃঢ়অবস্থান থাকবে, তারপরে আপনি দলীয় রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু আমার অনেকটা মনে হচ্ছে যে আমাদের দেশে লাইনটা একটু ‘ব্লার্ড’ হয়ে গেছে। আমরা অনেকে ভাবছি যে এইটা আমার ক্ষমতায় যাওয়ার মোক্ষম সুযোগ। আমরা কেউ ভাবছি যে আওয়ামী লীগের সম্পদ এবং পালিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক অবস্থানকে দখল করার এইটাই সময়। আমরা কেউ হয়তো ভাবছি, দেশের সব সংস্কার করে ফেলব এক ধাক্কায়। এই যে বিপরীতমুখী চেষ্টাগুলো সেই ফাঁকগুলো দিয়ে এসে ফ্যাসিবাদী শক্তি কিন্তু পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আপনি জানেন প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের এই পরিবর্তন, এই সরকারকে মেনে নেয়নি। এটি তারা প্রকাশ্যে বলেছে, কূটনৈতিক ভাষায় বলেছে। কাজেই যখনই কোনো ল অর্ডার সিচুয়েশনের সুযোগ তৈরি হয়, আমরা এই অপশক্তিগুলোকে পুনর্বার ফিরে আসার একটা অপচেষ্টা দেখতে পাই। এখন প্রধান
নয়া দিগন্ত : রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা তাড়াহুড়া লক্ষ করা যাচ্ছে এটা কি নির্বাচন ঘনিয়ে আসার একটা ব্যাপার বা রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডাভিত্তিক হয়ে যাওয়ার ব্যাপার কিংবা যার জন্য তারা সংস্কারের চেয়ে নির্বাচন নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যে চলে যেতে চাচ্ছে...
আশরাফ কায়সার : আপনাকে বলি, যে তাড়াহুড়ার প্রবণতটা দৃশ্যমান। এবং সবাই ভাবছে যে জুলাই আগস্ট যা হওয়ার তা হয়েছে এখন আমার আখের গুছিয়ে নিতে হবে এবং সেটা নির্বাচনের ভেতর দিয়ে হোক। কেউ আবার সংস্কারের ভেতর দিয়েও তার আখের গুছিয়ে নিতে চাচ্ছে। আবার একসময় আমরাই বলছিলাম যে নির্বাচনটা আরো পরে হলে ভালো হয়। একটা মৌলিক সংস্কারের জায়গা তৈরি হওয়ার পরে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে অন্তর্বর্তী সরকার যে দুর্বল সরকার তার চেয়ে নির্বাচিত সরকার হওয়াটা জরুরি। কেননা জাতীয় স্থিতি রাখতে আমাদের মনে হয়েছে যে নির্বাচিত সরকারই উইল বি বেটার অপশন। তবে মৌলিক সংস্কারগুলো যে জায়গাগুলোতে যেমন আপনার প্রতিষ্ঠান শক্ত হবে, প্রধানমন্ত্রীর অপার ক্ষমতা থাকবে না। সংসদ কার্যকর হবে। এ জায়গাগুলোতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার উপায় নাই।
নয়া দিগন্ত : আপনি বলতে চাচ্ছেন, রাষ্ট্রকাঠামোর কিছু মৌলিক সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার খুব একটা বেশি কিছু করতেও পারবে না মনে হয় ভবিষ্যতে...
আশরাফ কায়সার : এটি বলতে চাই কেননা আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা হচ্ছে যে রাজনৈতিক সরকার। ২০০৭-০৮এর সংস্কার প্রস্তাবগুলো যে দেখেছেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার এসে তা সংসদে বিল আকারে আনেনি এবং তার একটিও বাস্তবায়ন করেনি। তার মানে আমাদের সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে যে একটি রাজনৈতিক সরকার মানুষের যে আশা-আকাক্সক্ষা তার পক্ষে কাজ করেনি। এখন ধরুন আগামী রাজনৈতিক সরকার তার চেয়ে অনেক ভিন্ন হবে। কিন্তু আমরা ওটাকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে না দিয়ে আমরা যেন অন্তত মৌলিক সংস্কারগুলোতে তাদের কমিটমেন্ট আদায় করে নিয়ে নির্বাচনে যেতে পারি।
নয়া দিগন্ত : এ ধরনের চর্চার মধ্যে আপনি কি মনে করেন যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে থিংকট্যাংকের একটা বড় অভাব রয়ে গেছে...
আশরাফ কায়সার : এইটা আমি একদম প্রকাশ্যে বলতে চাই রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্বল এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান যার ওপর একটা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করতে পারে অথবা জনগণের আশা আকাক্সক্ষা বোঝার এবং বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা তৈরি হতে পারে সেপর্যায়ে আমাদের দলগুলো নেই। আমাদের দলগুলো মূলত এক নেতাভিত্তিক এবং দলদাসভিত্তিক। সেখানে ভিন্নমতের মানুষ, চিন্তাশীল মানুষ এমন কি আপনার জন্য ‘আনকমফোর্টেবল থিংকিং’ করার মানুষ দলগুলোতে নেই। দলগুলো ওই ভিত্তি বা বেজটা তৈরি করতে পারেনি। দলগুলোর থিংকট্যাংক নেই। ধরুন আগামীতে যারাই সরকার গঠন করবে তাদের রাষ্ট্রচিন্তা কী? তাদের পররাষ্ট্র চিন্তা কী? তাদের কর্মসংস্থানের চিন্তা কী? তাদের নারীদের বিষয়ে অবস্থান কী? এগুলো আমরা প্রকাশ্যে তাদের ঘোষণা করতে দেখতে চাই। এমনকি যারা সরকার গঠন করবেন না তারা ছায়া সরকার হিসেবে এই কাজগুলো করবেন বলে আমরা আশা করি। কথায় কথায় তারা তো পশ্চিমা ধারার গণতন্ত্রের কথা বলেন। কিন্তু কাজে গিয়ে আমরা কিন্তু সেটি দেখি না। এখানে সবাই চায় ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতার একটা অপার আকর্ষণ তৈরি হয় দুর্নীতি করা বা টাকা বানানো, কেউবা প্রভাব বিস্তার করার জন্য। কিন্তু এটি যে আপনার দায়িত্ব এই ব
নয়া দিগন্ত : তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে জনগণ বা ভোটাররা একটা চয়েস বা পছন্দ বেছে নিতে অক্ষম হয়ে পড়ে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো তা তাদের কাছে তুলে না ধরে, সাধারণ মানুষ কাকে কেন ভোট দেবে সেক্ষেত্রে তো তাকে বেগ পেতে হয়...
আশরাফ কায়সার : না না সাংঘাতিকভাবে বেগ পেতে হয়। কথা ছিল যে ইস্যুভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেবে। এই যে আমি চার-পাঁচটা প্যারামিটার বললাম, রাজনৈতিক দলগুলোকে আমি এই অবস্থা থেকে বিবেচনা করতে চাই কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক শেষ পর্যন্ত মার্কা হয়ে ওঠে তার সবচেয়ে প্রধান উপজীব্য। যে আপনি কোন মার্কায় ভোট দেবেন। ভাই মার্কাটার পেছনে তার রাজনৈতিক দর্শনটা কী? রাজনৈতিক কমিটমেন্ট কী? এবং বিভিন্ন ইস্যুতে তার অবস্থান কী? এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো আমাদেরকে অন্ধকারে রেখে তাদেরকে সমর্থন দিতে বলে। এবং কোনো গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বা চিন্তাশীল মানুষের পক্ষে সেটি করা সম্ভব না। এবং ওটি করতে গিয়ে তারা ভাবেন তারা অনেক বেনিফেসিয়ারি হয়েছেন। আসলে কিন্তু তারা দেখুন আপনার এক দশক, দুই দশক পরপর তারা পতিত হন। এবং পাটাতনটি পর্যন্ত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। কাজেই যারা রাজনৈতিক শাসন চান, যারা গণতান্ত্রিক শাসনের ধারবাহিকতা চান, তাদের উচিত হবে এই কাঠামোগুলোকে শক্তিশালী করতে যেকোনো সংস্কারে রাজি হওয়া।
নয়া দিগন্ত : এই অবস্থায় আল্লাহ না করুন যদি আমরা জুলাই আন্দোলনের ট্রেন মিস করি তাহলে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
আশরাফ কায়সার : রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এবং রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই এজন্য দায়ী হবেন। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করেন ঐকমত্য কমিশনে কিন্তু শ্রমিক, কৃষক, জনগণ তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নাই। তারা আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চা বিস্কুট খেয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু আমরা যদি জুলাই আগস্টে দেখি যারা গণ-অভ্যুত্থানে ছিলেন তাদের মতামতটি কি করে প্রতিফলিত হচ্ছে আমাদের সংস্কারে। এই প্রশ্নের উত্তর আমার ধারণা যারা সংস্কারের সাথে যুক্ত তাদের পক্ষে কঠিন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পছন্দ করে তারা ছাত্র, শ্রমিক, জনতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু কার্যত আমরা দেখি তারা দলদাসদের প্রতিনিধিত্ব করে। কাজেই এখানে একটা গ্যাপ বা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সামনের সময়ে যদি আপনি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী না করেন, সংস্কারের ব্যাপারে একমত না হন এবং আপনার যদি ভেতর থেকে সুশাসনের কমিটমেন্ট তৈরি না হয় তাহলে আপনি আগামী কয়েক বছর পরে আবার একটি দুঃসময় দেখতে পাবেন। এবং সেটি হয়তো অতীতের মতো না, ভিন্ন কিছু হবে।
নয়া দিগন্ত : আপনি বলেছেন আমাদের সবার মধ্যে একটুকরা শেখ হাসিনা ঢুকে গেছে, এই মনোভাবটাও তো একটা বড় বাধা...
আশরাফ কায়সার : ও এইটা খুব বড় বাধা। আপনি খেয়াল করে দেখবেন ব্রিটিশদের বিতাড়নের পরে আমরা কিন্তু সব ব্রিটিশ আইন কানুন রেখেছি, অপশাসনের সব টুলস অ্যাকটিভ রেখেছি। আমরা চেয়েছিলাম সাদা লোকদের জায়গায় আমরা বসব এবং আমি সেই চেয়ারের মালিক হবো। আমি দেখতে পাচ্ছি শেখ হাসিনার পলায়নের পরে সবার ভেতরে যে একটুকরা শেখ হাসিনা ঢুকেছে তারা কেউ কেউ চিন্তা করে অথবা অবচেতন মনে শেখ হাসিনার মতোই ব্যবহার করছেন। এই যে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার যাদেরকে বলে থাকি যারা কোনো রাজনৈতিক শক্তি না তাদের প্রশাসনে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারটিও কিন্তু ওরকম। রাতের বেলা তারা অর্ডিন্যান্স দেন, গণভবন জাদুঘর হবে। ১১১ কোটি টাকার পারচেজ হচ্ছে। এটি অত্যন্ত বড় অঙ্ক। এই যে এটা আপনি জানেন সিঙ্গেল সোর্সে পারচেজ হচ্ছে। পৃথিবীর যেকোনো যায়গায় এটি দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সরকার কি এগুলো বোঝে না। এ সরকারের তো অনেক লোক আছে যারা অতীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাহলে কেন তারা বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের প্রীতিস্মারক জাদুঘরে দুর্নীতির ওই ব্যাপারটি জিইয়ে রাখবেন। আমাদের মনে হয় আচরণে এটা একটা কারণ সেই ব্যুরোক্র্যাসি সেই আমলারা যারা অতীতে কুশাসনকে প্রলম্বিত করেছিলেন। তারাই এ সরকার এবং আগামী সরকারের চালিকাশক্তি হচ্ছে।