পেঁপে একটি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল, যা সহজলভ্য এবং সারা বছর পাওয়া যায়। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। আছে প্রোটিন, চর্বি, তেল, এনজাইম, পলিস্যাকারাইড, ফ্যাভোনয়েড, ভিটামিন ও খনিজ। এতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। তবে ভিটামিন সি আছে প্রচুর।
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম রয়েছে, যা হজমের জন্য উপকারী। ফাইবার থাকে অনেক, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ভিটামিন এ ও সি রয়েছে প্রচুর, যা নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। প্রোভিটামিন, ডায়েটারি ফাইবার ও খনিজ পদার্থ দাঁতব্যথা, মুখের আলসার ও মাড়ির রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। কাঁচা পেঁপেতে থাকা ফলিক অ্যাসিড কিছু প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। ভিটামিন সি জয়েন্টের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা পেঁপেতে এনজাইম প্যাপাইন ও ভিটামিন সি বেশি, অপর দিকে পাকা পেঁপেতে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি। কাঁচা পেঁপে হজমশক্তির জন্য বেশি ভালো, পাকা পেঁপেতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি বলে ত্বকের জন্য ভালো। কাঁচা পেঁপেতে ক্যালরির পরিমাণ কম, পাকা পেঁপেতে ক্যালরি একটু বেশি। যাঁদের ডায়াবেটিস ও ওজন বেশি, তাঁদের জন্য পাকা পেঁপের চেয়ে কাঁচা পেঁপে ভালো।
কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে পারেন। মাংস নরম করার জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। কারণ, এর এনজাইম মাংস গলতে সাহায্য করে। সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। আচার করেও অনেকে খেয়ে থাকেন।
তবে পাঁচ ধরনের ব্যক্তির কাঁচা পেঁপে না খাওয়া ভালো। কাঁচা পেঁপে গর্ভাবস্থায় অসময়ে জরায়ু সঙ্কোচন শুরু করে দিতে পারে। তাই এ সময় এটি এড়িয়ে চলা ভালো। যাদের হৃৎস্পন্দনজনিত সমস্যা আছে, তারাও এড়িয়ে চলবেন।
কাঁচা পেঁপে কারো কারো েেত্র তীব্র অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, তারা বেশি পরিমাণে খেলে আয়োডিন শোষণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনিতে পাথর রয়েছে এমন রোগীর বেশি পরিমাণে না খাওয়া উচিত।
যাদের হজমজনিত সমস্যা যেমন আইবিএস আছে, তারা কাঁচা শাকসবজি পরিমিত পরিমাণে খাবেন কিংবা সমস্যা হলে এড়িয়ে যাবেন। ইন্টারনেট।