পূজা যখন রাজনীতির হাতিয়ার

মুসলিমদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতাকে হাসিনা পছন্দ করেন না। এটা মোদির ইসলাম পছন্দের সাথে মেলে। মোদি সেই ইসলামকে মানবেন যেটা শুধু খানকায় থাকে। রাষ্ট্র নির্মাণে, অধিকার আদায়ে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। যেখানে হাসিনাও একমত।

হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে। এবারের পূজার সময় মূর্তি ভাঙা, মন্দিরে হামলার মতো ঘটনা ঘটবে বলে প্রচার-প্রচারণা ছিল। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা এবং সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সতর্ক অবস্থানের সুবাদে তেমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। ধর্মীয় উৎসবকে একটি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের পুরনো অপচেষ্টা এবারো ছিল। তাতে ভারতের শাসকগোষ্ঠীর উসকানিও ছিল বরাবরের মতো। সংখ্যালঘু পীড়নের এমন অপবাদ দিয়ে যাদেরকে সাম্প্রদায়িক অসুর দানব হিসাবে দেখানো হয় তারাই হিন্দুদের পূজা নির্বিঘ্নে পালনের সুযোগ করে দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে যারা অসৎ উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ আনেন তাদেরই দেখা গেল পূজাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কাজে ব্যবহার করতে।

দুই বাংলাতেই পূজাকে এবারো হাতিয়ার বানানো হয়েছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও উসকানি ছড়ানোর কাজে। পূজার থিম নির্ধারণের মাধ্যমে এবারো নোংরা রাজনীতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের একটি মণ্ডপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে নিশানা করা হয়। তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে মন্দের প্রতীক অসুর বা রাক্ষস হিসাবে। এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? ছাত্র-জনতা নজিরবিহীন অভ্যুত্থান ঘটিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছে। হাসিনা গুম খুন করে দেশকে নরক বানিয়ে ফেলেছিলেন। ছাত্ররাই ড. ইউনূসকে সরকারে এনেছে। হিসাব মতে, হাসিনারই তো অসুর হওয়ার কথা। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের দেড় দশকে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের কোনো মণ্ডপে হাসিনাকে অসুর বানানো হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এবার পূজাকে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের টুল বানানো হয়। এবারের দুর্গাপূজায় বাংলাদেশের ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দেশে স্বাধীনতার পর থেকে দাড়ি টুপিওয়ালাদের নাটক সিনেমায় দৈত্য দানব হিসেবে প্রদর্শনের প্রবণতা দেখা গেছে। কালচারাল ফ্যাসিজমের সেই ছায়া এবার পূজায় ঢোকানো হয়েছে। হিন্দুদের সর্ববৃহৎ উৎসবকে কাজে লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা এখানে স্পষ্ট।

পশ্চিমবঙ্গের পূজায় ইউনূসের পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শাহবাজ শরিফকেও অসুর বানিয়েছে। ট্রাম্প কয়েক মাস আগে পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে প্রিয় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি মোদির বন্ধু। দেশীয় স্বার্থ রক্ষায় শুল্ক আরোপ এবং রাশিয়া থেকে তেল কিনতে নিষেধ করার সাথে সাথে বন্ধু ট্রাম্প হয়ে গেলেন অসুর।

অপারেশন সিঁদুরের নামে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। দানবীয় আচরণ করেছেন মোদি। তিনি পুরনো সময় থেকে গণহত্যাকারী সংখ্যালঘুদের রক্তপিপাসু পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের কোনো মণ্ডপে আজ পর্যন্ত কেউ মোদিকে অসুর হিসেবে উপস্থাপন করেনি। হামলার শিকার শাহবাজই অসুর হয়ে গেলেন। অপারেশন সিঁদুরকেও এবার পূজার থিম বানানো হয়। একটি দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হামলার ঘটনাকে সামরিক বাহিনীর বীরত্বগাথা হিসেবে উপস্থাপন করা হয় পূজায়। যদিও যুদ্ধে ভারত জয় পায়নি। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে দেশটি মানমর্যাদা হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে গেছে। ধর্মকে এতটা সঙ্কীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করার নজির দ্বিতীয়টা পাওয়া যাবে না। ভারত সরকার যেহেতু আয়োজকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তাই বুঝতে হবে এতে তাদের সমর্থন আছে। এর পরও ভারতের অসাম্প্রদায়িক ভাবমর্যাদা নষ্ট হওয়ার আলাপ দেখা যায় না। ভারতীয় মিডিয়ায় এর সমালোচনা নেই। বাংলাদেশের ভারত-বান্ধব মিডিয়ায় এর সমালোচনা হওয়ার আশা বাতুলতা।

গত বছরের দুর্গাপূজার আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সবাই পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে তাদের আশ্বস্ত করেন। প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও হাজির হন পূজামণ্ডপে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এমনকি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানও পূজামণ্ডপে গিয়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমনটা দেখা যায় না। এ দিকে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা রাত জেগে তাদের মন্দির পাহারা দিয়েছেন। হাসিনা পালানোর পর থেকে মোদি সরকার ক্রমাগত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করে গেছে। লাজলজ্জার কোনো তোয়াক্কা না করে এটি তারা করেছে। বাংলাদেশ তাদের মিথ্যা অভিযোগের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত।

এবারো দেশজুড়ে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা পূজার নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। সরকার সংখ্যালঘুদের প্রতি কতটা আন্তরিক বিভিন্ন পদক্ষেপে তা পরিষ্কার। সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের পক্ষ থেকে পূজায় ২২ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। তাতে ছিল পূজার আয়োজন-উদযাপনে স্থানীয় প্রশাসন, সব রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্র নেতাদের সম্পৃক্ত করে সজাগ ভূমিকা রাখা। ইভটিজিং ছিনতাইয়ে জড়িতদের পুলিশে সোপর্দ করা। কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলে ঘটনা অবহিত করা। ফলে এ সময় কোনো উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত নির্বিঘেœ সারা দেশে পূজা উদযাপিত হয়েছে। দুই দেশের পূজা আয়োজনের তুলনামূলক চিত্র দেখলেই আমরা বুঝব বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য সুযোগ সুবিধা বেশি। পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে ছয় কোটি হিন্দুর জন্য ৪০ হাজার পূজামণ্ডপ। পূজা আয়োজন হয়তো আরো বেশ কিছু জায়গায় অনুষ্ঠিত হতে পারে সেখানে। বাংলাদেশে মাত্র এক কোটি ৩০ লাখ হিন্দুর জন্য এবার ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি স্থানে দুর্গাপূজা হয়েছে। এবার ১৮৯৪টি স্থানে বেশি পূজার আয়োজন ছিল। বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মের উৎসবের আয়োজনের ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে মাত্রাগত বিস্তৃতি কয়েকগুণ। সরকারের উৎসাহ আনুকূল্য এবং সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ইতিবাচক মনোভাবের কারণে এমন রমরমা অবস্থা। তার পরও ভারত সরকার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাবে।

পূজা পার্বণ কিংবা বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে এমনটা দেখাতে বিশাল একটি গোষ্ঠী মরিয়া। তারা মুখিয়ে থাকে হিন্দু বৌদ্ধসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে কীভাবে ভিক্টিম দেখানো যায়। বাংলাদেশ একমাত্র বিরল দেশ যেখানে এমনটা সম্ভব হচ্ছে। এতে করে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কে দমন ও বঞ্চিত করতে সুবিধা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে এই প্রবণতা দেখা গেছে।

হাসিনা পালানোর পর তার সন্ত্রাসী নির্যাতক গোষ্ঠীর ওপর বিক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয়। ওই সময় সারা দেশে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এগুলোর সব চরিত্র ছিল রাজনৈতিক। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কারো কারো ওপরও আক্রমণ হয়। হাসিনার সাঙ্গপাঙ্গ হওয়ার কারণেই সেটা ঘটে। হাসিনার হয়ে তারা দেশের মানুষের ওপর পীড়নের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ বলা যাবে না। যেমনটি আওয়ামী লীগ দাবি করে এসেছিল। তাদের শীর্ষ নেতারা বরাবর বলে এসেছিল হাসিনার পতন হলে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করা হবে। হাসিনার সংসদ সদস্য সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়িতে জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনা চালিয়ে দেয়া হয় জাতীয় দলের হিন্দু খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়ি পোড়ানোর ঘটনা হিসেবে। এভাবে মন্দির পোড়ানোর বহু খবর চাউর করে দেয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো পুরনো ঘটনা। এমনকি ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাকে এ সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে প্রচার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করা হয়। হাসিনা পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের এক হাজার ৪১৫টি অভিযোগ তদন্ত করে দেখা যায় তার ৯৮ দশমিক ৪ শতাংই রাজনৈতিক কারণে। একই কারণে আওয়ামী লীগের মুসলমান নেতাদের ওপরও হামলা হয়েছিল। অথচ আওয়ামী লীগের এই হিন্দু নেতারা মানুষের ওপর যখন নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে, তখন তাদের সংখ্যালঘু হিসেবে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। তারা তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ওপরই অত্যাচার চালিয়েছিল।

হাসিনা পালানোর পর দুটো দুর্গাপূজাই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশে না থাকায় এমনটা সম্ভব হয়েছে। হিন্দু নির্যাতনের পেছনে মূলত সবসময় এই দলটির ইন্ধন থাকত। তারা একদিকে হামলার ঘটনা ঘটাত আবার সে জন্য দায় চাপিয়ে দিতো বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ওপর। শুধু রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য তারা কাজটি করত। ভারতীয়রাও ব্যাপারটি একেবারে জানে না যে এমন নয়। কুমিল্লার কুখ্যাত আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার কন্যা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিতে গিয়ে জনতার আক্রোশে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। রাজারহাট থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে তারা বেঁচেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন করার খবর আছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে। কলকাতায় তারা প্রকাশ্যে এলে জনরোষে পড়তে পারেন।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কুরআন রেখে দাঙ্গা লাগানোর যে ষড়যন্ত্র তার অভিযোগ বাহারের বিরুদ্ধে। তখন কোনো ধরনের তথ্য-উপাত্ত ছাড়া এর দায় চাপিয়ে দেয়া হয় জঙ্গিবাদ উগ্রবাদের নামে মুসলমানদের বিরুদ্ধে। হিন্দুদের রক্ষক হিসেবে বাহার দৃশ্যপটে হাজির হন। অনেকে সন্দেহ করেছেন সংখ্যালঘুদের ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলার সাথে তিনি জড়িত। এই সন্দেহ তখনই পোক্ত হয় যখন দেখা যায় এর বিচার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না। কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলার বিচার হয়নি ঘটনার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও। হাসিনা পালিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনার কোনো সুষ্ঠুু তদন্ত হয়নি। ওই ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়। এভাবে হাসিনার সময় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বড় বড় ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর একটিরও বিচার হয়নি।

হাসিনার দুর্গাপ্রীতি

হাসিনার ধর্মীয় বিশ্বাস গোঁজামিলে ভরা। তিনি বরাবরই রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করেছেন। নির্বাচন এলে তিনি মাথায় পট্টি নিতেন। হাতে তজবি প্রদর্শন করতেন। বারবার স্মরণ করিয়ে দিতেন তিনি তাহাজ্জুদ পড়েন। নিয়মিত কুরআন পাঠ করেন। নির্বাচনে জিতলে বেরিয়ে আসত তার আসল চেহারা। তার নিজের ধর্মের মানুষ, ধর্মীয় প্রতীক, ধর্মীয় চেতনাকে আঘাত করতে সামান্যতম কুণ্ঠা করতেন না। তার আচার আচরণে হিন্দুত্বের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। ভারতীয় শাসক শ্রেণীকে তুষ্ট করতে এমনটা করতেন, না তিনি আসলে একজন হিন্দু ধর্মের অনুরাগী ছিলেন সেটা বলা মুশকিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু ধর্মের প্রতি তার অনুরাগ গোপন থাকেনি।

দেবদেবীর প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ ছিলেন ওই সময়। ২০১১ সালে দুর্গপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা পরিদর্শন করতে গিয়ে এমন সব কথা বললেন, তাতে হিন্দুদের চেয়েও মূর্তির প্রতি তিনি বেশি ভক্তি দেখান। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের দেবী এসেছেন গজে চড়ে। গজে চড়ে এলে জানি পৃথিবী ধন-ধান্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এবার ফসল ভালো হয়েছে। মানুষ সুখে শান্তিতে আছে।’ কোনো ধরনের ব্যতিক্রম না রেখেই দেবীর শক্তির প্রশংসা করলেন তিনি। ওই সুযোগে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধেও কামান দাগিয়ে দিলেন। পূজামণ্ডপে দাঁড়িয়ে তিনি মুসলমানদের একচোট নিলেন। তিনি বোঝাতে চান সচেতন মুসলমান জঙ্গি। মুসলিমদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতাকে হাসিনা পছন্দ করেন না। এটা মোদির ইসলাম পছন্দের সাথে মেলে। মোদি সেই ইসলামকে মানবেন যেটা শুধু খানকায় থাকে। রাষ্ট্র নির্মাণে, অধিকার আদায়ে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। যেখানে হাসিনাও একমত।