রবার্ট ব্রাউনিংয়ের বিখ্যাত কবিতা ‘দ্য প্যাট্রিয়ট’-আমাদের পাঠ্য ছিল। কবিতাটির বিষয়বস্তু ও পদবিন্যাস অনেকটা মনে আছে। কবিতাটির ধ্রুপদী বঙ্গানুবাদ আমার চোখে পড়েনি। তবে সে দিন দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদের ‘জীবনের পাতা’ উল্টাতে গিয়ে এর একটি সরল বঙ্গানুবাদ চোখে পড়ে। সেটিই উদ্ধৃত করছি-
‘পুরোটা পথ ছিল গোলাপে পরিপূর্ণ,
গুল্মলতার পাগল করা সৌরভ নিসৃত পথ :
ঘরের ছাদগুলো যেন দুলছে উঁচু-নিচু,
গির্জার চূড়া যেন তাদের পতাকার মতো প্রজ্বলিত,
বিগত বছরের ঠিক এই দিনে।
বাতাস কুয়াশাকে বিদীর্ণ করেছিল ঘণ্টাধ্বনির মতো,
জনতার ভিড়ে চিৎকার করেছিল পুরোনো দেয়ালগুলো
আমি বলেছিলাম, হে সভ্যগণ, ‘বন্ধ কর এই হৈ চৈ
এ আকাশ থেকে আলো দাও আমাকে!’
তারা বলেছিল, ‘এবং শেষে, আরো কিছু?’
হায় রে, এটাই আমি যে সূর্যকে ডিঙিয়ে যেতে চেয়েছিলাম
পরম বন্ধুকে এটি দিয়েছিলাম রাখতে!
মানুষ যা করতে পারে না, আমি তা অসমাপ্ত রেখেছি?
তোমরা দেখেছ আমার ফসল, যা আমি ফলিয়েছি
ঠিক এই দিনে, এখন একটি বছর পার হয়েছে।
ছাদগুলোর উপরে এখন কেউ নেই
জানালার পাশে জরাগ্রস্তরা ছাড়া
আকর্ষণীয় স্থানটি, যেখানে সবাই গিয়েছে
কসাইখানার গেট অথবা আরো ভালো স্থান
প্রাণদণ্ডের উচ্চ মঞ্চটি, আমি মনে করি।
আমি পবিত্র হলাম, প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পেছনে দড়িতে বাঁধা কব্জিদ্বয় যেন কেটে যাচ্ছে
আমার মনে হয়, আমি অনুভব করলাম, কপাল থেকে রক্ত ঝরছে
বিদ্বেষ পোষণকারী কেউ ছুড়ে মারছে
পাথর আমার দিকে আমার বিগত অপকর্মের জন্য
এভাবে আমার আগমন এবং এভাবে আমার প্রস্থান
পরম বিজয়েও মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়
ধরণী শোধ করেছে তার ঋণ, তুমি কি ঋণী!
‘আমি?’ ঈশ্বর প্রশ্ন করতে পারত তার পরিবর্তে
ঈশ্বর পরিশোধ করবেন : আমি নিরাপদ তাই।
কবিতায় বার্তাটি সুস্পষ্ট। কবিতাটি ছয়টি স্তবকে বিভক্ত এবং এতে একজন দেশপ্রেমিকের জীবনের উত্থান-পতনের করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম স্তবকে আমরা দেখি- কবির স্মৃতিতে এখনো ভেসে ওঠে সেই সোনালি দিনগুলোর ছবি-চার দিকে গোলাপ বৃষ্টিতে বরণ করা হচ্ছিল তাকে, উচ্ছ্বসিত মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাচ্ছিল তার প্রতি। এটি ছিল এক বছর আগের কথা, যখন তিনি জাতির শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। দ্বিতীয় স্তবকে প্যাট্রিয়ট তার অতীত বীরত্বের কথা বলেন- লোকজন তার প্রতি এতটাই আস্থাশীল ছিল যে, তিনি চাইলে আকাশের সূর্য পর্যন্ত টেনে আনতে পারতেন, আর তাতেও তারা সমর্থন জানাত। এই অংশে তার সাহস, আত্মত্যাগ ও জনসেবার মানসিকতা স্পষ্ট। তৃতীয় স্তবক থেকে দেখা যায় চিত্রের আমূল পরিবর্তন। একসময়ের ভালোবাসা আজ সৌজন্যতায় সীমাবদ্ধ। সামান্য এক ব্যর্থতা তাকে বিশ্বাসঘাতকরূপে চিহ্নিত করেছে। মানুষ আর তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়- তার অর্জন ভুলে গেছে সবাই। চতুর্থ ও পঞ্চম স্তবকে উঠে আসে তার কঠিন বাস্তবতা। এখন আর কেউ তাকে উল্লাসে বরণ করে না; বরং তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। জনতা পাথর ছুড়ে তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছে- যারা একসময় তার নামে জয়ধ্বনি দিত, তারাই আজ নিষ্ঠুর আচরণ করছে। শেষ স্তবকে প্যাট্রিয়ট শান্তচিত্তে তার মৃত্যুকে মেনে নেন। মানুষের বিচারে যদি তিনি অন্যায়ের শিকার হনও, ঈশ্বরের কাছে ন্যায়বিচার পাবেন- এই বিশ্বাস তাকে আশ্বস্ত করে। ঈশ্বরের কাছে তিনি নির্ভর হতে চান, কারণ ঈশ্বর অন্তত তার আত্মত্যাগের মূল্য দিতে জানেন।
এই কবিতাটি আমাদের রাজনৈতিক জীবনের চালচিত্রের যেন অনবদ্য বর্ণনা। এ যেন এক নাটকের পালাক্রম অনুযায়ী অভিনীত সত্য। হাসিনা স্বৈরাচারের সাথে কবিতাটির বক্তব্যে যেন হুবহু মিল। শেখ হাসিনা মনে করতে পারেন তার সোনালি দিনের ছবি। যখন তিনি তোষামোদ ও খোশামোদকারীদের দ্বারা ছিলেন বেষ্টিত, প্রশংসা ও প্রশস্তিতে ভরপুর ছিল রাষ্ট্রযন্ত্র। বন্দনা দিয়ে শুরু হতো যেকোনো সভা অথবা সংসদের অধিবেশন। রক্তের পর রক্ত ঝরিয়ে যখন তিনি সিংহাসন নিরাপদ করতে চেয়েছেন, তখনো দাম্ভিকতার তোড় কমছিল না। ‘শেখ হাসিনা পালায় না’- তিনি বলেছিলেন। অবশেষে তিনি পালালেন চোখের নিমিষে। রান্না করা ভাত খাওয়ারও সময় পাননি তিনি। আল্লাহ তাকে সে সময় দেননি। কবিতার শেষ অংশে কবি প্যাট্রিয়টের মৃত্যুদণ্ড মেনে নিয়েছেন। তিনি আসলেই ছিলেন এক দেশপ্রেমিক। যা হাসিনার মধ্যে ছিটেফোঁটাও ছিল না। একটি দেশ ধ্বংস করে ফেলার জন্য তার মধ্যে সামান্য অনুতাপ এখনো দেখা যায়নি। আমাদের মনে হয় যিনি এসেছিলেন ১৫ আগস্টের প্রতিশোধ নিতে, তিনি ঠিকই রক্তনদী বইয়ে দিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি যেমন গ্লানি মেনে নিতে চাইবেন না, তেমনি কোটি কোটি মানুষ কোনো দিনই তাকে ক্ষমা করবে না।
এই কবিতাটি হতে পারে আমাদের গণ-অভ্যুত্থানে সারথীদের জন্যও শিক্ষার বিষয়। গত বছরের এই সময়টি ছিল আন্দোলন-সংগ্রামে উদ্বেলিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নিয়োজিত ছিল রক্তের আখরে ইতিহাস লিখতে- রংপুর থেকে চট্টলা, একই বন্ধনে প্রতিধ্বনিত ছিল তাদের উচ্চারণ। যখন তাদের প্রতি স্বৈরশাসক অমর্যাদাকর শব্দ উচ্চারণ করছিল, তারাও প্রতিশব্দে মুখরিত করেছিল বাংলার আকাশ-বাতাশ। সাধারণ জনতা অথবা রাজনীতিকরাও বসে ছিলেন না। বাংলাদেশের প্রতিটি শহরে বন্দরে এক দফার আন্দোলনে একাত্ম ছিল সবাই। সাধারণ মানুষ, অতি সাধারণ মানুষ সপরিবারে মিছিলের স্রোত দিয়ে পরিপূর্ণ করেছিল ঢাকা মহানগরী। জনসমুদ্র উদ্বেল হিমালয়সম ঢেউ তুলেছিল কথিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিংবা তার বাসভবনে। জুলাই বিপ্লবের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে, প্রতিটি মুহূর্তে মুহূর্তে এবং মহানগরীর প্রতিটি প্রবেশপথে- সাভার, গাবতলী, উত্তরা, রামপুরা কিংবা যাত্রাবাড়ীতে প্রতিরোধে আগুয়ান ছিল লাখ লাখ মানুষ। তাদের আন্দোলন রক্তদান বৃথা যায়নি। স্বৈরাচারের পতন ঘটেছিল। গঠিত হয়েছিল জনগণের সরকার। বিশ্বনন্দিত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আবির্ভূত হলেন, ত্রাণকর্তা হিসেবে। সে কী আনন্দ উদ্বেল বাংলাদেশ!
জুলাই থেকে জুলাই অতিক্রান্ত হয়েছে মাত্র এক বছর। সে দিন ও এ দিনের মধ্যে অতিক্রান্ত সময়ের হিসাব নিলে খুব কি তৃপ্ত হওয়া যাবে? কোথায় সেই আনন্দ ঐক্য-বিধৌত বাংলাদেশ! টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া, কোটি কোটি মানুষের ঢেউয়ে উদ্বেল বাংলাদেশ, সেকি আগের মতোই আছে? নাকি সবকিছু বদলে গেছে। সবাই যখন আন্দোলনের বর্ষপূর্তি পালনের জন্য ১ জুলাইকে বেছে নিয়েছে, তাদের ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে তখন নিজেদের বিবেকবোধের কাছে প্রশ্ন রাখা যায় যদি, তাহলে কি সদুত্তর মিলবে! কথা ছিল তারা বিভেদে জড়াবে না। তারা ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরবে না। এখন তারা রাজনীতির কথা বলে ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে চায়। এরপর যারা নিরঙ্কুশতার কথা বলে, মুখের ভাষা এবং হাতের আচরণ দেখে মনে হয় তারাও যেন তাদের মতো। সন্দেহ নেই দীর্ঘ সময় ধরে তারা হয়েছে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অত্যাচারিত। যেখানে প্রদর্শন করা উচিত ত্যাগের মহিমায়, তাদের অনেকের মধ্যে দেখি ভোগের মহিমায়। কর্তৃত্বের ভাষায় তারা কথা বলে, আইন হাতে তুলে নিতে চায় তারা। শীর্ষ নেতৃত্ব কঠিন ও কঠোর অবস্থানে থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে কিছু নিম্নবর্গের মানুষ তাদের জন্য বদনামের কারণ হচ্ছে। অপর দিকে ক্ষমা মহত্ত্বে¡র লক্ষণ বলে রক্তের আসামিকেও ক্ষমা করে দিতে চায় অতি মহৎ মানুষরা। ডান, বাম সব গোষ্ঠীর নেতা আখের গোছানোর নিজ নিজ প্রকল্পে মহাব্যস্ত। কোথা সে অঙ্গীকার, কোথা সে সংস্কার!
৫ আগস্টের বিজয়ের পাদভূমিতে দাঁড়িয়ে সব রাজনৈতিক দল অনুপ্রেরণা, অনুসন্ধিৎসা ও আত্মসমীক্ষার লক্ষ্যে সবাই উৎসবের সূচনা করছেন ১ জুলাই থেকে- নিঃন্দেহে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে তরুণ ছাত্র-জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিকরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন- সে লক্ষ্য সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে গত বছরের প্রতিটি দিনকে আবারো পুনরুজ্জীবিত করব। এটি আমরা প্রতি বছর করব- যাতে স্বৈরাচার আর যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে। তিনি আরো বলেন, আজ ইতিহাসের এক গৌরবময় ক্ষণ। এক বছর আগে এই জুলাই মাসে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছিল তা এক অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান রচনা করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল। জুলাই ছিল আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, জনতার এক জাগরণ। সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়া... এর পেছনে ছিল একটি বিরাট স্বপ্ন, নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ।’ জুলাইকে ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আজ মাসব্যাপী যে কর্মসূচির সূচনা করছি, তা শুধুই স্মরণ নয়; বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সব শ্রেণিপেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, আমরা চাই এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আবার সুসংহত হোক।’
এটি অবশ্য আশার কথা যে, গণ-অভ্যুত্থানের সূচনাপর্ব জুলাইকে কেন্দ্র করে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রক্তস্নাত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতির সামনে আসা সুযোগ কাজে লাগাতে ঐক্য বজায় রাখার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টরা নির্মম অত্যাচার, গ্রেফতার, হত্যা, খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্ট হয়েছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার। তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থাকে একটি চিরস্থায়ী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে চান। যেখানে সব রাজনৈতিক ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক থাকবে জনগণ। নির্বাচিত সরকার জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত মেয়াদের পর সেই সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতাও জনগণের হাতে থাকবে। জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এভাবে জনপ্রতিনিধিদের জনগণের মুখোমুখি করে দেয়া গেলে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন কমে আসবে। এটি দৃশ্যমান যে, ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দল জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কে নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে। সবাই অন্তত এই সময়টায় ইস্পাত-কঠিন ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। এরা মনে করেন- ‘ঐক্যবদ্ধ জনগণই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পথ দেখাবে।’ জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে ঐক্য সুদৃঢ় করার প্রস্তাবনাও উত্থাপিত হয়েছে। সিভিল সোসাইটির নেতারা আবারো বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতির উত্থানে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। রাজনৈতিক নেতাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি জনগণের অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য দেশে-বিদেশে এবং কাছের দেশে নানা ধরনের কূটকৌশল করে চলছে। সব মত ও পথের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে জনগণের ইস্পাত-কঠিন ঐক্য নিশ্চিত করতে হবে, তবেই কাক্সিক্ষত নতুন বাংলাদেশ নির্মিত হবে।
লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]