হরমুজ প্রণালী মাত্র ৩৩ কিলোমিটার বা ২১ মাইল প্রশস্ত একটি সঙ্কীর্ণ সামুদ্রিক পথ, বিশ্বব্যাপী তেল এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, এলএনজি পরিবহনের জন্য একক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধমনী হিসেবে কাজ করে। প্রায়ই ‘বৈশ্বিক শক্তির লাইফলাইন’ এবং সম্ভাব্য ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবেশদ্বার’ হিসেবে এই প্রণালীকে বর্ণনা করা হয়। এর কৌশলগত গুরুত্ব বহুমুখী, অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং সামরিক। তাই এটি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
হরমুজ প্রণালীকে বৈশ্বিক শক্তির জন্য একটি অপরিহার্য পরিবাহী বলা হয়। বিশ্বের মোট তেলের সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বা ২০ শতাংশ এই প্রণালী দিয়ে পরিবাহিত হয়। উপরন্তু, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি রফতানিকারক দেশ কাতার থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এলএনজি এই নৌপথ দিয়ে যায়। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ইরাক ও ইরানসহ পারস্য উপসাগরের দেশগুলো তাদের তেল ও গ্যাস রফতানির জন্য এই সঙ্কীর্ণ পথের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। অনেক দেশের কোনো কার্যকর বিকল্প রুট নেই। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত কিছু বিকল্প পাইপলাইন তৈরি করলেও এর মাধ্যমে সরবরাহের পরিমাণ তুলনায় অনেক কম।
হরমুজ প্রণালীতে যেকোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে মারাত্মক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এমনকি সম্ভাব্য অবরোধের গুজবও বৈশ্বিক তেলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যার ফলে মূল্যবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস পায়, ডলারের উত্থান পতন হয়। যদি এই নৌপথ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে তবে এক ‘অর্থনৈতিক সুনামি’ শুরু হয়ে যাবে। অশোধিত তেলের দাম এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যারেল-প্রতি ১০০-১৫০ ডলার, এমনকি ২০০ ডলারে পৌঁছে যাবে। এই নাটকীয় বৃদ্ধি বিভিন্ন শিল্পের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে, পরিবহন, উৎপাদন ও ভোগ্যপণ্যগুলোর জন্য জ্বালানি ব্যয় বাড়িয়ে তুলবে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, স্টক মার্কেট ক্র্যাশ, কোম্পানিগুলোর ব্যাপক ক্ষতি, ছাঁটাই এবং একটি গভীর, ভয়ঙ্কর মন্দা দেখা দেবে। উদাহরণস্বরূপ, চীন মধ্যপ্রাচ্যের তেলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, এর আমদানির প্রায় এক-চতুর্থাংশ যায় হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে। একইভাবে, ভারত তার অপরিশোধিত তেলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এবং এলএনজি আমদানির অর্ধেক আনে এই প্রণালী দিয়ে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যও এই রুটের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে নির্ভর করে। এই বিশাল বৈশ্বিক নির্ভরশীলতা হরমুজ প্রণালীকে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘চোক পয়েন্ট’ করে তুলেছে।
কৌশলগত অবস্থানের কারণে হরমুজ প্রণালীকে ইরান একটি শক্তিশালী ভূ-রাজনৈতিক হাতিয়ার এবং দর কষাকষির উপকরণ ও সম্পদ মনে করে। ইরান বারবার বিদেশী হুমকি, নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুমকিকে রাজনৈতিক-সামরিক চাপের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে, তার সার্বভৌমত্ব জাহির করেছে এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধও নিয়েছে।
প্রণালীতে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি বা বন্ধ করার সামরিক সক্ষমতা ইরানের রয়েছে। ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ইরান সামুদ্রিক মাইন ব্যবহার করেছিল জাহাজ চলাচল প্রায় অসম্ভব করে তুলেছিল। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, আইআরজিসির নৌবাহিনীর কাছে হাজার হাজার ছোট, দ্রুতগামী স্পিডবোট রয়েছে যা রাডারে সহজে শনাক্ত করা যায় না। এই নৌকাগুলো ‘সোয়ার্ম কৌশল’ (swarm tactics) ব্যবহার করতে পারে, উপকূল বরাবর লুকানো ঘাঁটি থেকে রকেট, মেশিনগান এবং টর্পেডো ছুড়ে বড় বড় জাহাজের চলাচল বন্ধ করতে পারে। ইরান তার উপকূলরেখা বরাবর শত শত জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি মোতায়েন করেছে, যা প্রণালীর সীমাবদ্ধ জলসীমায় ধীরগতির তেল ট্যাংকারগুলোকে সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম।
ইরান ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারও অনেক এগিয়ে। ইরান জাহাজের নেভিগেশন সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করতে পারে। জিপিএস সিগন্যাল জ্যাম করেছে অনেকবার এবং মিথ্যা স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ সিস্টেম (এআইএস) ডেটা প্রেরণ করেছে, যা সংঘর্ষের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। সম্প্রতি ইরান-ইসরাইল সঙ্ঘাতের সময় গত ২৩ জুন ইরানের সংসদ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করে। নাসা স্যাটেলাইট এবং যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি অ্যামবে নিশ্চিত করে যে, ২৪ জুন প্রণালীতে তিনটি জাহাজে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। উপরন্তু, হরমুজ প্রণালীতে ৯ শতাধিক জাহাজ তাদের জিপিএস সঙ্কেত হারায়। ইরানের সক্ষমতা সত্ত্বেও হরমুজ প্রণালীর টেকসই অবরোধ বিশ্বশক্তিগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা এই অঞ্চলের ১৫টিরও বেশি দেশে স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে, যার মধ্যে কাতার (আল উদেইদ বিমানঘাঁটি), বাহরাইন (মার্কিন পঞ্চম ফ্লিট সদর দফতর) এবং কুয়েতে বৃহৎ ঘাঁটি রয়েছে। নৌবহর এবং উন্নত অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা সমর্থিত এই উপস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে চলাচলের যথেষ্ট স্বাধীনতা এবং নমনীয়তা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ তাদের মিত্ররা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, তারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যান চলাচলের পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ রাখতে দেবে না। এ জাতীয় যেকোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধ তৎপরতা’ হিসেবে দেখা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস নিমিটজ এবং ইউএসএস থিওডোরকে হরমুজ প্রণালী/ওমান উপসাগরে একত্রিত করার নির্দেশ দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রণালী বন্ধ করা থেকে ইরানকে বিরত রাখার জন্য প্রকাশ্যে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই অঞ্চলের তেলের ওপর চীনের অধিকতর নির্ভরতার ওপর জোর দিয়েছিলেন। হাস্যকরভাবে, প্রণালী বন্ধ করে দেয়া ইরানের জন্য ‘অর্থনৈতিক আত্মহত্যার’ কাজ বলে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে। ইরানের ভঙ্গুর অর্থনীতি তেল রফতানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যার প্রায় সবই এই প্রণালী দিয়ে যায়। এই লাইফলাইন কেটে দিলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আরো বাড়বে, যা তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক পতন এবং ইরানের অভ্যন্তরে সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে। ঐতিহাসিকভাবে, এমনকি ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় (১৯৮০-৮৮), প্রায় ৪৫০টি জাহাজে আক্রমণের রেকর্ড রয়েছে, তখন হরমুজ প্রণালী পুরোপুরি বন্ধ ছিল না এবং তেল সরবরাহ কখনোই পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি, যা টেকসই অবরোধের অসুবিধা প্রদর্শন করে। তদুপরি, ইরানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং একটি প্রধান রাজনৈতিক সমর্থক চীন, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে। চীনের অর্থনীতি পারস্য উপসাগর থেকে তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, চীন এ ধরনের পদক্ষেপ রোধে ইরানের ওপর উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করবে। চীন ধারাবাহিকভাবে ইসরাইলের আগ্রাসী পদক্ষেপের নিন্দা করেছে এবং উত্তেজনা হ্রাসের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সমর্থন দিয়েছে। তবে এটি কৌশলগতভাবে ইরানে বিনিয়োগও করেছে। ২০২১ সালে কয়েক শ’ বিলিয়ন ডলারের ২৫ বছরের সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি হরমুজ প্রণালীর কাছে অবস্থিত কাশেম দ্বীপের উন্নয়নসহ জ্বালানি ও অবকাঠামো সম্পর্কিত যাতে এর জ্বালানি ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা যায় এবং ইরানের প্রতিরক্ষা জোরদার করা যায়। এ বিষয়টি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রবাহে চীনের দীর্ঘমেয়াদি আগ্রহের প্রতিফলন। বলা যায়, হরমুজ প্রণালী কেবল একটি নৌপথের চেয়ে বেশি কিছু; এটি বিশ্বরাজনীতির উত্তাপ পরিমাপের ব্যারোমিটার। যদিও ইরান সাময়িকভাবে জাহাজ চলাচল ব্যাহত করার ক্ষমতা রাখে, তবে অপ্রতিরোধ্য সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রতিশোধের মুখোমুখি হওয়ার কারণে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধের সম্ভাবনা কম। হরমুজ প্রণালী বিশ্ব-অর্থনীতি এবং শান্তির আন্তঃসংযোগের গভীর প্রতীক হিসেবে অব্যাহত রয়েছে, ক্রমাগত বিশ্বকে তার জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলের ভঙ্গুরতা, বৈচিত্র্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জরুরি প্রয়োজনের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়।
ইরানের সংসদ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার অনুমোদন দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে যে, তারা মনে করে এমন সিদ্ধান্ত ইরানের জন্য অর্থনৈতিকভাবে আত্মহত্যার শামিল হবে। তবে এর মোকাবেলা করার বিকল্প ব্যবস্থা মার্কিনিদের রয়েছে। ইরানকে চাপে রাখার জন্য মার্কিনিরা ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ চালিয়েছে। তারা ১৪টি বাঙ্কার ধ্বংসকারী বোমা, দুই ডজনেরও বেশি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২৫টিরও বেশি সামরিক বিমান ব্যবহার করে। এই হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সঙ্ঘাতে এক নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।
অর্থনৈতিক যুদ্ধের পাশাপাশি ট্রাম্প রাজনৈতিক যুদ্ধেও ইরানকে পরাস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ২০১৭ সালের জাতীয় নিরাপত্তা সনদ অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে জোট গঠন এবং এ অঞ্চলে ইরানের নীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কথিত হুমকি মোকাবেলা এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি ইরানের সমর্থনের অভিযোগ তুলে সামরিক খাতের জন্য নজিরবিহীন বাজেট আদায়ের চেষ্টা করেন। ইরান জানায়, পশ্চিম এশিয়াসহ সারা বিশ্বে আমেরিকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কারণে আজ ওয়াশিংটন ইরানকে প্রধান হুমকি ও দুশ্চিন্তার কারণ বলে বিবেচনা করে। সঙ্ঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরো সেনাসদস্য ও অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যাতে সহজে ইরানের কার্যক্রম মনিটর করা যায়। অবস্থা দেখে এমনই ধারণা হয় যে, পারস্য উপসাগরের অংশবিশেষ ও হরমুজ প্রণালী বন্ধ না করেও ইরান লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে।
ব্রিটিশ ও আমেরিকার তেল কোম্পানিগুলো পারস্য উপসাগরে তেলের খনি খুঁজে পেতে চায়। এ ক্ষেত্রে ইরানই একমাত্র বাধা। সিআইএ ও এম-১৬, ১৯৫৩ সালে ইরানে সামরিক অভুত্থানে সহায়তা করে; আবার ১৯৭৯ সালে ইরানি জনগণ শাহ রিজিমকে উৎখাত করে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা-ইহুদি সাম্রাজ্যবাদী নীতির পতন হয়; ব্রিটিশের সূর্যও অস্ত যায়। এখন ব্রিটিশদের অর্থকড়ির টান। নিজের শক্তি না থাকলেও অপরের সাথে সহযোগী হয়ে টিকে থাকার কৌশল নিয়েছে। তাই এখন কেউ আশ্চর্য হবে না যদি ব্রিটিশ সমরবিদরা, ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্র অথবা উভয়েই পারস্যে বিশেষত হরমুজ প্রণালীর কোনো কৌশলগত এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার