জনমত কোন দিকে ঝুঁকছে তা জানা কৌতূহলের বিষয়। এ চাহিদা সামনে রেখে সৃষ্টি হয়েছে পেশাদার জরিপকারী প্রতিষ্ঠান। জরিপের লক্ষ্য মানুষের মতামতকে যতটা পারা যায় জানা। নির্বাচনী জরিপে এর প্রতিফলন দেখা যায়। মানুষের জানার আগ্রহ পুঁজি করে জরিপের নামে মতামত চাপিয়ে দেয়ার কাজও হয়। স্বার্থান্বেষী মহল জাতির ঘাড়ে চেপে বসায় এমনটি করে থাকে। এই মতলববাজরা সত্যিকার মতামত প্রতিফলনের বদলে জরিপের নামে জনমত ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে চায়। নিজেদের স্বার্থ যেভাবে রক্ষা পেতে পারে তারা সেভাবে জরিপ ফল হাজির করে। জরিপের নামে এমন অসততার চর্চা বাংলাদেশে পুরনো, এখনো তা চালু আছে।
হাসিনা-পরবর্তী দেশে বেশ কয়েকটি জরিপ হয়েছে। দারিদ্র্যের পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা জানার পাশাপাশি প্রতিটি জরিপে মানুষের রাজনৈতিক চিন্তা জানা বোঝার চেষ্টাও এসব জরিপে দেখা গেছে। সর্বশেষ জরিপটি চালিয়েছে দৈনিক প্রথম আলো। পরপর তিন দিন পত্রিকাটির প্রধান শিরোনাম ছিল নিজস্ব জরিপের খবর। পত্রিকাটি প্রথম পৃষ্ঠার পুরোটি জুড়ে এ জরিপের বিশ্লেষণ ও মতামত ছেপেছে। ৮ ডিসেম্বর প্রথম দিন প্রথম পাতার বিজ্ঞাপন বাদ দিয়ে ৭০ শতাংশ এ জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। এ ছাড়া ভেতরের দুটো পাতা পুরোটা বিভিন্ন ধরনের চার্ট ও ইনফোগ্রাম দিয়ে জরিপের ফল উপস্থাপন করেছে। ১৬ পৃষ্ঠার পত্রিকাটির তিনটিই এ জন্য ব্যবহার হয়েছে। এ কথা অস্বীকারের জো নেই যে, প্রথম আলো পাঠক-প্রিয়তায় দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা। সংবাদপত্রটির এ উচ্চ পারদর্শিতা বিপুল পাঠক আকৃষ্ট করেছে। এই পাঠককে নিজেদের মতো করে পরিচালিত করার চেষ্টাও করে থাকে পত্রিকাটি। সময় সময় তা ধোঁকার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়। এবারের জরিপটি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত কাভারেজ তেমনি একটি মতলব। পরের দু’দিনও পত্রিকাটি প্রথম পৃষ্ঠার বড় একটি অংশ জরিপের খবর ছেপেছে। এর সাথে আরো দুই পাতা করে বরাদ্দ দিয়েছে এর ফল বিশ্লেষণ ও মতামতে। জরিপের যে কারণ পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে তা হলো- ভোটারের মতামত জানা। এর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ভোটারদের কাছে প্রাপ্ত জবাবকে এমন মোড়কে সাজিয়েছে, তাতে জরিপের ফল প্রকাশের চেয়ে প্রাপ্ত তথ্যকে নিজেদের ছাঁচে ফেলে অনেক বেশি কাভারেজ দিয়েছে।
জরিপের যতটুকু তথ্য নিজস্ব চাওয়া সমর্থন করে, যেন ঠিক ততটুকু বাছাই করা হলো। তা থেকে বহু বিশ্লেষণ বের করে আনা হলো। ভোটার জরিপে দরকার ছিল একটি আদর্শ মাপের নমুনা। প্রাপ্ত তথ্য থেকে ছেঁকে একটি সারাংশ নিয়ে জনমতের প্রতিফলন হিসেবে খবরে পত্রিকাটি প্রকাশ করতে পারত। সে ক্ষেত্রে পত্রিকার প্রথম পাতার দুই কলামের একটি সংবাদই যথেষ্ট ছিল। মানুষ একটি পরিষ্কার ধারণা পেত, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মতামত কোন দিকে যাচ্ছে। অথচ যেভাবে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এটি বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় হয়ে হয়ে যাওয়ার সদৃশ হয়েছে বললে বেশি বলা হবে না। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত নেই, আছে বিপুল বিস্তৃত মতামত ও মন্তব্য।
জরিপের ফল প্রকাশের খবর দিতে গিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে- দেশের ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি। এটি মাথায় রেখে এক হাজার ৩৪২ জনের নমুনা নির্বাচন করেছি। ১৫ বছর হাসিনা দেশের ১৮ কোটি মানুষকে বন্দী করে রেখেছিলেন। স্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতাও এ সময় তারা হারিয়ে ফেলেন। ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ পুরোপুরি মুক্ত-স্বাধীন। এখন চলছে অন্তর্বর্তী সময়। এখন মানুষের চিন্তাভাবনায় বড় পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। কঠিন পদার্থ যেমন গলে হরেক রকম বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে তেমনি অবস্থা বিরাজ করছে। এ সময় প্রথম আলো যে নমুনা নিয়ে জরিপটি করেছে সেটি কোনোভাবে ১২ কোটির বেশি ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করে না। জরিপের জন্য প্রতি ৯৫ হাজার ৮১ জনের মধ্যে একজনকে নমুনা হিসেবে নিয়েছে। একজন মানুষের মতামত নিয়ে প্রায় এক লাখ মানুষের মতামত বলে চালিয়ে দিয়েছে পত্রিকাটি। বিপুল পরিবর্তন হতে যাওয়া একটি দেশের মানুষের মতামত এর মাধ্যমে প্রকাশ অসম্ভব। তার চেয়েও অনেক বেশি অনির্ভরযোগ্য নমুনা নির্বাচনে এলাকা বাছাই।
নমুনা হিসেবে পত্রিকাটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট শহর বাছাই করেছে। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা ও বরিশালের গৌরনদীকে নিয়েছে। এ ছাড়া ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও মধুখালী, ময়মনসিংহের ভালুকা ও রংপুরের পীরগঞ্জ। সামান্য কয়টি জায়গা পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে না। একটি তুলনা দিলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে। ফরিদপুর আওয়ামী অধ্যুষিত এলাকা। এ অঞ্চলের লোকেরা বিগত ১৫ বছরে দেশের জনগণের ওপর দিয়ে কী ঝড় বয়ে গেছে, টের পাননি। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ভারসাম্যহীন একচোখা রাজনীতির সুফলভোগী তারা। যারা হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের নেতিবাচক উত্তাপ টের পাননি, তারা চাইবেন আবারো হাসিনা ফিরে আসুন। জরিপে যেমন দেখানো হয়েছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে চায়। শর্তারোপের কথা বলে এ তথ্য প্রথম আলো জায়েজ করেছে। মানুষ যাতে প্রথম আলোর তথ্য দেখে ক্ষেপে না যান। এটি ভাঁওতাবাজি ছাড়া অন্য কিছু নয়। হাসিনার শাসনের শুরুর দিকে সাতক্ষীরার জনগণের ওপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালানো হয়। ক্রসফায়ার-গুমের ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো হয়েছে। শুধু বিরোধী রাজনীতি করায় বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। একটি-দু’টি নয়, এমন ঘটনা সেখানে শত শত হয়েছে। পুরো জেলাটি সাক্ষী হয়ে আছে আওয়ামী জাহেলিয়াতের। বিরোধীদের ওপর এমন সীমাহীন অত্যাচার চালিয়েছেন হাসিনা সারা দেশের বহু জায়গায়। ফরিদপুরের পাশাপাশি ওই সব জায়গা যেখানে মানুষ হাসিনার ফ্যাসিবাদের সরাসরি ভুক্তভোগী সেখান থেকে নমুনা নির্বাচন করা হলে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে চাওয়ার হার শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসত। একইভাবে হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে ৭ শতাংশ সমর্থন পাওয়া গেছে, তা-ও শূন্যের কাছে থাকত।
জরিপের প্রতি সাফাই গাইতে গিয়ে পত্রিকাটি বলেছে- বড় আকারের জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে অন্তত ৩৮৪ মতামতদাতার ওপর জরিপ করা উচিত। এতে জরিপের ফলের নির্ভরযোগ্যতা ৯৫ শতাংশের উপরে এবং ভুলের পরিধি ৫ শতাংশের নিচে থাকে। সেই হিসাবে পত্রিকাটি নিজেদের নেয়া নমুনাকে যথেষ্ট বলছে। আগেই বলেছি, ১৫ বছরের দুঃশাসনের পর মুক্ত-স্বাধীন পরিবেশে মানুষের মনে আমূল পরিবর্তন আসছে। বিচিত্র পরিবর্তনের মধ্যে তাদের খাতা-কলমের এ হিসাব শতভাগ অকার্যকর। বিশেষ একটি শ্রেণিগোত্রের মতামত যাচাইয়ে নমুনা নির্বাচন এমন সরল হতে পারে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন। এতে তিনটি কী চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে মাত্র কয়েক শ’ জনকে নমুনা হিসেবে নিলে একটি প্রতিনিধিত্বশীল জরিপ সফল বলে চালানো যেত।
নমুনার জন্য নেয়া প্রথম আলোর জরিপের প্রশ্নগুলো সমস্যাজনক, ত্রুটিপূর্ণ ও অসঙ্গতিতে ভরা। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা কার বেশি- প্রশ্নটি এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার জন্য কোনোভাবে খাটে না। সবাই জানে, এনসিপি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে এখনো পৌঁছেনি। আগামী নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। তারপরও এ প্রশ্ন করে সেটিকে সাজিয়ে পত্রিকার বেশ খানিকটা জায়গা খরচ করে দেখানো অর্থহীন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তার সম্ভাবনা দেখছে দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার। হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে পালাতে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রতিনিধি হয়েছে রাজনৈতিক দল-এনসিপি। মিডিয়ার একটি অংশ বরাবর তাদের প্রতি অনেকটা শত্রুতার নীতি নিয়েছে। তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করা, তাচ্ছিল্য করা, অপমান করার সুযোগ পেলে হাতছাড়া করে না। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যকে এনসিপির বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
হাসিনা পালানোর পর থেকে মিডিয়ায় আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিবাদ-সমর্থক ফ্যাসিবাদী চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এ জরিপের ফল প্রকাশে তার প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। জরিপে জুলাই আন্দোলনের প্রভাবকে আড়ালের অপচেষ্টা হয়েছে। ৫৩ শতাংশের বেশি ভোটার বলেছেন- নির্বাচনে জুলাই আন্দোলনের প্রভাব পড়বে। এটিকে ফল বিশ্লেষণে তিন ভাগ করে দেখানো হয়েছে। যাতে বোঝানো হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে জুলাই আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা কার- প্রশ্নটি দিয়ে মূলত ফ্যাসিবাদীদের নরমালাইজড করার অপচেষ্টা হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়েছে। তারেক রহমান ও ডা: শফিকুর রহমানের সাথে বেগম খালেদা জিয়া, হাসিনা এবং জি এম কাদেরকে এভাবে জরিপের তালিকায় উপস্থাপন শোভন হয়নি।
খালেদা জিয়া এ যাবৎ ভোটের রাজনীতিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। নির্বাচন করে সবচেয়ে বেশি আসনে বিপুল ভোট পেয়েছেন তিনি। জনপ্রিয়তার রেকর্ডে তার ধারে-কাছে দেশে কোনো নেতা নেই। সত্যিকার অর্থে, তিনি যখন আপসহীন দেশপ্রেমিক নেত্রী হিসেবে পরিপূর্ণ সক্ষম ছিলেন, তখন ভারত প্রভাবিত মিডিয়া তাকে উপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে কাভারেজ দেয়নি। তার জন্য অনেকটা উপেক্ষা ও তাচ্ছিল্য ছিল বাংলাদেশী মিডিয়ারও আচরণ। এখন তিনি অন্তিম শয্যায়। সুস্থ থাকলেও দেশের ক্ষমতা নেবেন- এমন অবস্থা নেই। প্রথম আলো সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে তাকে টেনে এনেছে জরিপে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার জনপ্রিয়তা মাপতে এসেছে। যেখানে দেখানো হচ্ছে- তারেক রহমানের চেয়ে জনগণের সমর্থনে তিনি পিছিয়ে আছেন।
হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তালিকায় রাখতে পারেন কেবল যাদের মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও জুলাই বিপ্লবের প্রতি সম্মান নেই, তারা। এ জরিপে পাওয়া গেল, ৭ শতাংশের বেশি ভোটার তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাচ্ছেন। যেখানে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিসহ বেশ কয়েকটি দণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফ্যাসিস্টের দোসর জি এম কাদেরকে এ তালিকায় অনাহূত টেনে আনা হয়েছে। অথচ প্রত্যেকটি জনমত জরিপে ৫ শতাংশ সমর্থন পাওয়া চরমোনাই পীরের এ তালিকায় স্থান হয়নি। সুযোগ পেলে মুসলমানদের প্রতি যে বিদ্বেষ বাংলাদেশের প্রায় সব মিডিয়া দেখায়, তা-ও এ জরিপে পাওয়া গেল। রাজনৈতিক ইসলামকে দাবিয়ে রাখার এজেন্ডা বাংলাদেশের মিডিয়ার মজ্জাগত এক রোগ। তাই সুযোগ পেলে এটি প্রদর্শন করে এ দেশের মিডিয়া।
নমুনার আকার আরো বৈচিত্র্যময় করে প্রথম আলো এটিকে একটি সাধারণ নির্বাচনী জরিপ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারত। মতামতের বিপুল বিশ্লেষণ ও তা প্রকাশের বাহারি উপস্থাপন করে এতে নিজেদের ইচ্ছা ও পছন্দকে ঢুকিয়েছে পত্রিকাটি। জনমতের সমর্থনের জায়গাগুলোতে নিজস্ব কারুকাজ স্পষ্ট। আসলে পত্রিকাটি কী চায়, সেটি বেরিয়ে এসেছে মঙ্গলবার প্রকাশিত জরিপের বিশ্লেষণে। প্রধান শিরোনাম করে পত্রিকাটি লিখেছে- ‘নির্বাচনে বেশি আসন জিতবে বিএনপি, মত ৬৬ শতাংশ মানুষের।’ বিগত কয়েক মাসে কয়েক ধাপের প্রকাশিত বিভিন্ন জরিপের ফলের সাথে এটি মেলে না। প্রশ্নটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটি সততা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আগের জরিপের ওপর ভিত্তি করে ডেভিড বার্গম্যান কিছু দিন আগে প্রথম আলোতে একটি বিশ্লেষণ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি দেখিয়েছেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে তিন থেকে চার পয়েন্টের পার্থক্য। তার মতে- এই ব্যবধানটি সামান্য এবং সেটি ঘুচেও যেতে পারে। এখন প্রথম আলো নিজে জরিপ করে দেখাচ্ছে, জামায়াতের সমর্থনের ভিত্তি বিএনপির মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। তাদের প্রশ্নটি যদিও সমর্থনের কথা প্রকাশ করেনি। তবে এটি একটি ধোঁয়াশা তৈরি করেছে, যা একটি ভুল বার্তা তৈরি করবে। নির্বাচনে ফল বিতর্কিত করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
লেখক : সহকারী সম্পাদক, দৈনিক নয়া দিগন্ত



