২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান একক কোনো দল বা নেতৃত্বে সংঘটিত হয়নি। সর্বস্তরের জনতার সক্রিয় অংশগ্রহণে যে আন্দোলনের ঢেউ ওঠে তাতে শঙ্কিত হয়ে শেখ হাসিনা, তার পুরো সরকার ও দলীয় নেতৃত্ব পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সন্দেহ নেই, ছাত্ররা আন্দোলন সংগঠিত করেছেন এবং এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেখানেও কোনো একক ছাত্রসংগঠন ছিল না। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল ও মত এক হয়ে দেশের স্বার্থে জীবন ও রক্ত দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে; কিন্তু সম্মুখ সারিতে ছিল না। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান যখন সফল হলো তখন পরবর্তী রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণে কেউ প্রস্তুত ছিল না। ছাত্ররা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ জানিয়েছেন সরকার গঠনে নেতৃত্ব দিতে। দৃশ্যত দেশে তিন দিন কোনো কার্যকর সরকার ছিল না। তবে রাষ্ট্রপতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বহাল থাকলেও পুলিশ বাহিনী ছিল প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থায়। আশার কথা, এরূপ পরিস্থিতিতে দেশে একটি অরাজকতা দেখা দিতে পারত; কিন্তু বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটেনি। উল্লেখ করার মতো হত্যাকাণ্ডও ঘটেনি।
সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ১৬ বছর ধরে রাজপথে ছিল; তারা বহু নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। কিন্তু দলটির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বড় কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি এবং জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে পারেননি। তারা ভেবেছিলেন ছাত্রদের আন্দোলনও হয়তো বিশেষ কোনো ফল বয়ে আনবে না। যে কারণে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তখন বলেছিলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। সেই ছাত্ররা যখন আন্দোলনের মহাপ্লাবন সৃষ্টি করলেন, তখন যে আপামর জনতা তাতে শামিল হলেন তার মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরাও যোগ দেন এবং কেউ কেউ জীবন দেন। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি যে সময়মতো আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে এবং কৃতিত্ব নিতে ব্যর্থ হলো তা দলটির মর্যাদার সাথে যায়নি। অবশ্য তারা ড. ইউনূসের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আন্দোলনের অংশীদার হওয়ার সারিতে স্থান করে নেয়। তারা যুক্তিসঙ্গতভাবে ধরে নিয়েছিল, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রতি মানুষের ভালোবাসা জাগ্রত আছে এবং দ্রুত নির্বাচন হলে তারা সহজে বিজয় লাভ করবে। সে কারণে মহাসচিব ও দলের অন্য নেতারা শুরু থেকে অনতিবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিএনপির একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। তবে জুলাই অভ্যুত্থানে যে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল তার বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের ধারণা যখন বিপুল জনপ্রিয়তা পায় তখন বিএনপি সেটিকে উপেক্ষা করতে পারেনি। তারা প্রথম দিকে কিছুটা উন্নাসিকতা প্রকাশ করলেও ক্রমান্বয়ে তা মেনে নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার যখন প্রায় ডজনখানেক সংস্কার কমিশন গঠন করে এবং তারা নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করে তখন সংস্কারের বিষয়টি বেশ প্রাধান্য পায়। বিএনপি ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, সংস্কার প্রক্রিয়ায় নিজেদের সম্পৃক্ত করে এবং তাদের অভিমত প্রকাশ করে। তবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যেভাবে প্রকাশিত হয় তাতে এটি মনে করা যেতে পারে, তারা আশা করছেন, নির্বাচনে তারা জিতবেন এবং সরকার গঠন করে পরবর্তী সংসদে সংস্কারের বিষয়গুলো দেখবেন। তারা চাচ্ছেন, সংস্কার যতটুকু হবে তাদের হাতে নিজেদের মতো হতে হবে। বিভিন্ন সংস্কার ইস্যুতে তাদের নোট অব ডিসেন্ট থেকে এটি আরো পরিষ্কার হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ উঠেছে, তা তাদের ইমেজ বেশ ক্ষুণ্ন করেছে। এটি ভোটের ক্ষেত্রে কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা এখন বলা সম্ভব নয়।
গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বেগবান করতে কৌশল নির্ধারণ ও জনশক্তি সরবরাহে ইসলামী ছাত্রশিবির যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তার বড় প্রমাণ হলো শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বুঝতে ও জানতে পেরেছিল যে, আন্দোলনের নেপথ্যে জামায়াত ও ছাত্রশিবির সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আর সে কারণে শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনার সরকার এ দুটো সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রতিবেদনেও তা উঠে এসেছে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতারাও তা অকপটে স্বীকার করেছেন। সাম্প্রতিককালে আওয়ামী লীগের প্রতি দরদি বিভিন্ন ব্যক্তিও ৫ আগস্টের জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ৫ আগস্ট যখন সেনাবাহিনী প্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন এবং শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বৈঠকের আয়োজন করলেন, তখন তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমিরের কথা সবার আগে বলার কারণে এটি অনুমান করতে কারো কষ্ট হয় না যে, জামায়াত ও শিবির আন্দোলনে কোন পর্যায়ে অবস্থান করেছে। তবে জামায়াত বা শিবিরের কোনো নেতা আজ পর্যন্ত আন্দোলনে তাদের কৃতিত্বের দাবি করেননি। তারা বরং বলেছেন, দেশের সব স্তরের জনগণের অংশগ্রহণে আন্দোলন সফল হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গেছে। এখন তারা দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের সাথে নেগোসিয়েশন বা সংলাপ যা-ই হোক না কেন, জামায়াত অবশ্যম্ভাবীরূপে শীর্ষ দুইয়ে থাকছে। এমনকি বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকেও জামায়াতকে যথেষ্ট মূল্য দেয়া হচ্ছে। পাশ্চাত্যের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এবং চীনও তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে মতবিনিময় করছে। সন্দেহ নেই, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও শক্তি বিবেচনায় জামায়াত এখন একটি বড় শক্তি। জনগণের মধ্যেও তাদের গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করছে। তবে নির্বাচনে তারা কী পরিমাণ ভোট পাবে তা আগাম বলা সম্ভব নয়। ৫ আগস্টের পরে জামায়াত হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন- এ তিনটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা চায়, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার হতে হবে। সংস্কার প্রক্রিয়া যেভাবে এগোচ্ছে তাতে তারা খুশি নয়। তারা চায় বর্তমান সরকার সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করুক এবং তার একটি আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করুক। সাম্প্রতিককালে তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্যও দাবি জানিয়ে আসছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের এক অংশ জাতীয় নাগরিক পার্টি নামে একটি নতুন দল গঠন করেছে। আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের এত দ্রুত রাজনৈতিক দল গঠন করা ঠিক হয়েছে কি না তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। তবে শুরুতে তারা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে দল গঠনে প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে পারেননি। ফলে আন্দোলনকারী ছাত্রদের একটি বড় অংশকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়। এরপর তাদের দু-তিনজন সরকারে অংশগ্রহণ করে বিশেষ কোনো অবদান রাখতে পারেননি। উপরন্তু, তাদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কিছু নেতা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন, যা তাদের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। তারা শুরুতে বিএনপির মতো বড় দলের সাথে দূরত্ব বাড়িয়ে ফেলেছেন। ধারণা করা হয়, এনসিপি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে। যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের সাথে যৌক্তিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। কিন্তু দুই ছাত্র উপদেষ্টা যে তাদের সাথে রয়েছেন সেটি অনেকটা ওপেন-সিক্রেট। ওই দুই উপদেষ্টার ইমেজও নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ। সম্প্রতি নতুন দলটি সারা দেশে পদযাত্রা করে বেশ সাড়া ফেলে। এনসিপি দলীয়ভাবে জুলাই হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা এসব কাজ নির্বাচনের আগে সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছে। জামায়াত যেখানে সংস্কারের বিষয়টির আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের দাবি করছে; এনসিপি সেখানে আরো একধাপ এগিয়ে গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান লেখার দাবি জানাচ্ছে। তারা মনে করেন, যে সংবিধান ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছিল সে সংবিধান বাদ দিয়ে নতুন বন্দোবস্তে সংবিধান লিখতে হবে। তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিছক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংঘটিত হয়নি; বরং দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা নিরসনে ব্যাপকমাত্রায় সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের এ চিন্তার সাথে একাত্ম বলে মনে হয়। অন্তর্বর্তী সরকারও তাই চায়। কিন্তু বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া তো একটি ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞ যা দ্রুত করা যায় না।
এক দিকে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া, অন্য দিকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক চাপ- এ দুয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে বলে মনে হয়। সরকার কাঠামোতে বড় রাজনৈতিক দলটির সক্রিয় উপস্থিতি ও চাপ থাকায় সরকার যেন তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চাচ্ছে। কিন্তু জামায়াত ও এনসিপি তাড়াহুড়া করার চেয়ে ধীরে সুস্থে বিচার ও সংস্কার শেষ করে নির্বাচন করতে চায়। জামায়াত ও এনসিপির বয়ানকে বিশেষ করে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বা গণভোটের দাবিকে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর বাহানা মনে করে।
যে পরিস্থিতি হোক না কেন, সবাই কী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? জামায়াত ও এনসিপি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে তাদের আপত্তি নেই, তবে তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, বিচারকাজে অগ্রগতি ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। এনসিপি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বারবার। এতসব কিছুর মধ্যেও নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক মেরুকরণও চলছে। বিএনপি তার জন্মলগ্ন থেকে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মনোভাবাপন্ন দল হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের নীতি ছিল জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস। সাম্প্রতিককালে তাদের নীতিতে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। এতদিন তারা সেন্টার-রাইট দল হিসেবে গণ্য হতো। এখন মনে হচ্ছে তারা সেন্টার-লেফটের দিকে চলা শুরু করেছে।
আমার ধারণা, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তারা দেশের সেক্যুলার ঘরানার ভোট আকৃষ্ট করতে সেন্টার-লেফটের দিকে ঘুরে যাচ্ছে। আর দেশের সেক্যুলার ও বাম ধারার কিছু দল বিএনপির দিকে ঝুঁকছে। এদের মধ্যে নির্বাচনী জোট গঠিত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিএনপি-জামায়াত দীর্ঘ সময়ে জোটভুক্ত থাকলেও তা এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। কারণ আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে জামায়াত এখন বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী। জামায়াত ও বিএনপির সম্পর্ক এখন দৃশ্যত দুই মেরুতে। বিএনপির কিছু নেতা যেভাবে একাত্তর ইস্যুকে আওয়ামী স্টাইলে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে চাইছে তা কি তাদের রাজনৈতিক কৌশল নাকি নিছক কথার কথা তা ভেবে দেখা যেতে পারে। তাদের সাম্প্রতিক বয়ানের সাথে আওয়ামী ও ভারতীয় বয়ানের মিল দেখা যাচ্ছে। অন্য দিকে জামায়াত ও প্রধান প্রধান ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে শোনা যায়। ভোটের হিসাবে তা রাজনৈতিক ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে তা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
কেউ কেউ অভিযোগ করেন, বিএনপি ভারতমুখী নীতি অনুসরণ করতে চায়, যা তাদের ভ্রান্ত নীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, মোদির ভারত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ব্যতীত বাংলাদেশের অন্য কাউকে অকৃত্রিমভাবে গ্রহণ করবে না। তারা বিএনপিকে ফাঁদে ফেলার জন্য বন্ধুত্বের ভান করছে। এ কথাও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে, আওয়ামী সমর্থক ভোটাররা বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠাবে এবং সময়মতো আবার তাকে হটাতে কাজও করবে। রাজনীতির জটিল খেলা আমাদের মতো সরলমনাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
লেখক : গবেষক ও সাবেক সচিব
[email protected]