‘অ্যাবসোলিউট গুড’ শতভাগ ভালো কোনো ব্যবস্থাতেই সম্ভব নয়। আবার ‘অ্যাবসোলিউট ব্যাড’ বা সর্বতোভাবেই খারাপ- এমন অবস্থাও কাম্য নয়। বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ ‘জলবায়ুর দেশ’। কিন্তু রাজনৈতিক দিক থেকে চরম ভাবাপন্ন। ১৯৩৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করলে এই প্রবণতা স্পষ্ট হবে। এ দেশের মানুষ যাকে যখন কিছু দেয় উজাড় করেই দেয়। কোনো কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক জোয়ার পরিলক্ষিত হয়। আবার ভাটা যখন আসে তখন ভাটার শেষ হয় না। এখন বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। রাজনৈতিক দলগুলো দুটো শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদল বর্তমান এলাকাভিত্তিক পদ্ধতি বহাল রাখতে চান। অপর দল পিআর বা সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের জোর দাবি জানাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দল তো বটেই দেশের সুশীলসমাজও দ্বিধাবিভক্ত। উভয় পক্ষই যার যার তরফ থেকে পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তি-তর্কগুলো তুলে ধরছে।
চলমান নির্বাচনব্যবস্থা সরল সংখ্যা গরিষ্ঠতাভিত্তিক। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একে বলা হয়- First pass the post. বাংলায় সহজে বোঝার জন্য একে বলা যায় ‘দৌড়ে জেতা প্রথম ব্যক্তি’। এই নির্বাচনে অবশিষ্ট প্রার্থীরা সবাই মিলে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেলেও তারা বিজয়ের ভাগিদার হন না। এ জন্য বলা হয়- Winner takes all। বিজয়ীরা সব কিছু নিয়ে যায়। বিরোধী দলের অস্তিত্ব একরকম লোপ পায়। আমাদের দেশে এই নির্বাচন এলাকা বা আসনভিত্তিক হয়। প্রতিটি আসনে দলের প্রার্থীরা প্রতিযোগিতা করেন। প্রতিটি আসনে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান তিনিই নির্বাচিত হন। দেখা যায় যে একটি এলাকায় ১০০ শতাংশের ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েও প্রার্থী জিতে যান। এমনকি এক ভোটের ব্যবধানে জেতার ইতিহাসও আছে। সুতরাং বাকি ৭০ শতাংশ জনগণের মতামত উপেক্ষিত হয়। যেকোনো বিচারে এই ব্যবস্থাটির পরিবর্তন বা সংস্কার প্রয়োজন। সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি সুরাহা না হলেও এ ধরনের নির্বাচনে শর্ত দেয়া যায়, প্রার্থীকে অবশ্যই ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে।
পিআর বা আনুপাতিক নির্বাচনটি আসনভিত্তিক না হয়ে গোটা দেশভিত্তিক হয়ে থাকে। ধরা যাক, গোটা বাংলাদেশ একটি নির্বাচনী এলাকা। এই নির্বাচনী এলাকার জন্য সংসদের সব সদস্যই প্রার্থী। বর্তমান বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা ৩০০। সুতরাং ধরা যেতে পারে যে এই ৩০০ প্রার্থীই বাংলাদেশ নামক সংসদীয় এলাকার প্রার্থী। নির্বাচনের আগে প্রতিটি দল গুরুত্বের ক্রমানুসারে তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকা অনুযায়ী ভোটাররা বিভিন্ন দলের পক্ষে ভোট দেয়। ব্যক্তি এখানে গৌণ। সমষ্টির প্রাধান্য লক্ষণীয়। সমগ্র দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যে দল যত শতাংশ ভোট পায় সেই অনুসারে সংসদে আসন পায়। যদি সারা দেশের ভিত্তিতে একটি দল ১ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে তারা সংসদে তিনটি আসন পাবে। এ রকম অনুপাতে যারা ৪০ শতাংশ ভোট পাবে তারা ১২০টি আসন পাবে। তখন সেসব দলের পূর্বঘোষিত তালিকার এক থেকে ১২০ নম্বর পর্যন্ত যাদের নাম তারা সেই দলের এমপি বলে গণ্য হবেন।
দেখা যায়, আনুপাতিক নির্বাচনের ফলাফলে কেউ ফেরে না খালি হাতে। সব মানুষের ভোট বা মতামত সমান হারে প্রতিফলিত হয়। এ কারণে অনেকে মনে করেন এই নির্বাচনের ফলাফল অনেক বেশি ন্যায়ভিত্তিক। এই দুই ধরনের নির্বাচনের পক্ষে ও বিপক্ষে বিদ্বজনরা যুক্তি প্রদর্শন করছেন। আনুপাতিক নির্বাচনের সুফলগুলো এ রকম- ক. এই ব্যবস্থাটি অন্তর্ভুক্তিমূলক। এতে সবার মতামত প্রতিফলিত হয় বলে স্থিতিশীলতা অর্জিত হয়; খ. এটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহাবস্থান ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে; গ. এই ব্যবস্থায় কারচুপির সুযোগ এবং অন্য অসৎ উপায় অবলম্বনের সুযোগ কম থাকে; ঘ. আনুপাতিক ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের গুণমান বৃদ্ধি পায়। ঙ. নির্বাচনী প্রচরণার মান বৃদ্ধি পায়। এতে অতীতের থ্রি এম- মানি, মাসল ও মিডিয়ার প্রভাব হ্রাস পায়; চ. আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থায় ব্যক্তির প্রাধান্য থাকে না, রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়; ছ. এর ফলে স্থানীয় সরকারের বিকাশের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। এই ব্যবস্থার ফলে ক্ষুদ্র দল ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যের অবসান ঘটে; জ. একই সাথে উপনির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়; ঝ. বৈষম্যহীন এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের উদ্ভব ঘটে।
এবার আনুপাতিক নির্বাচনের খারাপ দিকগুলো দেখা যাক- ক. ভৌগোলিক প্রতিনিধিত্বের অবসান। আনুপাতিক নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক হলো ভৌগোলিক প্রতিনিধিত্বের অনিশ্চয়তা। যেহেতু এই নির্বাচন এলাকাভিত্তিক নয় সেহেতু এই নির্বাচন দ্বারা গঠিত সংসদে দেশের সব ভৌগোলিক অংশের সমহারে প্রতিনিধিত্বের নিশ্চয়তা থাকে না। সে জন্যই বলা হয় ভোট দিলেন ঢাকায় তা পড়ল গিয়া দিনাজপুরে। খ) দলীয় প্রার্থীদের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করায় দলীয় স্বৈরাচার কায়েম হতে পারে। এমনকি যে টাকার রাজত্ব অবসানের জন্য আনুপাতিক ব্যবস্থা, ব্যক্তি বা নেতৃত্ব সৎ না হলে তা আরো জোরে দলীয় ব্যবস্থায় গেড়ে বসতে পারে। অবশ্য নেতৃত্ব যদি ভারসাম্যপূর্ণ হয় তাহলে দেশের সব এলাকা থেকে ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা নিশ্চিত হতে পারে; গ. সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হলে দেশের অবহেলিত এলাকা বা বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকার প্রতিনিধিত্ব নাও থাকতে পারে। এভাবে নৃ-তাত্ত্বিক, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বিষয় অবহেলিত থেকে যেতে পারে; ঘ. আনুপাতিক সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় অভিযোগ হলো অস্থিতিশীলতা তথা ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন। আনুপাতিক নির্বাচন বহু দলকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব অর্জনের সুযোগ করে দেয়। ফলে বড় বড় দলগুলোর প্রভুত্ব খর্ব হয় এবং তারা সরকার গঠনের জন্য ছোট দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভর করে। তখন জোটবদ্ধ সরকার গঠন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। যেহেতু এসব ছোট ছোট দল তাদের আনুগত্য পরিবর্তন করতে পারে, সেহেতু ঘন ঘন সরকারে পরিবর্তন এবং অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে; ঙ. আনুপাতিক নির্বাচনের আরেকটি সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক হলো দলের দৌরাত্ম্য।
আনুপাতিক নির্বাচন যেহেতু দলীয় প্রার্থী তালিকার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়, সেহেতু সামগ্রিকভাবে দলের জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করে একজন এমপি সহজেই জিতে যেতে পারেন। ভোটারদের মধ্যে তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। আর দলীয় আধিপত্যের কথা আগেই বলা হয়েছে; চ. আনুপাতিক ব্যবস্থা একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। কারণ দলের সদস্যরা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও পুরোপুরি জানতে পারেন না কিসের ভিত্তিতে দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। এ ধরনের অস্বচ্ছতার ফলে মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এর ফলে তাদের মধ্যে কেউ কেউ নির্বাচনে স্বাতন্ত্র্য অথবা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। মনোনয়ন বাণিজ্যের সম্ভাবনা এই সমস্যাটাকে আরো জোরালো করে।
এবার বাংলাদেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি অনুধাবন করা যাক। আনুপাতিক ব্যবস্থাটি উত্তম সন্দেহ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের অধম রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে এটি কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তা প্রশ্নসাপেক্ষ। বিশেষ করে বাংলাদেশে এই ব্যবস্থার অনুশীলন এর আগে কখনো হয়নি। তবে এটি অনস্বীকার্য যে, বাম ও ডান ধারার বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতিকরা বেশ কয়েক দশক ধরে এই ব্যবস্থাটির সপক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তবে এবারের মতো ব্যবস্থাটি নিয়ে এত জোরালো রাজনৈতিক অবস্থান আর কখনো সৃষ্টি হয়নি। যেকোনো ব্যবস্থা তা যতই ভালো হোক না কেন, জনগণের সাথে পরিচিত না হলে তার বিরূপ ফলাফল অনিবার্য। সে ক্ষেত্রে আনুপাতিক ব্যবস্থাটির আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা অনুশীলন জরুরি। বিশেষ করে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে অনড় অবস্থান নিয়েছে তা নির্বাচনব্যবস্থার জন্য শঙ্কার সৃষ্টি করতে পারে বলে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি ও অন্যান্য ছোটখাটো দল যেভাবে পিআর পদ্ধতিকে এগিয়ে নিচ্ছে সেই সাথে নির্বাচন এগিয়ে নেয়ারও প্রয়োজন। তবে আশার কথা এই, যেসব দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে জোরদার আন্দোলন করছে, তারা কখনো অবশ্য নির্বাচন বানচাল বা নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কথা বলেনি। তারা নির্দিষ্ট সময়ে যথার্থ নির্বাচন চাচ্ছে।
যেকোনো আন্দোলন তার স্বাভাবিক পরিণতি ও অর্জন চায়। সে ক্ষেত্রে পিআরমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও রাজনৈতিক সমাধান কাক্সিক্ষত। এ দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নমনীয় অবস্থান নিয়ে বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের কথা বলেছে। এতে যেমন আন্দোলনকারী দলগুলো খুশি হয়নি, অপর দিকে পিআর সিস্টেমবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো সম্মতি আদায় হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে একরকম রাজনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বোঝাই যায়, একটি সমঝোতা ব্যতীত এই দুইপক্ষের অনড় অবস্থানের অবসান হওয়া সম্ভব নয়। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রথম থেকেই নীতিগতভাবে এই তুলনামূলক নির্বাচনব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছে। আশা করা গিয়েছিল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনুরোধে বিএনপি অন্তত উচ্চ পরিষদে পিআর সিস্টেম মেনে নেবে। এই সেদিন বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আগামী নির্বাচিত জাতীয় সংসদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যা হোক উভয় পক্ষকে অতি অবশ্যই একটি সমঝোতা প্রস্তাবে একমত হতে হবে।
ইতোমধ্যে সুশীলসমাজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মধ্যস্থতা প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। প্রথমত সেই পুরনো প্রস্তাব। জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে বিএনপি পিআর সিস্টেম মেনে নিতে পারে। এতে বিএনপির সামগ্রিক অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না বা বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। উচ্চকক্ষের আসন সংখ্যা যদি হয় ১০০, এলাকা ভিত্তিতে তারা যে আসন পাবে পিআর সিস্টেমে হিসাব করলেও তারা একই ধরনের আসন লাভ করবে বলে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এবারের মতো আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর এলাকাভিত্তিক নির্বাচনব্যবস্থা মেনে নেয়া উচিত। তবে সব রাজনৈতিক দল যদি পিআর তথা আনুপাতিক ব্যবস্থাকে নীতিগতভাবে বিচার বিশ্লেষণের জন্য গ্রহণ করে সেটি ভালো একটি বিষয় হবে। আরেকটি বিকল্প প্রস্তাব নিম্নকক্ষের ৩০০ আসনে সরাসরি ভোট হলো। নারী আসনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ ১০০ আসনেই পিআর সিস্টেম মেনে নেয়া হয় তাহলেও একটি সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। পিআর বা আনুপাতিক সিস্টেমের বিভিন্ন পদ ও পদ্ধতি আছে। রাজনৈতিক দলগুলো ইচ্ছা করলে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে পারে। শর্ত থাকবে এই যে, উভয়পক্ষ এই নির্ধারিত কমিটির সুপারিশ মেনে নেবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করেছে।
যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে তাহলে যেকোনো কঠিন সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে যায়। সে জন্য সবাই যদি সমঝোতার ও সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে এই কঠিন সময়কে অতিক্রম করে তাহলেই রাজনৈতিক স্বার্থকতা প্রমাণিত হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রে আমরা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমঝোতামূলক ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা চাই তাহলে রাজনৈতিক সমঝোতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এটি নিছক একটি নির্বাচন পদ্ধতির প্রশ্ন নয়, এটি একটি রাষ্ট্রের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বিষয়ও বটে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টিও এ নির্বাচনব্যবস্থার গহিন-গভীরে নিহিত।
লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]