আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের মধ্যভাগে অবস্থিত ছোট্ট দেশ বুরকিনো ফাসো। দুই লাখ ৭৩ হাজার ৯৬৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে দুই কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশ মুসলমান। দেশটি সংগ্রাম, বিপ্লব ও আশার প্রতীক হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে এই দেশে মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দারিদ্র্য, যুদ্ধ, ঔপনিবেশিকতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সাথে লড়াই করেছে। বুরকিনা ফাসো অর্থ, ‘সৎ মানুষের দেশ’। এই সৎ মানুষেরা এখনো নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়তে চেষ্টা করছে। ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার ও বৈদেশিক-নির্ভরতার শৃঙ্খল ভেঙে আর্থ-রাজনৈতিক স্বাধীনতার নতুন যুগে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
বুরকিনা ফাসোর ইতিহাস মূলত ঔপনিবেশিক শোষণের ইতিহাস। ১৮৯৬ সালে ফরাসি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ‘আপার ভোল্টা’ নামে পরিচিত এই অঞ্চল ফ্রান্সের কৃষিপণ্য ও খনিজসম্পদের উৎস হয়ে ওঠে। ফরাসিরা স্থানীয় সম্পদ ইউরোপে নিয়ে গেলেও স্থানীয় জনগণের ভাগ্যে আসে কেবল দারিদ্র্য। শিক্ষা, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা, সবই ফরাসি সংস্কৃতির ছায়ায় গড়ে ওঠে। স্বাধীনতার পরও এই কাঠামো বদলায়নি। ১৯৬০ সালে দেশ স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিকভাবে ফ্রান্সের ওপর নির্ভরশীল থেকে যায় এবং সিএফএ-ফ্রাঁ (CFA franc) মুদ্রা ব্যবস্থাও আজো স্বাধীনতার পথে বড় বাধা।
স্বাধীনতার পর একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থানে দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষীণ হয়ে যায়। এই অস্থিরতার মাঝেও বুরকিনা ফাসো ইতিহাসে কিছু উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছে। সবচেয়ে প্রেরণাদায়ক নাম হলো থমাস সাঙ্কারা, যিনি ১৯৮৩ সালে তরুণ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষমতায় এসে আফ্রিকার অন্যতম প্রগতিশীল বিপ্লবী নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। থমাস সাঙ্কারা পাঁচ বছরেরও কম সময়ে বুরকিনা ফাসোকে আত্মনির্ভর করে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেন, ‘আমাদের উন্নয়ন ঋণের ওপর নির্ভর করবে না, আমাদের সম্পদ দিয়েই নতুন ইতিহাস লিখব।’ তিনি তার শাসনামলে নারী অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে সংস্কার করেন, তুলা উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশী ঋণ কমানোর চেষ্টা করেন। তার সময়েই দেশটির নাম Upper Volta পাল্টে Burkina Faso করা হয়। ১৯৮৭ সালে এক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন।
পরবর্তী দুই দশক ব্লেইজ কম্পাওরি ২৭ বছর ধরে স্বৈরশাসন চালান। পশ্চিমা সহায়তা ও ফরাসি প্রভাব থাকলেও অর্থনীতি ধীর হয়। ২০১৪ সালে ব্যাপক জনবিক্ষোভে তিনি ক্ষমতা হারান। ২০১৫ সালে রোচ মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরে নির্বাচিত হন, তবে স্থিতিশীলতা পুরোপুরি ফেরেনি। অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক, নিরাপত্তা সঙ্কট ও বিভিন্ন হামলার কারণে বৃদ্ধি ধীর, বেকারত্ব বাড়ে এবং বিদেশী বিনিয়োগ সীমিত থাকে।
২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটিকে ঔপনিবেশিক নির্ভরতা থেকে মুক্ত করা, নিজস্ব সম্পদে আত্মনির্ভর উন্নয়ন এবং আফ্রিকান ঐক্যের পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে।
২০২২ সালের পর থেকে ট্রাওরের নেতৃত্বে বুরকিনা ফাসো পশ্চিমা সামরিক নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে রাশিয়া এবং প্রতিবেশী মালি ও নাইজারের সাথে একটি নতুন নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন জোট গঠন করেছে, যার নাম ‘Alliance of Sahel States (AES)’। এই জোট মূলত আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত উন্নয়ননীতিকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়- যা পরনির্ভরতা কমানোর প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এ উদ্যোগ ঝুঁকিমুক্ত নয়; পশ্চিমা সহায়তা ও অনুদান হ্রাস পাওয়ায় বাজেট ঘাটতি ও উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
ট্রাওরের নেতৃত্বে দেশটিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অবকাঠামো খাতে পরিবর্তনের সূচনা ঘটেছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০২২ সালের প্রায় ১৮.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে প্রায় ২২.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্রবৃদ্ধির হার গড়ে প্রায় ৪ শতাংশে উন্নীত হয়। কৃষি খাতের সংস্কারে ধানের উৎপাদন ২৮০ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৩২৬ হাজার টনে পৌঁছায়। ২০২৪ সালে সিরিয়াল বা দানাদার খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে ছয় মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়।
খনিজসম্পদে আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে ট্রাওরে সরকার দু’টি স্বর্ণখনি জাতীয়করণ করে এবং প্রথমবারের মতো দেশের অভ্যন্তরে স্বর্ণ রিফাইনারি স্থাপন করে, যার বার্ষিক প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা প্রায় ১৫০ টন। এর ফলে কাঁচা স্বর্ণ রফতানির পরিবর্তে দেশীয়ভাবে মূল্য সংযোজন সম্ভব হয়েছে। রফতানি নীতিতে কঠোরতা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া হয়। সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রী ও এমপিদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানো এবং জাতীয় কর্মচারীদের বেতন ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়।
অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। সড়ক উন্নয়ন, বিমানবন্দর স¤প্রসারণ, বিদ্যুতায়ন এবং গ্রামীণ কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের ফলে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও উৎপাদন শৃঙ্খলা গতিশীল হয়েছে। ‘ঋধংড় গল্গনড়’ নামে একটি নগরায়ন ও সড়ক পুনর্গঠন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যার আওতায় রাজধানী উগাদুগু ও কয়েকটি প্রাদেশিক শহরের মধ্যে আধুনিক সড়ক ও সেতু নির্মাণ চলছে।
রাজনৈতিকভাবে ট্রাওরে সরকার সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি পরিবর্তিত শাসন কাঠামো গঠন করেছে। ২০২৪ সালে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার মেয়াদ আরো অন্তত পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। নিরাপত্তা কাঠামো শক্তিশালী করতে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ, স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী স¤প্রসারণ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ফরাসি সেনা উপস্থিতি ক্রমে কমানো হয়েছে এবং রাশিয়ার সাথে সামরিক ও খনিজ সহযোগিতা বেড়েছে।
সরকার সৌরবিদ্যুৎ ও ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ শুরু করেছে, যার ফলে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎপ্রাপ্তি বাড়ছে। একই সাথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের শর্তাধীন সহায়তার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক খাতে ঔপনিবেশিক প্রতীকের বদলে দেশীয় ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জাতীয় পরিচয় ও গর্ববোধ সৃষ্টি হয়। সামাজিকভাবে, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিচারিক পোশাক পরিবর্তন, দেশীয় পোশাক প্রচলন এবং স্থানীয় বিনিয়োগে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। এক কথায়, ট্রাওরের শাসনামলে বুরকিনা ফাসো ‘স্বাধীনভাবে নিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন মডেল’-এর দিকে এগোচ্ছে। দেশের মাটিতে সোনা ছাড়াও লিথিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্কের মতো আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের অপরিহার্য খনিজ রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে এসবের প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে উঠলে রফতানিতে মূল্য সংযোজন ঘটবে, কর্মসংস্থানও বাড়বে।
তবে এই সম্ভাবনার পথে চ্যালেঞ্জও কম নয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও একাধিক সামরিক শাসন বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করে। দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জটিলতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে। তবু ইতিহাস বলে, এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব। প্রতিবেশী নাইজার ও মালি তেল, বিদ্যুৎ ও কৃষি সংস্কারের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়েছে। ঘানা গণতন্ত্র ও শিক্ষা বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকার অন্যতম সফল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে, আর রুয়ান্ডা গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সুশাসন ও নারী নেতৃত্বের বিকাশে ‘আফ্রিকার উন্নয়ন মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বর্তমানে বুরকিনা ফাসোর পররাষ্ট্রনীতি দুই সঙ্কটে রয়েছে; একদিকে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসের হুমকি, আর অন্যদিকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বৈদেশিক সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন। দেশটি এখন আঞ্চলিক সংগঠন ECOWAS-এর ভূমিকা পুনর্বিবেচনার প্রশ্নে দাঁড়িয়ে আছে। রফতানি আয় বৃদ্ধির মূল সুযোগ সোনা, অন্যান্য খনিজ ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। নিরাপত্তা সমস্যায় খনন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে কৃষি, যা প্রায় ৮০ শতাংশ জনগণের জীবিকার উৎস, তা বৃষ্টিনির্ভর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনিশ্চিত। পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি-নির্ভরতা দেশের আমদানি খাতে চাপ তৈরি করছে। তাই আমদানি-রফতানির ভারসাম্য রক্ষা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এখন প্রধান অগ্রাধিকার।
তবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া সহজ নয়। নিরাপত্তা সঙ্কট- সন্ত্রাসবাদ, সীমান্তের অনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে বুরকিনা ফাসোর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, যা মানবিক ও প্রশাসনিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। তবুও জনগণের দৃঢ় মনোবল ও সরকারের সক্রিয় উদ্যোগে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনী ও সম্প্রদায়ভিত্তিক প্রতিরক্ষা সংগঠনগুলো নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
বর্তমানে দেশটি আইএমএফের চার বছরের ‘Extended Credit Facility (ECF)’ কর্মসূচির আওতায় আছে। আইএমএফের মতে, বুরকিনা ফাসো রাজস্ব বৃদ্ধি, বাজেট ঘাটতি হ্রাস, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও তেল খাতে সাবসিডি সংস্কারে অগ্রগতি দেখিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক ও আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় সামাজিক খাত, অবকাঠামো ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে উন্নয়ন ঘটছে, যা রফতানি সক্ষমতা ও বৈদেশিক বিনিয়োগ উভয়ই বাড়াচ্ছে।
পশ্চিম আফ্রিকার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত দেশটি আঞ্চলিক বাণিজ্য, পরিবহন ও সংযোগে কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। এসব নীতির ফলে বুরকিনা ফাসো শুধু নিজস্ব অর্থনীতি নয়, আফ্রিকার অন্যান্য দেশকেও স্বাধীন ও স্বনির্ভর উন্নয়নের পথে অনুপ্রাণিত করছে। পশ্চিম আফ্রিকায় নিওকলোনিয়াল প্রভাবের বিরুদ্ধে ট্রাওরের অবস্থান তাকে প্রতীকী নেতায় পরিণত করেছে। তার নীতিমালা অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের ভিত্তি স্থাপন করেছে। সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক দিক হলো মানসিক পরিবর্তন। বুরকিনা ফাসো আজ বুঝতে শিখছে, উন্নয়ন কোনো দান নয়, এটি অর্জনের বিষয়। জনগণ এখন আগের চেয়ে সচেতন, তাদের সম্পদ যেন তাদেরই কল্যাণে ব্যবহৃত হয় সেই প্রত্যাশা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তা মনোভাব, কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ভবিষ্যতের আশা জাগাচ্ছে।
স্থানীয় সম্পদনির্ভরতা, শিক্ষায় বিনিয়োগ ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি, এই তিনটি উপাদানের সমন্বয় ঘটাতে পারলে দেশটি এক দশকের মধ্যেই আফ্রিকার উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। সৎ মানুষের এই দেশ যদি আত্মবিশ্বাস ধরে রাখে, তবে শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, পুরো সাহেল অঞ্চলের ভাগ্যও পাল্টে দিতে পারে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট


