তিন বোধ নিয়ে যত কথা

বেশ মজার ব্যাপার হলো, কারো হয়তো ভাবনায় নেই যে, ইতোমধ্যে দেশে যে আরো নতুন সাত কোটি ভোটার বেড়েছে তাদের হিসাব কেউ না রাখলেও এই নবীনরা কিন্তু সব দলের আমলনামায় সতর্ক নজর রাখছে। এরাই হয়ে উঠতে পারে ডিসাইসিভ ভোটার। অতএব সাবধান?

ইতিহাসের তিন সন্ধিক্ষণে যে বোধগুলো মানুষের মন-মস্তিষ্কে তৈরি হয়েছে তাকে সামনে রেখে, কিছু বলার সময় বোধ হয় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। তাছাড়া এ কথা ভুলে গেলে আরো অনেক ভুলের মাঝে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। যেমন সেই ১৯৭০ সালের নির্বাচন নিয়ে ইতিহাসের ওই সন্ধিক্ষণের বোধকে স্মরণ করে আজো মানুষের মনে গভীর এক আকুতি-আকাক্সক্ষা ছিল। সে আকুতির ধরন ও চর্চা ভিন্নরকম ছিল। আমার বাল্যবন্ধু হানিফ (পরলোকগত) যখন তদানীন্তন সূত্রাপর থানাধীন ফরিদাবাদ মাদরাসা কেন্দ্রের বুথে দশতম ভোট দিতে হাজির হলো তখন বুথ কর্মকর্তা মুচকি হেসে হানিফকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বাবা তুমি আর কয়টা ভোট দিবা’। হানিফ হেসে বলেছিল, চাচা এটাই শেষ। অখণ্ড পাকিস্তানে সেটা ছিল প্রথম এবং শেষ ভোট। সে সময় কে কটা ভোট দিয়েছিল। তা নিয়ে তখন কারো কোনো প্রশ্ন ছিল না। আনন্দ খুশি নিয়ে সবাই ভোট কেন্দ্রে হাজির ছিল তাকে অনেকটা পপুলার ... বলা যায়। সেই অমূল্য ভোট যে বুটের তলায় পিষ্ট হবে কেউ কি তখন সেটা কল্পনা করেছিল? তারপর যে হত্যাযজ্ঞ হলো তার দায় কার! তার পরে যে করুণ ও মর্মান্তিক ইতিহাস রচিত হয়েছিল, আজকের প্রজন্ম সে নির্র্মমতা দেখেনি, হয়তো পড়েছে তার ইতিহাস। তবে ইতিহাসের যেমন নানা ভার্সন থাকে তেমনি বয়ানও আছে। এমন একটি ইতিহাস লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং তৎকালীন ইয়াহিয়া সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য প্রফেসর জি ডাবলু চৌধুরী। তার লেখা ‘অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলো’। অতি সম্প্রতি তথা গত ২৬ মার্চ ’২৫ দৈনিক প্রথম আলোর স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা ৮ম পৃষ্ঠায় ‘মুজিব বাহিনীর সত্য-মিথ্যা’ শীর্ষক নিবন্ধে ইতিহাসের একটি খণ্ডিত অংশ প্রকাশিত হয়। তার লেখক বিশিষ্ট গবেষক শ্রদ্ধাভাজন মহিউদ্দিন আহমদ। এসব লেখার মাঝে অবশ্যই একটি গভীর বোধ তৈরি করবে। পর্দার আড়ালে কত যে নাটক প্রহসন মঞ্চস্থ হয় এমন বহু ঘটনার দ্বার উন্মোচিত হবে। সেসব ঘটনা কখনো কল্পনাকেও হার মানায়। এসব থেকে বোঝা যায় সাধারণ মানুষ কতটা নাটকের সেই মৃত সৈনিকের মতো, যাদের মঞ্চে মরে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনো ভূমিকা থাকে না। নাটকে তার প্রয়োজন স্বীকৃত কিন্তু কোনো সংলাপ নেই, সচলতা নেই, আবেগ অনুভূতি অভিব্যক্তির প্রকাশ নেই। এ বেদনা সে রাখবে কোথায়!

যাই হোক, ’৭০-এর নির্বাচন সাধারণের জন্য একটি ভূখণ্ড উপহার দিয়েছিল। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে স্বাধীনতার পর যারা একটু বেশি সাধারণ ছিল বা এটাও বলা যায়, যারা অতি অসাধারণ। তারা কিন্তু শুধু নিজস্ব ভূখণ্ড নয়, নিজেরা ভূস্বামীও হয়ে উঠেছিল। সাম্প্রতিকালেরই মতো লুটতন্ত্র, জুলুমতন্ত্র কায়েম হয়েছিল। তখন কী হয়নি সেটাই ইতিহাসবিদদের প্রশ্ন। এমনটা শুধু স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের কথা নয়। এর ব্যাপ্তি-বিস্তৃতি দিগন্ত ছুঁয়েছিল। অতি অসাধারণের নয়, নিছক সাধারণের মনের দুঃখ, শুধু মনেই ছিল এমন নয়, অসংখ্য মানুষের দেহেও তার চিহ্ন এঁকেছিল।

এবার দেখা যাক ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের চেহারা কেমন ছিল। ’৭০ সালে ভোট দেয়ার যে অভিজ্ঞতা তা তো ছিল কেবল একমুখী গণজোয়ার। কিন্তু ’৭৩ সালের নির্বাচনে অভিজ্ঞতাটাকে কিভাবে প্রকাশ করব, সেটা বোধ-বিবেচনায় একেবারেই আসছে না। আমার নিজের অভিজ্ঞতা ছিল এমন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ভোটের বুথে হাজির হয়েছিলাম। কারণটা খোলাসা করে বলি। আমার বাল্যবন্ধু ওর নামটা না হয় উহ্যই থাক, কেননা এখন আর রাজনীতিতে নেই। সে ছিল স্থানীয় ছাত্রলীগের ডাকসাইটে নেতা। ’৭৩ সালে নির্বাচনের পূর্বাহ্নে সে বীরদর্পে ঘোষণা দিলো ‘গেন্ডারিয়া হাই স্কুল কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের বাইরে একটি ভোটও পড়বে না, পড়লে কিন্তু খবর আছে।’ স্মরণযোগ্য যে, গেন্ডারিয়া এলাকা, পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থানাধীন সতীশ সরকার রোডে ওই প্রাচীন হাই স্কুলের অবস্থান। ওই কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন খোদ আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান। নৌকা প্রতীকের প্রতিপক্ষ ছিল ন্যাপ ভাসানীর ধানের শীষ। সে সময় আমার অপর দুই বন্ধু লুৎফর ও মোশারফ আমরা তিন বন্ধু তখন কোনো ছাত্র সংগঠনের হার্ড কোর সদস্য ছিলাম না। তবে ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) প্রতি একটি সফট কর্নার ছিল। তিন বন্ধু মিলে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেকোনো মূল্যে হোক ধানের শীষে ভোট দেবো। গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের পেছনের সড়কটা হচ্ছে, দীননাথ সেন রোড। (ডা: দীননাথ সেন বিখ্যাত এক ব্যক্তি ছিলেন। তার পুত্র দিবানাথ সেন ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের স্বামী)। সেই দীননাথ সেন রোডের স্কুলের পেছন দিকে ঠিক তার গা ঘেঁষে একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। নির্মীয়মাণ সেই বাড়িতে মিলিত হলাম তিন বন্ধু। সে বাড়ির শেষ প্রান্ত থেকে প্রায় তিন ফুট ব্যবধানে স্কুলের একটি একতলা ভবন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফ দিলাম তিনজন, স্কুলের একতলা ভবনের ছাদে। তারপর দ্রুত যার যার বুথে প্রবেশ করে ঝটপট ধানের শীষে ভোট দিলাম। দ্রুত ভোট দিতে আমাদের সাহায্য করেছিলেন সে স্কুলের তদানীন্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক বি রহমান স্যার। ভোট দেয়ার পর মুহূর্তে একই পথে নিষ্ক্রান্ত হলাম। স্কুলের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ না করার কারণ ছিল, আমরা তিনজনই ছিলাম সতীশ সরকার রোডের খুব পরিচিত মুখ। প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে সাথে সাথে আটকা পরে কিল, ঘুষি খেতাম। ’৭৩ সালের ওই নির্বাচন নিয়ে রচিত হয়েছে আরো কত না ইতিহাস। এমন এক ইতিহাস গ্রন্থের রচয়িতা পিনাকী ভট্টাচার্য। ‘স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ’ এই গ্রন্থে আছে ’৭৩-এর নির্বাচনের পূর্বাপর আরো অনেক ইতিহাস।

পিনাকীর সে লেখায় আছে, ‘নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে শেখ মুজিবের সাথে আন্তরিক আলাপে বামপন্থী রাজনীতিক ও সাংবাদিক হায়দার আকবর খান রনো বলেছিলেন, ‘এবার কিন্তু আপনি আগের মতো সব আসন পাবেন না।’ তিনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘কত পাবো মনে করছিস?’ রনো বলেছিলেন, ‘ত্রিশ থেকে পঞ্চাশটা সিট; আওয়ামী লীগ হারবে।’ তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, এটা হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। বিরোধীরা কত সিট পাবে বলে শেখ মুজিব মনে করেন, এই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সেটা না বলাই ভালো। কারণ, সেটা জানলে বিরোধীরা নির্বাচনেই আসবে না।’

অন্যত্র আছে, ‘১৯৭৩-এর ৭ মার্চ, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। স্বাধীন দেশের প্রথম নির্বাচন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছেই ভোটকেন্দ্র। বিপুল উৎসাহ নিয়ে সবাই ভোট দিতে যাচ্ছেন। তৎকালীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি ইংরেজি থেকে বাঙলায় বাংলাদেশের সংবিধানের অনুবাদ করেছিলেন, সেই প্রফেসর আনিসুজ্জামান যাচ্ছেন ভোট দিতে।

দুই গাড়ি ভরে তিনি সহকর্মীদের সাথে ভোটকেন্দ্রে গেলেন। সাথে উপাচার্য অধ্যাপক ইন্নাস আলী, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী। সবাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সম্মানিত শিক্ষক এবং সাধারণ্যে অতি পরিচিতি মুখ। সবার মনের মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহ। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে তাদের সেই উত্তুঙ্গ উৎসাহ দপ করে নিভে গেল। তারা জানলেন, তাদের সবার ভোটই দেয়া হয়ে গেছে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সরকারি প্রার্থীকেই ভোট দিতেন, হয়তো অন্যরাও তাই দিতেন। তবে উৎসাহী রাজনৈতিক কর্মীরা সেই আশার ওপর ভর করে নিশ্চুপ থাকতে চাননি।’ এমন ছিল হাজারো ঘটনা।

বেশ মজার ব্যাপার হলো, কারো হয়তো ভাবনায় নেই যে, ইতোমধ্যে দেশে যে আরো নতুন সাত কোটি ভোটার বেড়েছে তাদের হিসাব কেউ না রাখলেও এই নবীনরা কিন্তু সব দলের আমলনামায় সতর্ক নজর রাখছে। এরাই হয়ে উঠতে পারে ডিসাইসিভ ভোটার। অতএব সাবধান? পুরনো ভোটাররাও কিন্তু এখন কোনো দলের পক্ষে ইনট্যাক্ট নেই। ভাঙাগড়া চলছে। কোনো একটি দল নানা দোষত্রুটির কারণে ইতোমধ্যে তাদের ১৭০০ কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। সম্মুখে তাদের কী হয় কে জানে। ওই দলে শীর্ষে একটি বড় ধরনের ভ্যাকিউম আছে। এসব নিয়ে ভাবতে হবে। নির্বাচন সবাই চায় কিন্তু সে নির্বাচন হতে হবে নিখুঁত ত্রুটিমুক্ত। কোনো হেরফের হলে ক্ষমতাসীন সরকার ও ক্ষমতার বাইরে থাকা দল নির্বিশেষে কাউকে জাতি ছেড়ে দেবে না। অতএব সাধু সাবধান

‘৭৩ এর নির্বাচন আরো কত শত কথা আছে। নতুন করে আর বলতে চাই না পুরনো ঘটনা।

(২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনবার যে ভোট ভোট খেলা হয়েছিল। আর ২০১৮ এর নির্বাচনের স্বরূপ নিয়ে অপরূপ এক কথামালা গেঁথেছেন অবসরপ্রাপ্ত জনৈক সামরিক গোয়েন্দা দফতরের একজন কর্মকর্তা। ইতঃপূর্বে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত মশকরা করে বলেছিলেন, দিনের ভোট রাতে কিভাবে হয়। সে কথা তো কখনো শুনিনি। তা কিভাবে সেটা হয়েছিল তার এক চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন উপরোক্ত সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা সোশ্যাল মিডিয়ায়। ’২৪ এর নির্বাচন ছিল, ডিরেকশন, সিলেকশন ও অ্যানাউসমেন্ট। ’৭৩ সালে নির্বাচন নিয়ে যে আরো কত ক্যারিকেচাল শুরু করেছিলেন লীগ দলপতি, তার কন্যা তাকে নিয়ে পূর্ণতায় পৌঁছান। মুজিবকন্যার আমলটা ছিল আয়নাঘর দিয়ে ঢাকা, আর পথে-প্রান্তরে ঝুলছিল জেলের তালা, টুঁ শব্দ করতে ছিল মানা।

তৃতীয় অনুভূতিটা এখনো পাকাপোক্ত না হলেও তবে পরিবেশ পরিস্থিতি ও আভাস-ইঙ্গিত থেকে কিছু উপলব্ধি করা যাচ্ছে। কোনো কোনো দল আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি এবং নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দিচ্ছে দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামীমনা একাধিক সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি আমলাও আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার একটি পথনকশা তৈরি করছে। আবার ভারতও ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। অদ্ভুত এক সমীকরণ! জানি না এমন সমীকরণ দেশের জনগণ কিভাবে নেবে। কিছু বড়, ছোট, মাঝারি দল নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শর্ত দিয়েছে। তারা নির্বাচনের পূর্বে বিচার, সংস্কার, সংশোধন এসব চায় এবং জনগণকে সাথে পেতে উন্মুখ। এই দুই পক্ষের এমন দূরত্ব না কমলে নির্বাচন হওয়া আসলেই তো মুশকিল। সবচেয়ে বড় কথা যারা নির্বাচনের মূল নায়ক-নায়িকা যুবা-যুবতীরা তথা সাধারণ জনতা, তাদের মাঝে নির্বাচন এখনো কোনো সাড়া শব্দও নেই তবে ভোট দেবে কারা। বেশ মজার ব্যাপার হলো, কারো হয়তো ভাবনায় নেই যে, ইতোমধ্যে দেশে যে আরো নতুন সাত কোটি ভোটার বেড়েছে তাদের হিসাব কেউ না রাখলেও এই নবীনরা কিন্তু সব দলের আমলনামায় সতর্ক নজর রাখছে। এরাই হয়ে উঠতে পারে ডিসাইসিভ ভোটার। অতএব সাবধান? পুরনো ভোটাররাও কিন্তু এখন কোনো দলের পক্ষে ইনট্যাক্ট নেই। ভাঙাগড়া চলছে। কোনো একটি দল নানা দোষত্রুটির কারণে ইতোমধ্যে তাদের ১৭০০ কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। সম্মুখে তাদের কী হয় কে জানে। ওই দলে শীর্ষে একটি বড় ধরনের ভ্যাকিউম আছে। এসব নিয়ে ভাবতে হবে। নির্বাচন সবাই চায় কিন্তু সে নির্বাচন হতে হবে নিখুঁত ত্রুটিমুক্ত। কোনো হেরফের হলে ক্ষমতাসীন সরকার ও ক্ষমতার বাইরে থাকা দল নির্বিশেষে কাউকে জাতি ছেড়ে দেবে না। অতএব সাধু সাবধান।

[email protected]