ড. মোহাম্মদ খালেদ হোসেন
আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মূলত ‘পপুলার সভরেন্টি’ বা জনগণের সার্বভৌমত্বের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ রাষ্ট্রের বৈধতা এবং কর্তৃত্ব জনগণের সম্মিলিত ইচ্ছা (পপুলার উইল) থেকে উদ্ভূত। এই ইচ্ছার মিলিত প্রকাশই হলো সামাজিক চুক্তি (সোশ্যাল কনট্রাক্ট), যা হবস-লক-রুশো থেকে শুরু করে সমসাময়িক রাজনৈতিক তত্তে¡ রাষ্ট্রের ভিত্তিগত ধারণা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সামাজিক চুক্তি বলতে বোঝায়, জনগণ সম্মিলিতভাবে এমন একটি কাঠামো তৈরি করে যেখানে শাসক ও শাসিত উভয়ই নির্দিষ্ট নীতি, আইন ও দায়বদ্ধতার অধীন হয়ে থাকে। এই চুক্তির আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার যে মানদণ্ড নির্ধারিত হয় তা হলো- নাগরিকের নিরাপত্তা, সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন, স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এছাড়া আরো থাকে জনগণের মূল্যবোধ, চিন্তা, নৈতিক আদর্শ ও সমন্বিত আকাক্সক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা।
সংবিধান ও আইন এই সামাজিক চুক্তিরই গাঠনিক রূপ, যা মূলত একটি সম্মিলিত ইচ্ছাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিমালার রূপ প্রদান করে। এতে নাগরিক ও রাষ্ট্র উভয়ই দায়বদ্ধ হয় একে-অপরের প্রতি। নাগরিকরা কর প্রদান থেকে শুরু করে আইন পালন, জনসম্পদ রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উৎপাদনশীল ভূমিকা পালনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে। একই সাথে সমালোচনামূলক চিন্তা, মানবিকতা, সহনশীলতা ও ভিন্নমতের প্রতি সম্মান চর্চার মাধ্যমে একটি প্রাণবন্ত সমাজ গড়ে তোলেন যা আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য এক অপরিহার্য শর্ত।
কিন্তু জনগণের ইচ্ছা কিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতার কাঠামোতে প্রতিফলিত হবে? এখানেই আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার সবচেয়ে মৌলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটে। রাজনৈতিক দল হচ্ছে এমন এক সংগঠিত মাধ্যম, যার মাধ্যমে সমাজের বহুবিধ স্বার্থ, মতাদর্শ, বিরোধ, আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশা রাজনৈতিক পরিসরে উপস্থাপিত ও সমন্বিত হয়। অর্থাৎ দল হলো রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ।
যেহেতু রাষ্ট্রে বহুবিধ মতাদর্শিক বিভাজন রয়েছে, তাই রাজনৈতিক দলগুলো সেই বহুত্ববাদের (প্লুরালিজম) প্রতিনিধিত্ব করে। এখন প্রশ্ন একটি রাজনৈতিক দলের কাজ কী? রাজনীতি বিজ্ঞানের আলোকে একটি পরিণত, দায়িত্বশীল ও আধুনিক রাজনৈতিক দলের মৌলিক দায়িত্ব হলো জনগণের সম্মিলিত ইচ্ছার প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব করা, অর্থাৎ- জনগণের স্বার্থ, সমস্যা, দাবি-দাওয়া ও আদর্শ বিশ্লেষণ করে তা রাষ্ট্রীয় নীতিতে রূপ দেয়া এবং রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে কার্যকর সেতুবন্ধ সৃষ্টি করা। একই সাথে একটি দায়িত্বশীল দল নাগরিকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করে রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ নিশ্চিত করে। দলগুলোর দায়িত্ব হলো স্বল্পমেয়াদি সুবিধা দেয়া নয়; বরং রাষ্ট্র ও জনগণের দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে যথাযোগ্য নীতি প্রণয়ন করে, দক্ষতাসম্পন্ন, নৈতিক ও দূরদর্শী নেতৃত্ব গড়ে তোলা। যেকোনো দল ক্ষমতায় গেলে জবাবদিহি, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন ও জনকল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়াও তার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, একটি আদর্শ দল বিভাজনের বদলে, সংলাপ, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার চেষ্টা করে যা গণতন্ত্রের স্থায়িত্ব ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি। সুতরাং, রাজনৈতিক দল তখনই সচল ও প্রাণবন্ত থাকে যখন তারা জনগণের ইচ্ছা-আকাক্সক্ষার স্পন্দন অনুভব করতে পারে, সেই অনুযায়ী নীতি প্রণয়ন করে এবং জনগণের স্বার্থকে নিজেদের দলীয় স্বার্থের সাথে একীভূত করে। কিন্তু যদি দলগুলো তা না করে জনগণকে কেবল ভোটের বাজারে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে, ক্ষমতায় এসে জনগণকে ভুলে যায় এবং ক্ষমতা-সম্পদ ও রাষ্ট্রযন্ত্র নিজেদের ব্যক্তিগত মালিকানায় পরিণত করে তাহলে সেই রাজনৈতিক দল বা জোটের পতন অনিবার্য হয়ে যায়। ইতিহাস বারবার প্রমাণ করে, জনগণ যখন জেগে ওঠে তখন তার বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন অনাচারের মাধ্যমে কোনো দলের পক্ষেই সে কখনোই টিকে থাকতে পারে না, তা সে দল যতই শক্তিশালী হোক।
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান এ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে সা¤প্রতিক ও শক্তিশালী উদাহরণ, যেখানে শেখ হাসিনার পতনের সাথে সাথে আওয়ামী লীগ এবং তার সহগামী শক্তি, দালালচক্র ও সুবিধাভোগী এলিটরাও জনগণের বিপ্লবের মাধ্যমে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার দায়ে তার ফাঁসির আদেশ ঘোষিত হয়েছে, সম্ভবত অচিরেই তার দল আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী দল হিসেবে বিচার হবে ও আইন দ্বারা নিষিদ্ধ হবে। এ ঘটনা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে, জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল শেষ পর্যন্ত জনগণের শক্তির কাছেই পরাজিত হয়।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগীরা কেন বিলীন হওয়ার পথে
আওয়ামী লীগ আজ যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, এটিকে আর কেবল ‘রাজনৈতিক সঙ্কট’ বলা যায় না; বরং এটি সরাসরি অস্তিত্বসঙ্কট তথা রাজনৈতিক মৃত্যুর চূড়ান্ত ধাপ। দলটি ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে অস্তিত্বসঙ্কটে পড়লেও পরে হাসিনার ছলা-কলা ও মিথ্যা নেতৃত্ব ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের এস্টাবলিশমেন্টের হাত ধরে পুনর্জীবন পায়। ২০০৮-এর প্রশ্নবিদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দলটি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের প্রহসনের নির্বাচন ছিল সেই মৃত্যুপ্রক্রিয়ার তিনটি প্রধান মাইলফলক। গণতান্ত্রিক দল হওয়ার বদলে আওয়ামী লীগ পরিণত হয়েছিল রাষ্ট্রযন্ত্র-ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, আমলাশক্তি-দলীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে গঠিত একটি ফ্যাসিস্ট কার্টেল পার্টি, যার টিকে থাকার একমাত্র ভরসা ছিল ভয়ের রাজনীতি, ব্যাপক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতি। দলটি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার বদলে জনগণকে শোষণের সম্পদ হিসেবে দেখতে শুরু করল এবং বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহত্তম চুরি ও পাচারের ঘটনা জন্ম দিয়ে ১৫ বছরে তারা ২৩৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ টাকা পাচার করেছে।
শেখ হাসিনার ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরাচারী শাসন কাঠামো এমনভাবে নির্মিত ছিল যে, তার পতনের সাথে সাথে দলটিও মাটিতে ভেঙে পড়েছে। আজ আওয়ামী লীগ শুধু জনবিচ্ছিন্ন নয়, একই সাথে তারা সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যাত এবং রাজনৈতিকভাবে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে সা¤প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদগুলোর সফল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে অপ্রয়োজনীয় হিসেবে প্রমাণ করে দিয়েছে। শুধু প্রতিবেশী দেশের সাথে মিলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা ও দেশে বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে ককটেল ফুটিয়ে, আগুন দিয়ে মানুষ মেরে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি করার ক্ষমতাই অবশিষ্ট রয়েছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে, আওয়ামী লীগের জনভিত্তি শূন্যে নেমে গেছে এমনকি গ্রামগঞ্জেও তাদের নাম উচ্চারণ করা হয় ঘৃণার প্রতীক হিসেবে। বাংলাদেশে ‘তুই মানুষ না আওয়ামী লীগ’ গালি হিসেবে বহুদিন ধরেই জনপ্রিয়।
আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের যেমন নির্মম পতন হয়েছে, ঠিক একই পরিণতি এখন ঘনিয়ে এসেছে তাদের সহযাত্রী ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির জন্য। এরা ইতিহাসে স্থান পাবে স্বৈরতন্ত্রের সহযোগী গৃহপালিত দাস হিসেবে। ১৪ দল বছরের পর বছর ‘ধারক-বাহক’ হয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে রাজনৈতিক বৈধতার আবরণ জুগিয়েছে; মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দমন-নিপীড়ন, দুর্নীতি, অবাধ লুণ্ঠনকে নীরব সমর্থন দিয়েছে। আর জাতীয় পার্টি সেই চিরাচরিত ভূমিকা পালন করেছে দরকার অনুযায়ী ভাড়া করা ও প্রতিবেশী দেশের আজ্ঞাবহ ‘বিরোধী দল’, যা গণতন্ত্রের মুখোশ সরবরাহ করে ফ্যাসিবাদী শাসনকে আরো দৃঢ় ও দীর্ঘ করেছে। জনগণ এখন এই দুই শক্তিকে একই দৃষ্টিতে দেখে : অপরাধের অংশীদার, ফ্যাসিবাদের ভাগীদার এবং রাষ্ট্রধ্বংসের সহযাত্রী। তাই স্বৈরশাসকের পতনের সাথে সাথে এদেরও সামাজিক বৈধতা ও রাজনৈতিক মাটি একেবারে সরে গেছে। আজ ১৪ দল ছিন্নভিন্ন, জনহীন, ভবিষ্যৎহীন; আর স্বৈরশাসক এরশাদের জাতীয় পার্টি পরিণত হয়েছে হাস্যকর এক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে। ২০২৪-এর বিপ্লব এই বার্তাই দিয়েছে ফ্যাসিবাদের পাশে দাঁড়ানো কোনো শক্তিরই বাংলাদেশের জনগণের নিকট ভবিষ্যৎ নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠিন শিক্ষা
হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় নতুন বাংলাদেশের জন্য উন্মোচিত করেছে এক গভীর নৈতিক রাজনীতির ধারা, যেখানে শাসকগোষ্ঠীর জবাবদিহি আর ক্ষমতার সীমা নতুনভাবে লিখিত হয়েছে। এটি এমন একটি মুহূর্ত যা সমাজকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, রাষ্ট্র জনগণের সেবক, মালিক নয়। এই রায় পলায়নপর স্বৈরাচারী এক ব্যক্তির পতনকে ছাড়িয়ে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, রাষ্ট্রব্যবস্থা যখন জনগণের ওপর সহিংসতার যন্ত্রে পরিণত হয়, তখন আকাশচুম্বী ক্ষমতাও আর সুরক্ষার দেয়াল হয়ে কাজ করে না; বরং চির পতনের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ, ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির মতো সহযোগী দলগুলো এ দেশের ইতিহাসে এখন মোরাল কমপ্লিøসিটির টেক্সটবুক উদাহরণ, যারা ক্ষমতার রুটি লুটতে গিয়ে নিয়মনিষ্ঠ রাজনীতিকে ধ্বংস করে জনগণের চোখে নৈতিক দেউলিয়াত্বের জীবন্ত প্রতীক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
এই রায় ও পরিণতি রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে চারটি নির্মম শিক্ষা রেখে গেছে। প্রথমত, জনগণ-বিচ্ছিন্ন ক্ষমতার টিকে থাকার কোনো তাত্তি¡ক বা বাস্তব ভিত্তি নেই; বৈধতা যখন নিম্নপর্যায়ের হয়, তখন দলই নিজের পতনের স্থপতি হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করার যে অহঙ্কার আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী, অর্থনীতি, গণমাধ্যম শেষতক সেই যন্ত্রই তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের হাতিয়ার হয়েছে। তৃতীয়ত, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও জবাবদিহিতাবিহীন রাজনীতি আদর্শগত মৃত্যু ছাড়া আর কিছু এনে দিতে পারে না। চতুর্থত, নতুন বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে অতীব সতর্ক থাকতে হবে তাদের বিষয়ে, যারা অতীতে হাসিনা ও তার ফ্যাসিবাদী শক্তিকে জনগণবিরোধী কাজে নিয়মিত উসকানি দিয়েছে তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী, মিডিয়া, কথিত এলিট গোষ্ঠী, যারা বিএনপি ও জামায়াতকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি হিসেবে পরিগণিত করে গুম-খুন ও ম্যাসাকারের বৈধতা তৈরি করেছে। একই সাথে ইসলাম, মুসলমানদের ঈমান ও সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড় করিয়েছে, জাতীয় ঐক্য ভেঙেছে এবং জনগণকে বিভাজিত করেছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীরা ভবিষ্যতে যেকোনো দলকে তার পতনের পথে ঠেলে দিতে সক্ষম। তাদের কার্যকলাপ আইনানুসারে শাস্তির আওতায় আনা যেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে এই মতাদর্শ শনাক্তকরণ করে সচেতনতার মাধ্যমে অপ্রাসঙ্গিক করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। রাজনীতি যদি জনগণের ইচ্ছা, নৈতিক বৈধতা ও সেবার দর্শনের ওপর দাঁড়াতে না পারে, তবে তার ভবিষ্যৎ একটিই : ক্ষমতার শিখর থেকে ইতিহাসের কবরস্থান।
লেখক : রাজনীতি বিশ্লেষক, অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশনাল স্টাডিজ (সিজিসিএস)



