ছাত্রদের জিম্মি করছি কি আমরা

শিক্ষকদের সব সরকারই অবহেলার চোখে দেখেছে। তারা যেহেতু ক্ষমতা কাঠামোর কেউ নয়, হয়তো তাই কোনো সরকারই তাদের প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করেনি। বিদ্বজনরা মনে করেন, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসই হচ্ছে সমাধানের ভিত্তি। তাই সরকার ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। মাধ্যমিক শিক্ষকরা কর্মবিরতি পরিত্যাগ করে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করেছেন। নাগরিক সাধারণ আশা করেন, প্রাথমিক শিক্ষকরাও তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ব্রতী হবেন। উভয় পক্ষ থেকেই অভিভাবক ও উদ্বিগ্ন নাগরিকদের তরফ থেকে দায়িত্বশীল আচরণের তাগাদা রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে ইতোমধ্যে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একাধিক পরামর্শ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই পরামর্শ কমিটি শিক্ষক ও সরকারের মধ্যে একটি সংযোগ এবং সমাধানের সূত্র হিসেবে কাজ করবে বলে জনগণ আশা করে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালকে দাবি আদায়ের মোক্ষম সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের সব নাগরিক। সরকার গঠনের সপ্তাহ অতিক্রান্ত হতে না হতেই আন্দোলনের সূচনা। মনে হয়, গত অর্ধশতাব্দীতে যে পুঞ্জীভূত দাবি-দাওয়া, অসুবিধা-সমস্যা, দুঃখ-কষ্ট ও ক্ষোভ ছিল তা সব উগরে দিচ্ছে রাজধানী ঢাকা শহরে। প্রতিদিন প্রেস ক্লাব, শাহবাগ ও অন্যত্র এর প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা গেছে বছর খানেক ধরে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। এটি সত্যি, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সার্বিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। কিন্তু কোনো স্বাধীনতাই অবাধ স্বাধীনতা নয়। মনীষী রুশো বলেন, Man is born free but everywhere he is in chains. আন্দোলন-সংগ্রামের এ বছরের সর্বশেষ সংস্করণ প্রদর্শন করলেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকতা একটি অনন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা। শিক্ষক শব্দটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট রূপকল্প ভেসে ওঠে। এই নিদারুণ জ্ঞান দারিদ্র্যের দেশে শিক্ষকদের জন্য আজো অল্প কিছু সম্মান-মর্যাদা অবশিষ্ট আছে। এ জন্যই বলা হয়- It is a profession with a difference. অন্য যেকোনো পেশা থেকে এই পেশাটির ভিন্নতা অন্যরকম। যাই হোক, শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার ক্ষেত্রে আন্দোলন করলে অন্যায্য হবে, এটি আমার বক্তব্য নয়। আমি নিজেও একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার ক্ষেত্রে আমাদের পারিবারিক উত্তরাধিকার আছে। সেই বলে বলীয়ান হয়ে শিক্ষকদের সাম্প্রতিক ধর্মঘট তথা পরীক্ষা না গ্রহণ করার বিষয়ে বিনীতভাবে কিছু বলতে চাই।

এটি অস্বীকার করা যাবে না যে, বাংলাদেশে শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষকতা-বিষয়ক ইস্যুগুলো অবহেলিত। তত্ত¡কথায় বলা হয়- শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। এখন সেই মেরুদণ্ডটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাংলাদেশের জন্ম থেকে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার কোনো সরকার দিয়েছে, এমন বলা যাবে না। বিশেষ করে, বিগত ১৭ বছরে হাসিনা স্বৈরাচার শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ক্ষতি করেছে, সে ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। কোনো একটি দালান বা স্থাপনা ভেঙে গেলে টাকা থাকলে আবার তা মেরামত করা যায়; কিন্তু শিক্ষার পরিবর্তে অশিক্ষা ও কুশিক্ষা দিলে তা মেরামত করা অনেকটাই অসম্ভব। আওয়ামী আমলে শিক্ষা ও শিক্ষকতা ছিল সবচেয়ে অবহেলিত। অনেক শিক্ষক অপমানিত হয়েছেন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোনো স্তরই শিক্ষকরা তাদের হামলা থেকে রক্ষা পাননি।

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন রূপে নতুন অভিশাপে শিক্ষাঙ্গন ক্লেদাক্ত হয়েছে। যেহেতু ছাত্ররা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে, সেহেতু কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা গায়ের জোরে অদলবদল করেছে। অর্বাচীন কোনো কোনো ছাত্র নেতৃত্ব আওয়ামী কায়দার ‘অবিকল নকল’ ব্যবস্থা প্রয়োগ করার চিন্তা করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাদির ফলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু ছাত্রদের স্বভাব ও ব্যবহারে মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি। তার প্রমাণ হিসেবে স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ যেভাবে ঘটেছে, তা সাধারণভাবে কোনো সভ্য সমাজে আশা করা যায় না। ছাত্রদের অনেক সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যাগুলো অসত্য নয়; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুল প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণে তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ- শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার কথা উল্লেখ করা যায়। এই সিদ্ধান্ত এমন সব সমস্যার কারণ ঘটিয়েছে, যা আজো সমাধান করা যায়নি। গত বুধবার ঢাকা কলেজের দুই পক্ষের বিপরীত দাবির কথা উল্লেখ করা যায়। প্রায়ই ছাত্ররা সামান্য কারণে-অকারণে রাস্তা অবরোধ করছে। যেমন খুশি তেমন আচরণ করছে। দেখে শুনে মনে হয়, এদের কোনো মালিক-মোক্তার নেই। তারা অবাধ স্বাধীনতার অনুশীলন করছে। এ ক্ষেত্রে এত অন্যায়-অনাচার ও উপদ্রব ঘটেছে, যা ব্যাখ্যা করতে বিশাল গ্রন্থ রচনা করা যাবে। যাই হোক, ছাত্রদের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে এবার তাৎক্ষণিক বিষয়ে আসি।

গত সপ্তাহটি অতিক্রান্ত হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতির জাঁতাকলে পিষ্ট। সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলনে থাকার কারণে শিক্ষাকাঠামোর সবচেয়ে বড় দু’টি স্তরÑ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় সঙ্কটে পড়েছে। দেশের সর্বত্রই একই অবস্থা। কোথাও স্বাভাবিক অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। পরীক্ষার আগ মুহূর্তে শিক্ষকদের এই আন্দোলন দুটো প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। প্রথমত, বার্ষিক পরীক্ষা সামনে রেখে এমন আন্দোলন নৈতিকভাবে ঠিক হয়েছে কি না!

দ্বিতীয় প্রশ্নটি সরকারের বিপক্ষে। তারা এত দিন ধরে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার সুরাহা করতে পারেনি কেন? সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্র ও সমাজে শিক্ষকদের আন্দোলন জনগণের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষও দুষছেন সরকারকে কালক্ষেপণের জন্য। অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির পত্রিকান্তে প্রকাশিত সংবাদে বলেন, পরীক্ষার এ মৌসুমে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এমনিতেই করোনার বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। শিক্ষকরা শ্রদ্ধার পাত্র। তারা তাদের দাবি জানাতেই পারেন; কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষার সময় তা কাম্য হতে পারে না। ইতোমধ্যে একটু ভালো খবর এই যে, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। ইতোমধ্যে তারা বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে; কিন্তু প্রাথমিকে এখনো ধর্মঘট চলছে। উল্লেখ্য যে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন, এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা পাঠদান করেন। সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকদের অনুমোদিত পদ তিন লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি। গত ২৭ নভেম্বর থেকে তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ। গত সপ্তাহের শুরুতে তারা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি নেয়। তারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতির পাশাপাশি জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তারা এবার বিদ্যালয়ে ‘Complete Shutdown’ ঘোষণা করেছেন। তারা নিজ নিজ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় একইরকম দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, এর আগে থেকেই কর্মবিরতি পালন করছিল। তারা জানিয়েছেন, ৪ ডিসেম্বর থেকে ‘বিদ্যালয় তালাবদ্ধ’ কর্মসূচি শুরু হবে। উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবি- ১. সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলে আপাতত ১১তম গ্রেড দেয়া। ২. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতার নিরসন এবং ৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দেয়া। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন।

আর্থিক সুবিধা, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করছিলেন। আন্দোলনের ফলে কোনো স্কুলে পরীক্ষা হয়নি। বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭০০-এর মতো। এর মধ্যে নতুন করে জাতীয়করণকৃত ৩০০ বিদ্যালয়ও রয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে। সেই অনুধাবন থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। একই সাথে তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া সমাধানের পথে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ চান তারা। এদের দাবিগুলো হলো- ১. সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে নবম গ্রেডসহ পদ সোপান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেট প্রকাশ। ২. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা। ৩. সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেয়া। ৪. ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২-৩ থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। দফায় দফায় কর্মসূচি দিলেও সরকার একটি যৌক্তিক সমাধানের পথ বের করতে পারেনি। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সর্বশেষ কঠোরতা ফলদায়ক হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন; কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের জেদের উপরেই আছেন। এমনিতেই শিক্ষা খাত নানা ধরনের বিপদাপদের মধ্যে আছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের এই ধর্মঘট সমস্যাগুলোকে আরো তীব্রতর করে তুলবে। শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কারণে দেশজুড়ে দুই স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে সরকার কালক্ষেপণ করেছে- অভিযোগ শিক্ষকদের। তবে দীর্ঘ ১৭ বছরের অনাচার ও অত্যাচার শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যত ধ্বংসের মুখোমুখি করেছে। সবাই জানি, বার্ষিক পরীক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এ পরীক্ষার মাধ্যমে কার্যত তাদের সারা বছরের মূল্যায়ন হয়ে থাকে। বছরের শেষে এসে তারা যে ধাক্কাটি খেলো, তা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময়ের প্রয়োজন হবে।

অস্বীকার করে লাভ নেই, শিক্ষকদের সব সরকারই অবহেলার চোখে দেখেছে। তারা যেহেতু ক্ষমতা কাঠামোর কেউ নয়, হয়তো তাই কোনো সরকারই তাদের প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করেনি। বিদ্বজনরা মনে করেন, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসই হচ্ছে সমাধানের ভিত্তি। তাই সরকার ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। মাধ্যমিক শিক্ষকরা কর্মবিরতি পরিত্যাগ করে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করেছেন। নাগরিক সাধারণ আশা করেন, প্রাথমিক শিক্ষকরাও তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ব্রতী হবেন। উভয় পক্ষ থেকেই অভিভাবক ও উদ্বিগ্ন নাগরিকদের তরফ থেকে দায়িত্বশীল আচরণের তাগাদা রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে ইতোমধ্যে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একাধিক পরামর্শ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই পরামর্শ কমিটি শিক্ষক ও সরকারের মধ্যে একটি সংযোগ এবং সমাধানের সূত্র হিসেবে কাজ করবে বলে জনগণ আশা করে।

লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]