২০২৫ সালের ২৪ জুলাই, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে তার ধানমন্ডির নিজ বাসভবন থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ছয় দিন পর, অর্থাৎ- ৩০ জুলাই অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। ফলে পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীর দায়ের করা প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর (এফআইআর) ভিত্তিতে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি লাভ করে। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, বিচারপতি খায়রুল হক জ্ঞাতসারে একটি অবৈধ রায় দিয়েছেন এবং বিচারিক নথিপত্রে হস্তক্ষেপ করেছেন।
তার গ্রেফতার জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো বিচারক কি তার দায়িত্বকালীন বিচারের রায়ের জন্য অভিযুক্ত হয়ে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন? বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রধান বিচারপতিকে তার দেয়া রায়ের কারণে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। যদিও কোনো কোনো আইনজ্ঞ যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, বিচারপতি হক ১৮৫০ সালের বিচারিক কর্মকর্তা সুরক্ষা আইনের (জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট-১৮৫০) অধীন সুরক্ষিত। তবু এই নিবন্ধে ব্যাখ্যা করা হবে কেন তার এই রিমান্ড ও জিজ্ঞাসাবাদ আইনগত ও নৈতিক দিক থেকে যৌক্তিক এবং গ্রহণযোগ্য।
একটি বিষয় শুরুতেই পরিষ্কার করে নেয়া জরুরি : এ কথা কেউই বিশ্বাস করেন না যে, ৮১ বছর বয়সী এ বি এম খায়রুল হক সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় যুবদলকর্মী আব্দুল কাইয়ুম হত্যার সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অমূলক এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, এই ঘটনায় তাকে হয়রানি বা ভুলভাবে জড়ানো হয়নি।
একটি সাধারণ ভুল ধারণা দূর করাও জরুরি; সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে শুধু নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হওয়া সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায় দেয়ার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়নি। তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, কিন্তু এটি রায়ের বিষয়বস্তু নয়; বরং রায় দেয়ার পদ্ধতির কারণে। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট দায়েরকৃত এবং ২৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত একটি প্রাথমিক তথ্যবিবরণী (এফআইআর) অনুযায়ী, বিচারপতি হক ও আরো তিনজন বিচারক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ রায় দিয়েছেন এবং বিচারিক নথিপত্রে জালিয়াতি করেছেন। এই মামলাটি সেই রায়ের আইনগত বিষয়বস্তু সম্পর্কে নয়; বরং বিচারপতি হক ও অন্য তিন বিচারকের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি আচরণের গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে।
২০১২ সালের ১০ মে, আপিল বিভাগ মাত্র একজন বিচারকের সঙ্কীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন। একই দিনে, আপিল বিভাগ একটি সংক্ষিপ্ত আদেশ জারি করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়, ত্রয়োদশ সংশোধনীটি সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় তা অবৈধ ও বাতিলযোগ্য। তবে এই সংক্ষিপ্ত আদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল- তাতে বলা হয়েছিল, পরবর্তী দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অর্থাৎ- দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ত্রয়োদশ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, কারণ এটি একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা দিতে পারত, যা স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে এবং সম্ভবত আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিক অপশাসন প্রতিরোধে সক্ষম হতো।
সংক্ষিপ্ত আদেশ জারির ১৬ মাস পর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এই রায়টি আগের সংক্ষিপ্ত আদেশের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন ছিল। এটি থেকে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার অনুমোদন-সংক্রান্ত বিষয়াবলি বাদ দেয়া হয়। ফলে নির্বাচন দু’টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সব সম্ভাবনা কার্যত বিলুপ্ত হয়ে যায়। অনেকেই এই বিচারিক রায় পরিবর্তনকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ‘বিচারিক নথিপত্রে হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। বিচারপতি খায়রুল হক এবং তার তিন সহকর্মী ইচ্ছাকৃতভাবে আগের সংক্ষিপ্ত আদেশের সাথে সাংঘর্ষিক একটি পূর্ণাঙ্গ রায় দেন। এর মাধ্যমে বিচারপতি হক নিশ্চিত করেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নয়; বরং একটি দলীয় সরকার, অর্থাৎ- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। এই বিতর্কিত রায়ে সমর্থনকারী তিনজন বিচারক- বিচারক মো: মোজাম্মেল হোসেন, এস কে সিনহা ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এরা সবাই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ পান। যেসব বিচারক ভিন্নমত দিয়েছিলেন, তাদেরকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়নি।
২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট মো: মুজাহিদুল ইসলাম নামে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি প্রথমিক তথ্যবিবরণী (এফআইআর) দায়ের করেন। এই এফআইআরটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২১৯ এবং ৪৬৬ ধারার অধীনে নথিভুক্ত হয়। দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো বিচারক জ্ঞাতসারে অবৈধ রায় দেন, তা হলে তিনি সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং ধারা ৪৬৬ অনুযায়ী, বিচারিক নথিপত্রে জালিয়াতি করলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সুতরাং, এফআইআরে উল্লিখিত অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এবং তার সাথে একমত পোষণ করা বিচারকরা সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন। বিচারপতি খায়রুল হক আদালত থেকে জামিন নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেননি। তিনি ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন এবং ন্যায়বিচার থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এটি সর্বজনবিদিত যে, তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে না।
অতএব, বিচারপতি খায়রুল হককে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায় দেয়ার জন্য নয়; বরং রায় দেয়ার পদ্ধতির কারণে পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ হলো, তিনি এবং আরো তিনজন বিচারক খোলা আদালতে এক ধরনের রায় ঘোষণা করার পর অবৈধভাবে সেই রায় পরিবর্তন করেছেন।
যেহেতু বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত, সুতরাং রায়ে হস্তক্ষেপের এই কাজটি আরো গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এটি শুধু বিচারিক ভুলের প্রশ্ন নয়; বরং এটি বিচারিক নথিপত্রে জালিয়াতি ও ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ রায় প্রদান- এই দু’টি ফৌজদারি অপরাধের বিষয়। ‘জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট-১৮৫০’ বিচারকদের সৎ উদ্দেশ্যে ও সদিচ্ছায় দায়িত্ব পালন করলে আইনি সুরক্ষা প্রদান করে। কিন্তু যদি কোনো বিচারক অসৎ উদ্দেশ্যে বা আইন ভঙ্গ করে কাজ করেন, তাহলে এই আইন তাদের সুরক্ষায় কাজ করে না। এই মামলায় কেউই দাবি করছেন না যে, বিচারপতি খায়রুল হক ও তার সহকর্মীরা সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করেছেন; বরং অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তারা গোপনে ও অবৈধভাবে আদালতের রায় পরিবর্তন করেছেন। এ ধরনের আচরণকে সুরক্ষা প্রদান করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সাথে কোনো মতেই সম্পর্কিত নয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে, বিচারকরা আইন ভঙ্গ করলেও তাদের জবাবদিহি করতে হবে না।
বিচারপতি খায়রুল হক যদি সত্যিকার অর্থেই পূর্ণ রায় দেয়ার আগে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চাইতেন, তা হলে তিনি একটি নির্ধারিত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারতেন। তাকে আবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করতে হতো এবং পক্ষগুলোকে জানাতে হতো যে, তিনি আগের সংক্ষিপ্ত আদেশ পুনর্বিবেচনা বা সংশোধন করতে চান। এর পর পক্ষগুলোকে যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হতো। আদালত যখন নিজের আদেশ পরিবর্তন করতে চায়, তখন এটিই প্রচলিত ও বৈধ পদ্ধতি। কিন্তু বিচারপতি খায়রুল হক এই পদ্ধতি অনুসরণ করেননি- কারণ যখন তিনি আদেশ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে আগের রায় প্রত্যাহার বা সংশোধন করার তার আর কোনো আইনসম্মত ক্ষমতা ছিল না। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি অবৈধ উপায়ে গোপনে রায় পরিবর্তন করেছেন।
একটি বিষয় মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক মূলত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার তালিকাতেই কখনো ছিলেন না। তাকে দুইজন জ্যেষ্ঠ বিচারক- বিচারক আব্দুল মতিন ও বিচারক শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে উপেক্ষা করে পদোন্নতি দেয়া হয়। এই নিয়োগটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিবেচিত হয়, যা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, তিনি আপিল বিভাগের রায় অবৈধভাবে পরিবর্তন করে সেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করেন।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত রায় নিয়ে প্রশ্ন ওঠা এই অঞ্চলের ইতিহাসে এটি প্রথম কোনো ঘটনা নয়। প্রকৃতপক্ষে, আজকের আপিল বিভাগের পূর্বসূরি ‘সুপ্রিম কোর্ট অব বেঙ্গল’-এর প্রথম প্রধান বিচারপতি একবার বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ১৭৮৭ সালে, স্যার এলিজা ইম্পের বিচারিক আচরণ নিয়ে গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল একজন হিন্দু অভিজাত নন্দকুমারের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত। নন্দকুমার ইম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেন। এই ঘটনার পরে ইম্পে জালিয়াতির অভিযোগে নন্দকুমারকে বিচার করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন, যা অনেকের মতে ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ঐতিহাসিক লর্ড ম্যাকলের মতে, ইম্পে নন্দকুমারকে জালিয়াতির অভিযোগে বিচার করে মৃত্যুদণ্ড দেন মূলত হেস্টিংসকে রক্ষা করার জন্য। যদিও ইম্পে পরবর্তী সময়ে মুক্তি পান, তথাপি এটি বিস্তৃতভাবে একটি বিচারিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয় এবং তার সুনাম স্থায়ীভাবে ক্ষুণ্ণ হয়।
দুই শতাব্দীরও বেশি সময় পর, বাংলাদেশে আবারো বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গভীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি, এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বিচারিক রেকর্ড ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। যদি এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তার কর্মকাণ্ড স্যার এলিজা ইম্পের ঘটনার চেয়েও গুরুতর বিচারিক লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। অষ্টাদশ শতকের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীন নয়; বরং আজ আমরা একটি সাংবিধানিক গণতন্ত্রে বসবাস করি- যেখানে কোনো ব্যক্তি, এমনকি একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিও আইনের ঊর্ধ্বে নন। সুতরাং, বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করা একান্তই প্রয়োজন। বিচারব্যবস্থার সামনে এখন নিজেকেই প্রমাণ করার সময় এসেছে যে, এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিচারিক ব্যক্তিত্বদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে সক্ষম কি না।
লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিবন্ধিত কৌঁসুলি