কর-জিডিপি অনুপাত কমছেই, করণীয় কী

বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত নীতি, প্রশাসনিক সংস্কার, সামাজিক সচেতনতা ও বৈশ্বিক শিক্ষার সমন্বয় অপরিহার্য। দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিরাপদ ও শক্তিশালী করতে কর-রাজস্ব সংগ্রহব্যবস্থা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শক্তিশালী করা দরকার।

কর-জিডিপি অনুপাত অর্থনীতির স্বাস্থ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এটি নির্দেশ করে মোট দেশজ উৎপাদনের কত অংশ সরকার রাজস্ব হিসেবে সংগ্রহ করতে সক্ষম হচ্ছে। সহজ করে বললে, বাজেট ও আর্থিক সক্ষমতার পরিধি বোঝার জন্য কর-জিডিপি অনুপাত এক অপরিহার্য সূচক। উচ্চ কর-জিডিপি অনুপাত প্রমাণ করে, সরকার তার আর্থিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম এবং দেশের উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়ার পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। অন্য দিকে নিম্ন অনুপাত নির্দেশ করে, সরকার কর আদায়ে দুর্বল এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সীমাবদ্ধতায় ভুগছে।

বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত স্বাধীনতার পর থেকে ওঠানামা করেছে। সত্তরের দশকে কর সংগ্রহ ৫-৭ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, মূলত শিল্পায়ন ও আধুনিক অর্থনীতির অভাব এবং কৃষিনির্ভর কাঠামোর কারণে। ১৯৮০-৯০ দশকে অর্থনৈতিক সংস্কার ও প্রাইভেটাইজেশনের প্রভাব সামান্য বৃদ্ধি ঘটায়, কর-জিডিপি অনুপাত প্রায় ১০-১১ শতাংশে পৌঁছায়। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০০০ সালে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও, পরবর্তী সময়ে কমতে থাকে এবং ২০২৪ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এমনকি সর্বশেষ ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে তা ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। অথচ ভারতের কর-জিডিপি অনুপাত ২০০০ সালে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪ সালে ১১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। পাকিস্তানে কর-জিডিপি অনুপাত ২০০০ সালে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ১০.৫ শতাংশে পৌঁছালেও, ২০২৪ সালে এটি ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। শ্রীলঙ্কার এ অনুপাত ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ সালে ১৩ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। নেপালের অনুপাত ২০০০ সালে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।

উন্নয়নশীল এশীয় দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ের থাকার কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ আনুষ্ঠানিক নয়। কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অধিকাংশ লেনদেন ঘটে সরকারি নিবন্ধন বা কর-কাঠামোর বাইরে। এ অবস্থা ভারতের মতো দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, সেখানে করদাতাদের নিবন্ধন ও ভ্যাট সংগ্রহব্যবস্থা অনেক বেশি কার্যকর। উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে কর সংগ্রহের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, একাধিক অনলাইন সেবা এবং স্বয়ংক্রিয় কর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, কর প্রশাসনের সক্ষমতা সীমিত, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যথেষ্ট নয় এবং জটিল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া কর সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে অনুপাত বৃদ্ধির সম্ভাবনা এখনো সীমিত। অনেক দেশের সরকার করদাতাদের উৎসাহ দিতে কর প্রণোদনা, ভ্যাট রিফান্ড ও কর হ্রাস নীতি প্রয়োগ করে। বাংলাদেশেও প্রণোদনা রয়েছে; কিন্তু তা সংক্ষিপ্তমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি কর রাজস্ব বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর ফলে করদাতাদের মধ্যে সচেতনতা ও প্রেরণা কমে যায়। বাংলাদেশের এই অবস্থা শুধু পরিসংখ্যানগত নয়, এটি দেশের রাজস্ব সংগ্রহ ক্ষমতা, সামাজিক সেবা প্রদানের সক্ষমতা এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে কিছুটা ইতিবাচক ধারা ফিরে পেয়েছে। ব্যাংক খাতে স্বাভাবিক ধারা ফিরছে, বৈদেশিক বাণিজ্যে গতি এসেছে, রফতানি, রেমিট্যান্স ও আমদানি- সব ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরেও তুলনামূলক স্বাভাবিকতা ফিরেছে। এগুলো অর্থনীতির চাকা সচল হওয়ার ইঙ্গিত। তবে কর-জিডিপি অনুপাত প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে না, বরং কমছে। এর মানে হলো, অর্থনীতির আকার বাড়লেও তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর আদায় বাড়ছে না। এর পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ বিশ্লেষণ করা যায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও কর-জিডিপি অনুপাত কমে যাওয়ার অনেক কারণের অন্যতম হলো ডিনোমিনেটর অ্যাফেক্ট বা জিডিপি বৃদ্ধির প্রভাব। অর্থাৎ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নমিনাল জিডিপি দ্রুত বেড়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৫৫ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু কর আদায়ের প্রবৃদ্ধি একই হারে হয়নি। ফলে জিডিপির আকার বাড়লেও করের অনুপাত কমে গেছে। অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি যদি রাজস্ব সংগ্রহব্যবস্থার সাথে সমন্বিত না হয়, তখন এই বৈষম্য তৈরি হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ধারাবাহিকভাবে তার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, শুধু ২০২৪-২৫ অর্থবছরেই প্রায় ৯২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকার ঘাটতি হয়েছে। এই ঘাটতি কর রাজস্বকে প্রত্যাশিত স্তরে উঠতে দিচ্ছে না, যা সরাসরি কর-জিডিপি অনুপাত কমার অন্যতম কারণ।

একই সাথে রফতানিমুখী শিল্প, বিশেষ করে তৈরী পোশাক খাত, বিভিন্ন এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, আমদানি শুল্ক রেয়াত, ডিউটি ড্র-ব্যাক এবং অন্যান্য কর ছাড় পায়। এসব সুবিধা রফতানি ও উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হলেও রাজস্ব আহরণ সীমিত করে। ফলে অর্থনীতির উৎপাদন ও রফতানি বাড়লেও তা রাজস্বের অনুপাতে প্রতিফলিত হয় না। বাংলাদেশে এখনো অর্থনীতির বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে, যেখানে আয় ও লেনদেন সঠিকভাবে নথিভুক্ত হয় না। ভ্যাট ব্যবস্থায় সীমিত কভারেজ, আয়করে করদাতা নিবন্ধনের অভাব, করফাঁকি ও কর প্রশাসনের দুর্বলতা মিলিয়ে রাজস্ব আহরণ সীমিত থাকে। ফলে জিডিপি বাড়লেও কর-জিডিপি অনুপাত তাতে প্রতিফলিত হয় না। নির্বাচনকালীন অনিশ্চয়তা, আমলাতান্ত্রিক শ্লথতা এবং কর প্রশাসনে কাক্সিক্ষত সংস্কার বাস্তবায়নে ধীরগতি কর আহরণে প্রভাব ফেলে। অনেকসময় বড় করদাতা গোষ্ঠীর প্রতি নীতিগত ছাড় অথবা চাপ প্রয়োগ না করার প্রবণতাও রাজস্ব ঘাটতি বাড়ায়।

সবমিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত ক্রমেই নিম্নমুখী হওয়া দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগজনক। আন্তর্জাতিকভাবে গড় কর-জিডিপি অনুপাত যেখানে ১৫-২০ শতাংশের মধ্যে, সেখানে বাংলাদেশের মাত্র ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ রাজস্বের দুর্বলতা উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় সীমিত করে। এই প্রবণতা রোধে কর প্রশাসনের সক্ষমতা বাড়ানো, অপ্রয়োজনীয় কর রেয়াত হ্রাস, করভিত্তি সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করফাঁকি রোধ করা জরুরি। রেমিট্যান্স ও রফতানি বৃদ্ধিকে যদি সঠিকভাবে অর্থনীতির আনুষ্ঠানিক চক্রে আনা যায়, তাহলে রাজস্ব আয় ও কর-জিডিপি অনুপাত ধীরে ধীরে বাড়বে।

দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে আনুষ্ঠানিকীকরণ, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্থায়ী নীতিগত সংস্কার অপরিহার্য। পাশাপাশি, অন্যান্য উন্নয়নশীল এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অভিজ্ঞতা অনুসরণ করে বাংলাদেশে কর সংগ্রহের আধুনিকীকরণ ও করদাতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো সম্ভব। দেশের কর-রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। দীর্ঘ দিন ধরে এনবিআর বিভিন্ন কাঠামোগত ও প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের কর সংগ্রহে পূর্ণ ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে না। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এনবিআরকে দু’টি পৃথক শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে, এনবিআর নীতি এবং এনবিআর ব্যবস্থাপনা। এই বিভাজনের উদ্দেশ্য করনীতি নির্ধারণ ও কর প্রশাসনকে আলাদা করে দক্ষতা বৃদ্ধি করা। এই বিভাজনের ফলে এনবিআরের প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ নীতিনির্ধারণ এবং বাস্তবায়নের কাজগুলো আলাদা কর্তৃপক্ষের হাতে থাকায় দ্ব›দ্ব ও জটিলতা কমেছে।

কর-জিডিপি অনুপাতের প্রেক্ষাপটে এই বিভাজনের প্রভাব ইতিবাচক এবং দীর্ঘ মেয়াদে প্রমাণিত হতে পারে। কারণ নীতি শাখার দ্বারা ধারাবাহিক ও স্থায়ী করনীতি প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে, যা করদাতাদের জন্য নির্ভরযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা শাখার আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে কর সংগ্রহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন স্বয়ংক্রিয় রিটার্ন, অনলাইন কর আদায় এবং ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ট্যাক্স বেস সম্প্রসারণে সহায়তা মিলছে। তবে বিভাজন পুরোপুরি সমস্যার সমাধান নয়। নীতি ও প্রশাসন শাখার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, সংস্থান ও দক্ষ জনবলের অভাব এবং কর সংস্কার বাস্তবায়নে বিলম্ব এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। এই কারণে কর-জিডিপি অনুপাতের তাৎক্ষণিক বৃদ্ধি সীমিত। তবুও দীঘ মেয়াদে এনবিআরের বিভাজন কর প্রশাসনের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এই কাঠামো দেশের কর-রাজস্ব সংগ্রহ জোরদার করে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে পারে।

কর-প্রণোদনা ও ছাড় দীর্ঘমেয়াদি কর রাজস্ব বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। ভ্যাট, আয়কর, কাস্টমস এবং অন্যান্য কর প্রক্রিয়া সহজ ও যুক্তিসঙ্গত করলে করদাতাদের অংশগ্রহণ বাড়বে। নিবন্ধন, ভ্যাট ও অন্যান্য করের আওতায় আনা হলে কর সংগ্রহ বাড়বে। কর-জিডিপি অনুপাতও ধীরে ধীরে বাড়বে। এ ক্ষেত্রে উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কর সংগ্রহব্যবস্থা এবং নীতি প্রণয়নের অভিজ্ঞতা অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন- ভারতের জিএসটি, থাইল্যান্ডের কর আধুনিকীকরণ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের কৌশল বাংলাদেশের জন্য দিকনির্দেশক হতে পারে।

কর সংগ্রহ সীমিত থাকলে সরকারের বাজেট ঘাটতি বাড়ে। সরকারকে ঋণ-নির্ভর হতে হয়, যা অর্থনৈতিক চাপ বাড়ায়। কর রাজস্ব কম থাকায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে বিনিয়োগ কমে যায়। এর ফলে দারিদ্র্য হ্রাস, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হয়। প্রায়ই বেসরকারি বিনিয়োগের জন্যও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য কর-রাজস্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতার অভাব অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণ কমায়। কর-রাজস্বের অভাবে সরকার ঋণ-নির্ভর হয় এবং মুদ্রানীতি পরিচালনা কঠিন হয়। দেশের আর্থিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে, যা মুদ্রাস্ফীতি এবং বিনিয়োগের অনিশ্চয়তাকে ত্বরান্বিত করে।

বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত নীতি, প্রশাসনিক সংস্কার, সামাজিক সচেতনতা ও বৈশ্বিক শিক্ষার সমন্বয় অপরিহার্য। দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিরাপদ ও শক্তিশালী করতে কর-রাজস্ব সংগ্রহব্যবস্থা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শক্তিশালী করা দরকার।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট