ভাগ্যের নির্মম পরিহাস!

আমরা অজোপাড়াগাঁয়ের লোক। আমলা ও মন্ত্রীদের ভিন্ন জগতের মানুষ মনে করতাম। তারা যেন সবসময় সুকুমার রায়ের ‘রামগরুড়ের ছানা’র মতো ভিন্ন ভাব নিয়ে সাধারণ লোকজন থেকে আলাদা থাকেন।

আমরা অজোপাড়াগাঁয়ের লোক। আমলা ও মন্ত্রীদের ভিন্ন জগতের মানুষ মনে করতাম। তারা যেন সবসময় সুকুমার রায়ের ‘রামগরুড়ের ছানা’র মতো ভিন্ন ভাব নিয়ে সাধারণ লোকজন থেকে আলাদা থাকেন। সোনারগাঁয়ের সোলাইমান সাহেব যে বছর (১৯৬৯ সাল) কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি, ওই বছর আমি সোনারগাঁয়ে ঠাকুর বাড়ির হাইস্কুলে পড়ি। তাকে কাছে থেকে এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন সাধারণ লোকজন। অনেক চেষ্টা করেও কাছে যেতে পারিনি। মন্ত্রী-এমপি সম্পর্কে ভুল ধারণা তখন থেকে আমার মনে বদ্ধমূল হয়েছিল। সেই ভুল ভাঙে দীর্ঘ সময় পড়ে। কিভাবে আমার ধারণায় পরিবর্তন আসে সেই কথা বলতেই আজকের এই লেখার অপতারণা।

বিশ্বাসে পরিবর্তন হয় এম কে আনোয়ার ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই দুই মন্ত্রীর সাথে পরিচয় থেকে। আওয়ামী লীগের ভরাকটালের সময় সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সাথে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ড. মোশাররফ হোসেন আমাদের গাঁয়ে আসেন। চারপাশে ভিড় করা জনতার উদ্দেশে সহাস্যে বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও পেশাগত ভাষার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়নি। তিনি নির্বাচনী এলাকার দক্ষিণপ্রান্তে গিয়ে বলেন, উত্তর এলাকা ক্যাপচার, উত্তর এলাকায় গিয়ে বলেন, দক্ষিণ এলাকা ক্যাপচার।’ এরকম রসালো বক্তব্য কোনো লেখক, নিদেনপক্ষে কোনো সাহিত্যরসিক ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয় বলে আমার বিশ্বাস। পরে জানতে পারি তিনিও একজন লেখক। তখন থেকে ব্যক্তি সম্পর্কে বিশ্বাসের পরিবর্তন হতে শুরু করে। ব্যক্তি সম্পর্কে বিশ্বাসে পরিবর্তন হলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে যে সরকার আসুক, অবস্থা তথৈবচ হবে না- তার নিশ্চয়তা নেই। তখনকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি রম্যরচনা লিখেছিলাম। নাম ‘চিত্রগুপ্তের খাতা’। ছোট বই আকারে লেখা ‘চিত্রগুপ্তের খাতা’য় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্তব্য লিখেছিলেন। গ্রন্থের উপক্রমণিকায় লিখেছিলাম-

‘ঘটনাচক্রে আমাকে কোনো এক রাজনৈতিক দলের তৃতীয় সারির নেতা হতে হয়েছিল। রাজনৈতিক জগত, উদ্ভট এক আলাদা জগত। ঘুছিয়ে-বুঝিয়ে কথা বলতে পারি বলে উদ্ভট জগতে পরিচিতি বাড়তে থাকে। এ পর্যন্ত পুলিশের খাতায় নাম না থাকলেও রাজনীতিতে যুক্ত করতে না করতে বিশ্রী মামলার জালে জড়িয়ে ফেলে। মহামান্য হাইকোর্টে জামিন নিতে আসি। বিজ্ঞ বিচারক বসার অপেক্ষায় আকরের বিছানা কিনে মাঠে গড়াগড়ি যাচ্ছিলাম । অসহ্য গরমে একজন সহআসামি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। আমি মনমরা হয়ে পড়ি। ‘চাচা তিন যুগ লেখালেখি করলেন, কেউ চিনল না। রাজনীতিতে নামতে না নামতে হইচই শুরু হয়ে গেছে। লেখালেখির ছাইপাঁশ ছেড়ে মালিকের নাম নিয়ে আঁটসাঁট বেঁধে নেমে পড়েন। প্রথমবার এমপি, পরেরবার মন্ত্রী বানিয়ে ছেড়ে দেবো ইনশা আল্লাহ’ এই বলে উজ্জীবিত করে আমার এক ভাতিজা। লেখালেখির জগতে মৃতপ্রায়, রাজনীতিতে মন্ত্রিত্বের মুলা ঝুলানোর পরও মনের ধোঁয়াশা কাটে না। দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে যত ভাবি, তত হতাশ হই। হতাশ হওয়ার কারণ- আমার কাছে জলাতঙ্কের জীবাণুর মতো রাজনীতির জীবাণু। এ জীবাণু মগজে পৌঁছার আগে কেউ টের পায় না। যখন টের পায় তখন আর ফেরার পথ থাকে না। জলাতঙ্কের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি করে নিজেরাও শেষ হয়- দেশকেও শেষ করে। আমি নিশ্চিত, নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট অনুসারীদের দুষ্টগ্রহের বলয় থেকে দেশ ও জাতি সহসা বের হতে পারছে না।’

রাজনীতির দুই মানুষ এম কে আনোয়ার ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আমাদের এলাকার। একজন বাংলাদেশের সাবেক উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা। অর্থসচিব থাকার কারণে টাকার ওপর এম কে আনোয়ার স্বাক্ষর দেখে দেশ-বিদেশে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করতাম। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন শেষে রাজনীতিতে জড়িয়ে পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য এবং দুইবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সবার চোখে ছিলেন একজন ভালো মানুষ। কোনো অনৈতিক কাজে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার কথা কখনো শোনা যায়নি। অথচ, দুঃখজনক হলো- বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে তাকে ৯ নভেম্বর ২০১৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। বয়সের কারণে শরীরের ভার বইতে পারছিলেন না। শেষ দিকে তাকে পুলিশের কাঁধে ভর করে আদালতে ওঠা-নামা করতে হয়েছিল। ৮২ বছর বয়সে এসে এমন উদ্ভট অভিযোগ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে জেল খাটার ঘটনা তাকে খুব মর্মাহত করেছিল। সারা জীবন পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেছেন তিনি। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে মানুষ খুনের হুকুমদাতা হিসেবে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনা সহজভাবে নিতে পারেননি। মন ভেঙে গিয়েছিল তার। পরিচিতজনদের বলেছেনও ওই কথা। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একজন নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন কাল্পনিক অভিযোগ আনা যেতে পারে! সারা জীবন নিয়ম-নিষ্ঠার অনুশীলনকারী এম কে আনোয়ার বোধ করি রাজনীতির এ অন্ধকার দিকটি সম্পর্কে একরকম অজ্ঞ ছিলেন। তিনি বোধ হয় ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এমন অভিযোগের শিকার তাকে হতে হবে। ওই মনোবেদনার বোঝা বুকে নিয়ে ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। পেছনে রেখে গেলেন সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, কর্তব্যপরায়ণতা ও মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, কুমিল্লা-১ ও ২ আসনের মানুষ তাকে দীর্ঘ দিন মনে রাখবেন, এ বিশ্বাস আমার রয়েছে।

অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ বিভাগের চেয়ারম্যান (১৯৮৭-৯০)। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী। খণ্ডকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী। ওয়ার্ল্ড নো টোব্যাকো অ্যাওয়ার্ড-২০০৪ প্রাপ্ত, সরোজিনি নাইডু গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত, ভূ-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণা ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তার জীবনবৃত্তান্ত ‘হু ইজ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ ক্যামব্রিজ বায়োগ্রাফি জার্নাল অ্যান্ড আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউশন প্রকাশিত পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভূ-তত্ত¡ বিষয়ে স্ট্রাকচারাল অ্যানালাইসিসে তার নতুন উদ্ভাবিত ‘হোসাইন’স মেথড অব এক্সটেনশন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর আবুল কালাম প্রতিষ্ঠিত আইসিটিটির অ্যাসোসিয়েট সদস্য এবং থার্ড ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সাইন্সের ফেলো। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে প্রকাশিত তার অর্ধশতাধিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের আমলে ৬১৬ দিন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনে কারাবাসসহ আওয়ামী লীগের সাজানো মামলায় ১৯৯৬-২০০১ কারাগারে প্রেরণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ছাড়াও ‘ফখরুদ্দীন এবং মইন উদ্দিনের কারাগারে ৬১৬ দিন’, ‘মুক্তিযুদ্ধে বিলেত প্রবাসীদের অবদান’, ‘প্লাবন ভূমিতে মৎস্যচাষ দাউদকান্দি মডেল’, ‘সংসদে কথা বলা যায়’, ‘এই সময়ের কিছু কথা’সহ বহু গ্রন্থ প্রণেতাও।

ভূতত্ত¡ নিয়ে পড়ে থাকলে এতদিনে হয়ে উঠতে পারতেন ভূতত্ত¡ বৈজ্ঞানিক। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার জন্মদিনে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করেছি। মিথ্যা মামলায় পাঁচ বছর কারাবাস করেছি, নির্যাতিত হয়েছি। অবশেষে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মাঝে অসুস্থ ছিলাম, আল্লাহ সুস্থ করেছেন। রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার এ পরিবর্তন দেখার সুযোগ হয়েছে।

একজন চলে গেছেন ও’পাড়ে। আরেকজন এ’পাড়ে থেকে হয়তো জেলখানায় নয়তো দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে সবাইকে নিয়ে কখনো ঘুরতেন সারা মেঘনায়, কখনো চষে বেড়াতেন রিসোর্ট থেকে রিসোর্টে।

হাসিনা সরকারের নির্বাচন ও গণতন্ত্র সম্পর্কে লিখেছিলাম। নিয়মিত লেখতাম নয়া দিগন্ত পত্রিকায়। সে সময়ের নির্বাচন চিত্র লেখা হয়েছিল, ‘দেশ ও জাতিকে ঋণমুক্ত করুন’ প্রকাশকাল ৭ এপ্রিল ২০১৫, ‘গণতন্ত্রের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’ প্রকাশকাল ৬ এপ্রিল ১০১৪, ‘গণতন্ত্র ও গোয়ারের গল্প’ প্রকাশকাল ২ মার্চ ২০১৫, ‘আমাদের গণতন্ত্র ও জিহাদের ভাগ্য’ প্রকাশকাল ১৩ জানুয়ারি ২০১৫, ‘ঘুষকে না বলুন’ প্রকাশকাল ২৬ নভেম্বর ২০১৫ এবং ‘রোম পোড়ে নিরু বাঁশিই বাজায়’ প্রকাশকাল ৮ নভেম্বর ২০১৫। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছবিসহ ‘দায়মুক্তি, মামলা, অবমুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক’ এই শিরোনামে যে দিন লেখাটি প্রকাশ হয় সে দিন ছিল ১ অক্টোবর ২০১৫। ড. মোশাররফ ছিলেন হাজতে, আমরা তার জন্মদিন পালন করছিলাম জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে। সব লেখাই প্রকাশিত হয়েছিল উপসম্পাদকীয় স্তম্ভে।

আ’লীগ সরকার তুঙ্গে তোলা জনমত ধরে রাখতে পারেনি। গদির বয়স যত বেড়েছে, জনমত তত কমেছে। দিশেহারা হয়ে গাঁওগেরামে প্রতিপক্ষের মিছিল-মিটিংসহ ইফতার পার্টিতেও ১৪৪ ধারা জারি করতে শুরু করে। আশাহত বিপুল জনমত বাঁধভাঙা পানির মতো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। তা দেখে ড. মোশাররফ রাজনীতির কৌশল পরিবর্তন করেন। রাজনীতির নয়া কৌশল হিসেবে মিটিং-মিছিলের বিকল্প দাওয়াত দেয়া-নেয়ার প্রচলন শুরু হয়। খানা, বিয়ে, বৌভাত, এমনকি জন্ম-মৃত্যু দিবসেও তাকে নিমন্ত্রণ এবং ঘটা করে খানাপিনা। দাওয়াত খাওয়া শেষে ড. মোশাররফ মাইক হাতে শুরু করেন বক্তৃতা। তার কণ্ঠ শুনে আশপাশের গাঁয়ের লোকজন ব্যানার হাতে বাদ্যবাজনাসহকারে দাওয়াত অনুষ্ঠানকে জনসভায় পরিণত করে ফেলে। ‘রথ দেখা ও কলা বেচা’ পদ্ধতিতে মিটিং করার রাজনৈতিক কৌশলও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আরেক ‘হোসাইনস মেথড’।

ড. মোশাররফের একটি কথা সব সময় মনে পড়ে, তিনি তার সংগ্রহশালা দেখানোর জন্য আমাকে উপরে নিয়ে যান। লিফট থেকে নেমে ডান দিকের বন্ধ দরজার তালা খুলতেই তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে বিত্ত-বৈভব চোখে পড়ে। ১৯৬৩ থেকে ২০১৩, ৫০ বছর। তিনি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মবহুল জীবনের মূল্যবান মুহূর্তসহ পরিবারের সবাইকে কাচের ফ্রেমে ধরে রেখেছেন। ছবি ছাড়াও নিজের লেখা আবশ্যকীয় পত্রপত্রিকা, শিক্ষা ও কর্মজীবনের দুর্লভ বস্তুগুলো ছয় তলার ছয়টি কক্ষে জাদুঘরের মতো সাজানো রয়েছে। প্রথম গ্যালারিতে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ভর্তিকালীন ১৯৬৩ সালের তরুণ মোশাররফ হোসেন, পাশে রয়েছেন সহধর্মিণী বিলকিস আকতার নামে ১৯৬৮ সালের ছিপছিপে তরুণীর ছবিটি। এর পাশের অন্য একটি ছবির দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘আমেরিকা টুইন টাওয়ারের পাশে আমার ছবি। যুক্তরাষ্ট্রের গৌরবের প্রতীক। বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপনার পাশে আমার ছবি, একদিন আমি হারিয়ে যাব, থাকবে টুইন টাওয়ার, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! আমি-ই রয়ে গেলাম, হারিয়ে গেল টুইন টাওয়ার।’

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক