গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। জুলাই বিপ্লবে কাণ্ডারি তরুণ এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আগে হাসিনার জল্লাদ বাহিনীর মানবাধিকার নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে হাসিনার পুরো সময়ে ঘুমিয়ে থাকা তথাকথিত মানবাধিকার বাহিনী। ছাত্রনেতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যখন হাসিনার মাফিয়া শাসন উৎখাত করছে, তখন এদের অনেকে ছিল হাসিনার শিবিরে। ৫ আগস্ট হাসিনাকে এরা উৎখাত না করলে ইতোমধ্যে নিঃসন্দেহে আরো শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটাত হাসিনা। তার পেটোয়া বাহিনী সারা দেশকে সন্ত্রাসের জনপদ বানাত। আজ মানুষ যেই স্বাধীনতা পেয়েছে, সেটি কোনোভাবেই থাকত না। তাই এনসিপির এই নেতাদের জীবন একটু আলাদা করে গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। এমনকি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিষয়টিও তাদের বাঁচা-মরার সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে গেছে।
হাসিনার পেটোয়া বাহিনী সারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে গোপালগঞ্জে আস্তানা গেড়েছে। এটি জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তারা সেখানে অস্ত্রশস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছে। এই সুযোগে এই সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে হাসিনা গোপালগঞ্জে তার মাফিয়া শাসন পুনরায় চালাতে মরিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন তার নির্দেশে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় তাদের যে কেউ প্রাণ হারাতে পারতেন। ২১ নাগরিকের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জের হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে যে উদ্বেগ দেখানো হয়েছে তাতে আক্রমণকারী হাসিনার বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কিত- এমনটিই প্রকাশ পেয়েছে। গোপালগঞ্জে পাঁচজনের প্রাণ হারানো অবশ্যই দুঃখজনক। আমরা চাই, একজন ব্যক্তিও যেন অন্যায়ভাবে হত্যার শিকার না হন। এমনকি কারো ওপর যেন বিনা কারণে একটি ফুলের টোকাও না পড়ে। বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় যেন এমন মানবিকতা ফিরে আসে, সেই কামনা দেশপ্রেমিকদের।
বিবৃতিদাতা এই নাগরিক গোষ্ঠীর মোটিভ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এদের কাছে সন্ত্রাসীদের মানবাধিকার বেশি গুরুত্ব পায় একজন বিপ্লবীর প্রাণের চেয়ে। পুরো হাসিনার শাসনে এরা খুব কমই মানবাধিকার নিয়ে বলেছে। তারা ঠিক তখনই কামান দাগালেন যখন বিপ্লবী তরুণদের ওপর বিনা কারণে চালানো আক্রমণের প্রতিকার হওয়া সবচেয়ে জরুরি। গোপালগঞ্জে জড়ো হওয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া দরকার। ওই জেলায়ও বাংলাদেশের অন্য সব জেলার মতো সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা হতে হবে। বিশেষ করে যে কেউ যেন গোপালগঞ্জে সভা-সমাবেশ করতে পারে। যেকোনো ধরনের মতপ্রকাশের জন্য জমায়েত হতে পারে। যেন কারো ওপর সেখানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা না থাকে।
দেখা গেল, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এনসিপির সমাবেশ গুঁড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, পুলিশ ও আর্মির ওপর হামলা করেছে। এনসিপির শীর্ষ নেতাদের তারা ঘিরে ফেলেছিল। নাহিদ, হাসনাত ও সারজিসরা প্রাণহানির শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেলেন। এ অবস্থায় ২১ নাগরিকের শঙ্কা- আক্রমণকারী সন্ত্রাসীদের ওপর যেন কোনো সাঁড়াশি অভিযান না হয়। অথচ হাসিনার লেলিয়ে দেয়া এই সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে এর আগে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পণ্ড করেছে। সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীর মানবাধিকার বিরোধী অপতৎপরতা নিয়ে এরা নিশ্চুপ।
বিগত কয়েক দশকের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করলে আমরা বিষয়টি লক্ষ করব, হাসিনার পক্ষ হয়ে যারা সন্ত্রাস করেছে তারা এভাবে বরাবর নাগরিক সমাজের একটি অংশের সমর্থন পেয়ে আসছে। যখনই হাসিনার জন্য একটি বিবৃতি প্রয়োজন, এই নাগরিক গোষ্ঠী সেটি দিয়েছে। কিন্তু তারা কখনো এমন বিবৃতি দেয়নি যা হাসিনার বিরুদ্ধে যায়। নারী, সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার ইস্যুতে এমনটি বরাবর দেখা গেছে। হাসিনার সন্ত্রাসীরা যখন নারীদের ধর্ষণ করেছে, তাদের হেনস্তা করেছে, আরো নানাভাবে তাদের অধিকার লঙ্ঘন করেছে- তখন এরা এই নারীদের পক্ষে কথা বলেনি। একইভাবে সংখ্যালঘুদের পক্ষেও তারা দাঁড়ায়নি। তবে সংখ্যালঘু ইস্যুকে হাসিনার পক্ষ হয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে তারা দুর্দান্ত সফলতা দেখিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কমন কৌশল হচ্ছে- আওয়ামী লীগ দলের সংখ্যালঘুরা যখন কোনো সন্ত্রাস করে কিংবা অপরাধ করে, সেটিকে সাধারণ অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়। আর যখনই তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড করে প্রতিরোধের মুখে পড়ে, সেটিকে দেখানো হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে। এর দায় সংখ্যাগুরু ধর্মীয় গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপাতে তারা সামান্য ভুলও করে না। এই নাগরিক সমাজ সংখ্যালঘু ইস্যুকে স্র্রেফ একটি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে। এই ইস্যুকে তারা সংখ্যাগুরু গোষ্ঠীর অধিকার হরণের কাজে দারুণভাবে কাজে লাগায়। তাদের এই পলিসি ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকারের সমর্থনমূলক।
গোপালগঞ্জের পথে পথে এনসিপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করা হয়। রাস্তার ওপর গাছ ফেলে সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেয়া হয়। সমাবেশমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেয়। গোপালগঞ্জে হামলার নিশানা ছিল এনসিপি নেতারা, তাদের লক্ষ্য ছিল শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা। এই সময় নাগরিক সমাজের উদ্বেগ জানানোর প্রয়োজন ছিল এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে। তারা দাবি জানাতে পারতেন, গোপালগঞ্জে যাতে সব মত-পথের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষিত হয় সে বিষয়ে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের নাম দেখলে বুঝতে সুবিধা হবে, তারা আসলে কী চান। রয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি দুর্নীতি সূচককে যথাসম্ভব সহনীয় করে প্রদর্শন করার চেষ্টা করে গেছেন হাসিনার পুরো সময়। দুর্নীতির জন্য হাসিনা চক্র সরাসরি দায়ী, এমন প্রতিবেদন টিআইবির পক্ষ থেকে কখনো দেয়া হয়নি। তিনি নিজেও হাসিনাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো অপশন মনে করতেন। হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে এর বিকল্প শাসক নেই মনে করতেন তিনি। তার এমন মনোভাব বিভিন্ন ফোরামে তার বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে। আছেন হাসিনার সমর্থক গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতি অত্যন্ত উদার ও দরদি।
নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশি কবীর বিবৃতিতে অন্যতম স্বাক্ষরদাতা। এই মহিলা ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনার পক্ষে জোরালো অবস্থানে ছিলেন। ৩ আগস্ট দৈনিক সমকালে কলাম লিখে তিনি জামায়াত শিবিরকে দেশ থেকে উৎখাত করার জোরালো বাণী দিয়েছেন। ওই কলামে তিনি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাখেন- জামায়াত শিবিরকে যেন কোনো দলে স্থান দেয়া না হয়। আগের দিন হাসিনা সরকার এক আদেশ জারি করে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল। খুশি কবীরদের মানবাধিকার চর্চার ধোঁকাবাজিটা দেখুন। একটি দল যারা সাড়ে ১৫ বছর সরকারের দমন-পীড়নে প্রায় নিধন হয়ে গেছে। যাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। জামায়াত শিবির পরিচয়ে কাউকে যেকোনো ধরনের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করা জায়েজ করা হয়েছে। সহায়-সম্পত্তি ও বিচার পাওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। যাদের প্রাণকে মূল্যহীন হত্যাযোগ্য করে দেয়া হয়েছে, খুশী কবির এমন এক মানবাধিকারকর্মী, তিনি এগিয়ে এসেছেন সেই আহ্বান নিয়ে- এদের যাতে কেউ ঘরে জায়গা না দেয়।
এখন বিবেচনা করে দেখুন, গোপালগঞ্জের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে কারা নেমেছে। এই তালিকায় এমন মানুষ রয়েছেন যারা হাসিনা সরকারের অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একবারও টুঁ শব্দ করেননি। এদেরকে আপনি কখনো বিডিআর হত্যা নিয়ে কোনো কথা বলতে দেখবেন না। এরা কখনো আয়নাঘর, গুপ্ত কারাগার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে কিছুই বলেনি। অথচ এরাই বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী সেজে বসে আছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার লুণ্ঠিত হওয়ার মূল কারণ- এভাবে শিয়ালের হাতে মুরগি বর্গা দেয়া। সত্যিকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এদের বিচারের প্রশ্ন এসে যাওয়ার কথা। অন্তত তাদের এই প্রশ্ন করতে হবে- তারা কেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় পরিস্থিতি আরো নাজুক করেছিলেন।
সংখ্যালঘুর নামে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ঘোরতর নির্যাতন হচ্ছে এমনটি প্রমাণ করতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আদাজল খেয়ে লেগেছে। কিছু দিন পরপর তারা হাজির হচ্ছে কতজন সংখ্যালঘু বিশেষত হিন্দু হত্যা হলো, বাড়িঘর-পূজামণ্ডপ উচ্ছেদ হলো এবং ধর্ষণসহ নানামাত্রিক সন্ত্রাসের শিকার হলো তার তালিকা নিয়ে। সরকারের পক্ষ থেকে তালিকা ধরে ধরে প্রমাণ হাজির করা হচ্ছে- তাদের দাবি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট। তারপরও তাদের এই অপচেষ্টা থেমে নেই।
সর্বশেষ ১০ জুলাই সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চার ব্যানারে দাবি করা হয়- সা¤প্রদায়িক হামলায় বিগত ছয় মাসে ২৭ জন সংখ্যালঘু প্রাণ হারিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যসূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে দেখেছে, এর একটি হত্যাকাণ্ডও সা¤প্রদায়িক কারণে ঘটেনি।
তদন্তে দেখা যায়, দু’টি হত্যা জমিজমার বিরোধে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দু’জন, দস্যুতার ঘটনায় হত্যার শিকার সাতজন, সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য সন্দেহে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের গুলিতে একজন, তরমুজ কেনাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে একজন প্রাণ হারান। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি কিংবা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন কিংবা সন্ত্রাস করতে গিয়ে তারা প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ এগুলোকে সংখ্যালঘু হত্যা তকমা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র বানানো হচ্ছে। ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার তিনটি ঘটনাকেও তারা তালিকায় সংখ্যালঘু নির্যাতনে প্রাণহানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। আরো ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত চলমান। তবে কোনো একটি ঘটনাও সা¤প্রদায়িক কারণে সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ মেলেনি। ৫ আগস্টের পর প্রথম সাড়ে চার মাসে ২৩ জন সংখ্যালঘু সা¤প্রদায়িক হত্যার শিকার হয় বলে আগে অভিযোগ আনে ঐক্য পরিষদ। ওই সময় প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ দেখিয়েছে, একটি হত্যার সাথেও সা¤প্রদায়িক হামলার সংশ্লিষ্টতা নেই। পারিবারিক কলহ, ডাকাতির মতো আইনশৃঙ্খলাজনিত ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
রাজশাহীর তানোরে আদিবাসী পরিবারে দ্ব›দ্ব ছিল। এই সুযোগে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় সেটিও তালিকায় স্থান পায়। তদন্ত করে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়নি। মাগুরার শ্রীপুর হরিনন্দী গ্রামে একটি পরিবারে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ঘটনাস্থলে ওই ধরনের ঘটনার সত্যতা মিলেনি। মোট কথা, অলীক ঘটনা রটনা করে সেটিকে সংখ্যালঘু নির্যাতন বলে তালিকা করা হচ্ছে।
হাসিনা পালানোর কয়েক দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে। তাতে সংখ্যাগুরুদের সাথে সংখ্যালঘুরাও আক্রান্ত হয়েছে। এর মূল কারণ রাজনৈতিক। হাসিনার মাফিয়া শাসনের অংশ হওয়ায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ক্ষোভের তারা শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশের সাথে দর কষাকষি করার জন্য ভারত সংখ্যালঘু ইস্যুকে বরাবর অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে। হাসিনা পতনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ এনে দেশটি সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদও যেন ভারতের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে পাগল হয়ে নেমেছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার জন্য তারা একটি ভিন্ন দেশের পক্ষে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সরকার রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বিবেচনায় নিয়ে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তারপরও সরকার তাদের দায়-দায়িত্বহীন মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার সহ্য করে যাচ্ছে।