১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন। ঘোষণাপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি না থাকা বা রাষ্ট্রপতি তার কার্যভার গ্রহণে অসমর্থ হওয়া বা তার ক্ষমতা প্রয়োগে অসমর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ওপর এতদ্বারা অর্পিত সমুদয় ক্ষমতা, কর্তব্য ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপতির থাকবে এবং তিনি তা প্রয়োগ ও পালন করবেন।
বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম চলাকালীন মুজিবনগর সরকার ভারতে অবস্থান করে মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনাসহ সরকারের অন্য সব কাজ সম্পন্ন করে। সে সময় শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তবে শেখ মুজিবুর রহমানের এ কারাবরণ স্বেচ্ছাধীন ছিল বলে তার একান্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমদ তার বইয়ে দাবি করেছেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক রয়েছে।
ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতির শপথ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অর্থাৎ- ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সদস্যরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নিয়োগ করেন। ঘোষণাপত্র প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউসুফ আলী যথাযথভাবে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামের শপথপাঠ পরিচালনা করতে পারলেও প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতির কারণে তার শপথ হয়নি।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রদৃষ্টে ধারণা পাওয়া যায়, এ ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রপতি-শাসিত সরকারব্যবস্থার সমর্থনে প্রণীত। এটি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হওয়ার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত বলবৎ থাকে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বলবৎ থাকাবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকায় ফিরে আসেন। এরপর তিনি ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং গণপরিষদ ভেঙে যাওয়ার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকেন। সংবিধান প্রণয়ন-পরবর্তী ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টিতে বিজয়ী হলে শেখ মুজিবুর রহমান পুনঃপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রতিষ্ঠার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকেন। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং সংশোধনীতে আরো উল্লেখ করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হবেন ও কার্যভার গ্রহণ করবেন এবং তখন থেকে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকবেন যেন তিনি এই আইনের দ্বারা সংশোধিত সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করায় এবং ওই ঘোষণাপত্রে কোনো ধরনের সংশোধনী না এনেই তিনি পাকিস্তান থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় তা আইনের দৃষ্টিতে বা সাংবিধানিকভাবে যথার্থ হয়েছে কি না সে প্রশ্ন এসে যায়।
বাহাত্তরের সংবিধানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার বিধান বলবৎ ছিল এবং তখন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তার কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হতো। সে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধানরূপে রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করলেও প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতির অন্য সব দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণের আবশ্যকতা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগবিষয়ক বিধানে বলা ছিল, যে সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন।
সংসদের মেয়াদ প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর হলেও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে সংবিধানে বলা ছিল- প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকার কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি নিজ পদে বহাল থাকবেন। সুতরাং ধারণা করা যায়, মেয়াদ অবসানের আগে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থা হারালে তিনি তার পদ হারাতে পারেন এবং এ ক্ষেত্রেও উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি নিজ পদে বহাল থাকবেন।
রাষ্ট্রপতির পদ বিষয়ে বাহাত্তরের সংবিধানে উল্লেখ ছিল- তিনি সংসদ সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হবেন এবং কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে তার পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি পদের ক্ষেত্রেও উল্লেখ ছিল- রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়া সত্তে¡ও তার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি নিজ পদে বহাল থাকবেন। এ সংবিধানের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- এতে রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ সীমিত করে বলা ছিল, একাদিক্রমে হোক বা না হোক, কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না।
একজন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি পদে দু’মেয়াদের অধিককাল থাকার বিষয়টি উদ্ভব হওয়ার অনেক আগে অর্থাৎ- এক মেয়াদ অবসানের আগেই সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে ওই সংশোধনী কার্যকর হওয়ার তারিখ অর্থাৎ- ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫ থেকে আমৃত্যু রাষ্ট্রপতি পদে বহাল করা হয়। চতুর্থ সংশোধনী প্রবর্তন পরবর্তী সাত মাসের মাথায় শেখ মুজিবুর রহমান দু’কন্যা ছাড়া সপরিবারে মর্মান্তিকভাবে নিহত হলে দেশ সামরিক শাসনের কবলে পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশালব্যবস্থা রহিত করা হলেও রাষ্ট্রপতি-শাসিত সরকারব্যবস্থা বহাল রাখা হয়। এ ব্যবস্থায় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্ব বিষয়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রত্যক্ষভাবে অথবা তার অধীনস্থ কর্মচারীর মাধ্যমে প্রযুক্ত হবে।
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তারই একান্ত বিশ্বস্ত মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন এবং বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তিন মাসের মাথায় তাকে ক্ষমতা হারাতে হলে সেনাশাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এর আগেই অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমান দুঃখজনকভাবে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হলে ক্ষণকালের বিরতিতে রাজনৈতিক মঞ্চে অপর সেনাশাসক এরশাদের আবির্ভাব ঘটে এবং গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে দীর্ঘ ৯ বছর তিনি শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করেন।
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনটি কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তী তুলনামূলক বিচারে স্বচ্ছ এ নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর বেগম খালেদা জিয়া উদার মনের পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনী এনে আবারো সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করেন। সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় ফেরার কারণে রাষ্ট্রপতি আক্ষরিক অর্থে নির্বাহী ক্ষমতাবিহীন নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধানে পরিণত হন।
বাহাত্তরের সংবিধানে যেভাবে রাষ্ট্রপতির একাদিক্রমে হোক বা না হোক, দুই মেয়াদের বেশি পদে বহাল হওয়া বারিত ছিল, অনুরূপ দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির মেয়াদের বিষয়টি বাহাত্তরের সংবিধানের মতোই বলবৎ রাখা হয়।
বাহাত্তরের সংবিধান মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ধারাবাহিকতায় রচিত এবং সে অনুযায়ী সরকারপদ্ধতি রাষ্ট্রপতি-শাসিত হবে, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই রাষ্ট্রপতির পদটি একাদিক্রমে হোক বা না হোক, দু’মেয়াদের জন্য সীমিত করে দেয়া হয়েছিল। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নামমাত্র সরকারপ্রধান। তার কোনো নির্বাহী ক্ষমতা না থাকায় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত বলে কাকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ দেয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ সীমিতকরণ কোনোভাবেই দল বা দেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করে না।
শেখ মুজিবুর রহমান শুরুতে এবং শহীদ জিয়াউর রহমান যেভাবে এ দেশের গণমানুষের আস্থা ভোগ করতেন, বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনীতিবিদের পক্ষে সে আস্থা অর্জন সম্ভব হবে কি না, সংশয় রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তারা উভয়ে রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকাকালীন মেয়াদ বিষয়ে কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তাদের কেউই এক মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। তারা উভয়েই নিহত হওয়ার পর এরশাদের শাসনকাল ছাড়া তাদের উত্তরসূরি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করেছেন। উভয় উত্তরসূরি একই সাথে সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। উভয় উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী পদে ইতোমধ্যে যথাক্রমে দুই ও তিন মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
এ কথাটি অনস্বীকার্য, একই ব্যক্তি একাদিক্রমে হোক বা না হোক, রাষ্ট্রের শীর্ষ নির্বাহী পদে যদি দুই মেয়াদের বেশি অধিষ্ঠিত থাকেন; সে ক্ষেত্রে নিজ দলে যোগ্য নেতার আবির্ভাব ঘটে না এবং যোগ্য নেতা থাকলেও বিকশিত হওয়ার সুযোগ অনুপস্থিত। আর যদি একই ব্যক্তি যুগপৎ সরকারের শীর্ষ নির্বাহী এবং দলেরও প্রধান, তখন দলের মধ্যেও নতুন নেতৃত্বের আবির্ভাব ঘটে না। তাই অনেক গণতান্ত্রিক দেশে কখনো একই ব্যক্তি যুগপৎভাবে সরকারের শীর্ষ নির্বাহী ও দলের শীর্ষ পদে বহাল থাকেন না।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনায় ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। এর মধ্যে ৪৮টি প্রস্তাব সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত এবং অবশিষ্টগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে ও নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য। সংস্কার প্রস্তাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত থাকলেও দেশের বর্তমানে বড় দু’টি রাজনৈতিক দলসহ প্রায় ২৫টি দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এ স্বাক্ষর করেছে। ৪৮টি সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাব নিয়ে গণভোট হবে এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গণভোটে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ দুই মেয়াদে সীমিতকরণ।
দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার জন্য পৃথিবীর অনেক দেশে সরকারের শীর্ষ নির্বাহীর পদের মেয়াদ সীমিত রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে সরকারের শীর্ষ নির্বাহীর পরিবর্তে নির্বাহী ক্ষমতাবিহীন নামমাত্র রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ সীমিত করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ সীমিত করার ইতিবাচক প্রভাব সামান্যই; বরং যে পদটি প্রকৃত প্রভাব রাখে, সেটি অর্থাৎ- সরকারের শীর্ষ নির্বাহীর পদটির মেয়াদ সীমিত করলে দেশে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ সম্ভব হতে পারে। সেটি করাই বোধকরি সমীচীন।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক



