পাকিস্তানকে অস্থির করে তুলছে টিটিপি

চীনের প্রাথমিক নিরাপত্তা উদ্বেগ হলো টিটিপি বা অন্যান্য গোষ্ঠীর জিনজিয়াং অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা।

তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান- টিটিপি, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে। উপজাতি অঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ে জোট হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের বিখ্যাত জঙ্গি কমান্ডার বাইতুল্লাহ মেহসুদের নেতৃত্বে টিটিপি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল পাকিস্তান সরকারের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জোট বাঁধার প্রত্যক্ষ পরিণতি। যার ফলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে পাকিস্তান।

টিটিপি প্রায়ই পাকিস্তানি তালেবান হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানের কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় এলাকায় (এফএটিএ) আগে থেকে সক্রিয় বিচ্ছিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এই জোটে মিলিত হতে থাকে। আফগানিস্তানে ২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পরে যে জটিল ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন হয় তাতে টিটিপিও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে অনুঘটক হিসেবে অস্তিত্ব প্রকাশ করতে সমর্থ হয় এবং অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্ব প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে শুরু করে।

টিটিপি মূলত ২০০১ এর ১/১১ হামলার পরে এই অঞ্চলে আন্তঃজিহাদি রাজনীতির একটি উপাদানে পরিণত হয়। এর আগে অনেক পাকিস্তানি জিহাদি গোষ্ঠী পাকিস্তানের নীরব সমর্থনে আফগানিস্তান ও ভারতীয় কাশ্মিরে লড়াই করে বলে বলা হয়। পাকিস্তান সরকারের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার পর এই সম্পর্ক মৌলিকভাবে পাল্টে যায়। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী আফগান সীমান্তবর্তী উপজাতি বেল্টে আলকায়েদা এবং আফগান তালেবান সদস্যদের আশ্রয় দেয়াসহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। টিটিপির মূল অভিযোগ হয়ে ওঠে পাকিস্তান সরকারের ‘আমেরিকান সংযোগ’ হিসেবে ভূমিকা এবং শরিয়াহ আইনের কঠোর প্রয়োগে ব্যর্থতা।

টিটিপি জোট পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ চালানোর জন্য এবং পাকিস্তানে শরিয়াহভিত্তিক একটি ইসলামী রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কার্ড সামনে আনে।

জঙ্গি গ্রুপগুলোর একত্র হওয়ার উল্লেখযোগ্য তাৎক্ষণিক অনুঘটক ছিল ২০০৭ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ইসলামাবাদের নামকরা লাল মসজিদ অবরোধের ঘটনা। এ ঘটনা রাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তোলে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত দৃঢ় করে। সে সময় টিটিপি স্পষ্টভাবে নিজেদের আফগান তালেবানের সম্প্রসারিত শাখা হিসেবে তৎকালীন আফগান তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরকে তাদের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই সংযোগটি টিটিপির মতাদর্শগত প্রান্তিকীকরণ এবং বৃহত্তর বৈশ্বিক জিহাদি এজেন্ডা আরো এক ধাপ সামনে নিয়ে যায়, যদিও এর প্রাথমিক ফোকাস পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। পাকিস্তান-বিরোধী টিটিপিকে ভারত একটি মোক্ষম সুযোগ হিসেবে দেখে।

টিটিপি ও আফগান তালেবানের (ইসলামিক ইমিরেট অব আফগানিস্তান, আইইএ) মধ্যে সম্পর্ক আঞ্চলিক নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ২০২১ সালের আগস্টে আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে এই সম্পর্ক একটি ঐতিহাসিক বন্ধন থেকে পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অমীমাংসিত ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জে রূপান্তরিত হয়।

টিটিপি ঐতিহাসিকভাবে আফগান তালেবানকে তার মতাদর্শগত ‘মাদারশিপ’ হিসেবে দেখে, এটি একটি সম্পর্ক যা দেওবন্দি ও পশতুন মতাদর্শের মধ্যে প্রোথিত রয়েছে এবং আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি সাধারণ ইতিহাস। টিটিপির প্রতিষ্ঠাতা নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ তৎকালীন আফগান তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন, আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক আজ্ঞাবহতার সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এই বন্ধনের অর্থ হলো, পাকিস্তানি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে টিটিপির লড়াইকে আফগান তালেবানের অনেকে তাদের নিজস্ব জিহাদের বৈধ সম্প্রসারণ হিসেবে দেখেন।

আইইএ বা আফগান তালেবানের সাফল্যে টিটিপি তাৎক্ষণিকভাবে উৎসাহিত হয়েছিল, এই বিজয়কে তাদের বিজয় হিসেবে দেখেছিল, যা পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর মনোবল এবং রাজনৈতিক শক্তি বাড়িয়ে তুলেছিল। আফগানিস্তানের ওপর আইইএর নিয়ন্ত্রণ টিটিপিকে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে ইন্ধন জুগিয়েছিল, যা থেকে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা ও পরিচালনার চেতনা সৃষ্টি করে।

ইসলামী আমিরাত ক্ষমতায় আসার অল্প সময়ের মধ্যে আফগান কারাগার থেকে টিটিপি যোদ্ধাদের মুক্তির সাথে আফগান মাটি থেকে কাজ করার ক্ষমতা টিটিপিকে নতুন কৌশলগত গভীরতা এনে দেয়।

টিটিপির আক্রমণের পুনরুত্থানের পর পাকিস্তান আফগান তালেবানের ঐতিহাসিক ও মতাদর্শগত প্রভাব কাজে লাগানোর আশায় শান্তি আলোচনায় তালেবান সরকারের মধ্যস্থতা চেয়েছিল। সিনিয়র আফগান তালেবান ব্যক্তিত্বরা, বিশেষত একজন শীর্ষ নেতা এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, টিটিপি ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে আলোচনা সহজতর করেছিলেন। এই আলোচনাগুলো ২০২১ সালের শেষের দিকে একটি স্বল্পকালীন যুদ্ধবিরতির দিকে নিলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনা ভেঙে যায়। আলোচনার ব্যর্থতার ফলে টিটিপির সহিংসতা বৃদ্ধি পায়, গ্রুপটি ২০২২ সালের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শেষ করে।

২০২৪ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে এই সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য উত্তেজনার উৎস হিসেবে থাকে। ইসলামাবাদ বারবার দাবি করা সত্তে¡ও আফগান তালেবান টিটিপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া এড়িয়ে গেছে। কোনো প্রতিশ্রুতিও দেয়নি। এই অনীহা আফগান আমিরাতের পদমর্যাদার মধ্যে টিটিপির গভীর সমর্থন দেখা যায়, যেখানে অনেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টিটিপির লড়াইকে বৈধ জিহাদ হিসেবে দেখেন।

আফগান মাটি থেকে টিটিপির অব্যাহত অভিযান দুই দেশকে সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দেয়। পাকিস্তান টিটিপিকে আশ্রয় দেয়ার জন্য আফগান সরকারকে অভিযুক্ত করে এবং ২০২৪ সালে আফগান ভূখণ্ডে টিটিপি লক্ষ্যবস্তুর ওপর প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা শুরু করে, যা কূটনৈতিক সম্পর্কে আরো টানাপড়েন সৃষ্টি করে।

টিটিপির প্রভাব মোকাবেলায় পাকিস্তান সামরিক অভিযান, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং আর্থসামাজিক পদক্ষেপের সমন্বয়ে একটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে। সন্ত্রাস দমনের পাকিস্তানি কৌশল বিশ্বের বিভিন্ন সামরিক কৌশলবিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। পাকিস্তান এই মডেলের মাধ্যম সীমান্ত সুরক্ষার কাজও করছে। পাকি-আফগান সীমান্ত বরাবর ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে দুই হাজার ৬৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়া তৈরি করাও মডেলে অন্তর্ভুক্ত। এর মাধ্যমে জঙ্গি অনুপ্রবেশ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং টিটিপি কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষ্যে আফগান সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোয়েন্দাভিত্তিক সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা বাড়ানোও এর অন্তর্ভুক্ত।

এ কৌশলে আফগান তালেবানদের সম্পৃক্ত করার ওপর পাক সরকার জোর দিয়েছে। আফগান ভূমি থেকে আক্রমণের সময় অন্তত পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীকে যেন টার্গেট করা না হয় সে বিষয়ে আফগান তালেবানদের রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। তবে আফগান তালেবানরা বলছে, টিটিপির মোকাবেলা করা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি স্থায়ী আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান, যা অনেক দূর এগিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য রিয়েল-টাইম সমন্বয় সরঞ্জাম স্থাপন। অবশ্য অতি সম্প্রতি দিল্লি-কাবুল মিটিংয়ের পর এর গতি ধীর হয়েছে।

টিটিপিকে পরাস্ত করতে আর্থসামাজিক পদক্ষেপগুলোও কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উপজাতি অঞ্চলে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলার উদ্যোগসহ টিটিপির উত্থানের অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার জন্য পাকিস্তান ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে।

আফগানিস্তানে প্রসারিত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) মতো অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব তৈরি আফগান তালেবানকে জঙ্গি দমনে উৎসাহিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অসামরিক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বাড়িয়ে সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টাকে আরো ‘নমনীয়’ করে তোলার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। আইনসভা, নির্বাহী এবং বেসামরিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে এবং কার্যকর স্থল স্তরের গোয়েন্দা তথ্য ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য পুলিশের ক্ষমতা এবং স্বায়ত্তশাসন বৃদ্ধিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

জঙ্গি প্রচারণা মোকাবেলায় মিডিয়াকে সম্পৃক্তকরণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান শান্তি ও আঞ্চলিক ঐক্য সম্পর্কে তথ্যাদি প্রচারে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। টিটিপির একটি পরিশীলিত মিডিয়া আউটরিচ কৌশল রয়েছে, তাই পাকিস্তান আখ্যানের যুদ্ধে জয়লাভ করতে কাজ করছে।

টিটিপি ও ভারতের মধ্যে সংযোগ পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা আলোচনার একটি অবিরাম এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল আখ্যান। পাকিস্তান বারবার এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে টিটিপি এবং অন্যান্য পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠী যেমন বালুচ লিবারেশন আর্মিকে সমর্থন করার অভিযোগ করেছে। ভারত ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ অস্বীকার করে।

টিটিপি এবং বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনসহ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর জন্য চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) একটি প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে (সিপিইসি) টিটিপির আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য পাকিস্তান সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রাথমিক ব্যবস্থা হচ্ছে স্পেশাল সিকিউরিটি ডিভিশন মোতায়েন। অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রাদেশিক স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট এবং চীনের সাথে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট। সিপিইসি প্রকল্প ও চীনা নাগরিকদের ওপর আক্রমণের ধারাবাহিকতা ইঙ্গিত দেয় যে সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো পুরোপুরি কার্যকর নয়। টিটিপি ও তার মিত্ররা, যেমন- বালুচ লিবারেশন আর্মি চীনা কনভয় এবং আবাসিক এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ হাই-প্রোফাইল লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে থাকে। টিটিপির আক্রমণের ঢেউ চীন সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের হুমকি সৃষ্টি করছে, যা সিপিইসির ভবিষ্যৎ বিপন্ন করতে পারে।

পাকিস্তান একটি বহুস্তরীয় সুরক্ষা কাঠামো বাস্তবায়ন করেছে, প্রাথমিকভাবে চীনা কর্মী এবং অবকাঠামো সুরক্ষার ওপর কাজ করছে। পাকিস্তানজুড়ে এই প্রকল্পগুলোতে কর্মরত হাজার হাজার চীনা নাগরিককে সুরক্ষা কভারেজ দিচ্ছে। পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে, যারা রিয়েল টাইম গোয়েন্দা তথ্য, স্যাটেলাইট চিত্র বিনিময় করে।

আফগান অর্থনীতি স্থিতিশীল করতেও বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন। চীন এই ফ্রন্টে জড়িত হতে ইচ্ছুক, বিশেষত খনিজসম্পদ এবং অবকাঠামো খাতে। টিটিপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তালেবান আমিরাতকে উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সুযোগগুলো আটকে রাখতে পারে। চীনের প্রাথমিক নিরাপত্তা উদ্বেগ হলো টিটিপি বা অন্যান্য গোষ্ঠীর জিনজিয়াং অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার