চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুধু একটি স্বৈরাচারী শাসনের পতন নয়; এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন সূর্যোদয়। দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী অন্ধকার, দমননীতি, দুর্নীতি ও বৈদেশিক তাঁবেদারির শৃঙ্খল ভেঙে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ঘোষণা করেছে- ‘আমরা নতুন করে আবার স্বাধীন, আমরা স্বয়ম্ভর, আমরা বাংলাদেশী’। এই বিপ্লবের পর পৃথিবী বাংলাদেশকে নতুন চোখে দেখতে শুরু করেছে। বিশেষত বিভিন্ন দেশের নবীন প্রজন্ম, যাদের আমরা বলি জেন-জি, তারা বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে এক আদর্শ হিসেবে। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান এমনকি দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে তারুণ্যের মধ্যে দ্রোহের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠছে। মনে হচ্ছে- দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিশ্বজুড়ে নতুন এক বিপ্লবী ধারার সূচনা হয়েছে, যার উদ্দীপনায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
বিপ্লব কেন ঘটেছিল তার অন্যতম কারণগুলো ছিল দীর্ঘদিনের স্বৈরতন্ত্র ও রাজনৈতিক দমননীতি, অবৈধ রাষ্ট্রীয় দখল ও ভারতের গোলামির বিরুদ্ধে জনরোষ, রাষ্ট্রযন্ত্রকে কলুষিত করা দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও অর্থপাচার, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি চাকরিতে দলীয়করণ, যা মেধাকে হত্যা করেছে, বেকারত্ব ও মেধাপাচারের অভিশাপ, যা তরুণ সমাজকে হতাশ করেছে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে তার নিজস্ব দর্শন ও মর্যাদায় বিশ্বে দাঁড় করানোর এক অদম্য আকাক্সক্ষা। এ বিপ্লব তাই ছিল কেবল সরকারের বিরুদ্ধেই নয়; এটি ছিল এক সভ্যতাগত ঘোষণা যে, ছাত্র-জনতা নিজেরাই নিজেদের রাষ্ট্রের ভাগ্যের নিয়ন্তা হবে, কোনো বৈদেশিক আধিপত্যবাদ নয়।
বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় সঙ্কট হলো আমরা ঠিক কেমন বাংলাদেশ চাই? তার একটি বুদ্ধিবৃত্তিক মানচিত্র তৈরি করা ছিল সবার দায়িত্ব, বিশেষ করে রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ, বুদ্ধিজীবীদের। দুঃখজনকভাবে আজ সব দলগুলো ও সুশীলসমাজ কেবল ক্ষমতার লড়াই ও নানা সমীকরণে ব্যস্ত। কিন্তু কেউ নতুন রাষ্ট্রের ভিত্তি, নতুন দর্শন ও নতুন জাতীয় স্বপ্ন নিয়ে জনগণের সামনে আসছে না। যে বিপ্লব হয়েছিল জাতিকে পুনর্গঠনের জন্য, সেই বিপ্লবের চেতনা যদি কেবল ক্ষমতার চেয়ার ও নামমাত্র সংস্কারে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, তবে তা ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন আমাদের অন্যতম জরুরি কাজ হলো একটি নয়া বাংলাদেশী দর্শন তৈরি করা- যেখানে শিক্ষা, উন্নয়ন, নৈতিকতা ও জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি থাকবে।
নতুন বাংলাদেশের জন্য ‘নিজস্ব দর্শন ও উন্নয়ন মডেল’ মানে হলো পশ্চিমা বা অন্য দেশের নকল মডেল অন্ধ অনুসরণ না করে সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে সবচেয়ে উন্নত দিকগুলো গ্রহণ করা, যা আমাদের জন্য উপযোগী হবে। এসবের সমন্বয় ও আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজ এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার পথ নির্ধারণ করা। এটি বঙ্গের সুলতানি আমল থেকে শুরু করে, মোগল শাসনামল, মোগল ও ব্রিটিশবিরোধী দীর্ঘ সংগ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মতো গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে, যেখানে জাতীয় ঐক্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নকে কেন্দ্রীয় স্থান দিবে। একই সাথে আমাদের ইসলামী মূল্যবোধ, গ্রামীণ ও লোকসংস্কৃতি, সাহিত্য ও শিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন নৈতিক ও সামাজিক কাঠামো তৈরি করবে যা উন্নয়নকে কেবল অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নয়; বরং মানুষের জীবনমান, নৈতিকতা ও সামাজিক সংহতির সাথে যুক্ত করবে। বাংলাদেশী বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নীতি প্রণয়ন, প্রযুক্তি গ্রহণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে এটি স্থায়িত্বশীল ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র গঠনের দিকনির্দেশ করবে। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় যেসব কাজ করতে হবে তা নিচে আলোচনা করা হলো।
১. জ্ঞান উৎপাদনের কাঠামো পরিবর্তন ও নতুন দর্শনভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা : বাংলাদেশের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজস্ব দার্শনিক ভিত্তি থেকে একটি শিক্ষাকাঠামো গড়ে তোলা। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা অনেকাংশে ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার, পাশ্চাত্যের ধারার অনুকরণ এবং পরীক্ষাভিত্তিক কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আছে। এর ফলে সৃজনশীল জ্ঞান উৎপাদনের পরিবর্তে আমরা বারবার মুখস্থনির্ভরতা ও অনুকরণবাদে আটকে যাই। মালয়েশিয়া তাদের ‘মালয়েশিয়া মাদানি’ ভিশনে ইসলামী দর্শন, নৈতিকতা ও আধুনিক জ্ঞানকে সমন্বয় করে শিক্ষাব্যবস্থা সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কুয়ালালামপুরে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়াসহ মালয়েশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা এক্ষেত্রে জ্ঞান উৎপাদনে একটি অনন্য উদাহরণ, যেখানে ইসলাম, আধুনিক সামাজিক ও মানবিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত সিলেবাসের সমন্বয়ে নিজস্ব একটি জ্ঞানকাঠামো তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমে জার্মানির ‘হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়’ মডেল গবেষণা ও শিক্ষায় আধুনিকতাকে একত্রিত করে নতুন জ্ঞানের জন্ম দিয়েছে। এর ফলে জার্মানি শিল্প বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগামী দেশ হয়ে উঠেছিল। যা পরবর্তীতে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ অধিকাংশ দেশের জন্য মডেল হয়েছে। বাংলাদেশে এরূপ নয়া কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে নতুন অন্টলজি (বাস্তবতার ধারণা), এপিস্টমলজি (জ্ঞানের উৎস) ও মেথডলজি (গবেষণা বা জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি) তৈরি করতে দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, রিসার্চ বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে কাজ করতে পারে। ‘বাংলাদেশ শিক্ষা ও দর্শন কমিশন’ নামে একটি ন্যাশনাল কমিশন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, যা জ্ঞান উৎপাদনের এই নতুন ধারাকে তত্ত¡ায়িত ও প্রায়োগিক করবে।
২. সমন্বিত জাতীয় শিক্ষানীতি : বাংলাদেশকে একটি দূরদর্শী ভিশন চালিত শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। যাতে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে একই সাথে ‘জাতিগঠন ও সভ্যতানির্মাণ’ হবে শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য। তুরস্কে কামাল আতাতুর্কের আমল থেকে শুরু করে আদনান মেন্দারেস, সুলেমান দেমিরেল, নাজিমুদ্দিন এরবাকান হয়ে আজকের এরদোগান পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে রাষ্ট্রের ভিশন অনুযায়ী গড়ে তোলা হয়েছে। আজকের তুরস্কের প্রযুক্তিগত সাফল্য (ড্রোন, প্রতিরক্ষা শিল্প) এসেছে সেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফলস্বরূপ। তেমনি ফিনল্যান্ডের শিক্ষানীতিও শিশুদের সুকুমারবৃত্তি উৎসাহব্যঞ্জক এবং উদ্ভাবনমুখী। সেখানে প্রাথমিক স্তর থেকে গবেষণা ও বাস্তব জীবনভিত্তিক শিক্ষা দেয়া হয়। বাংলাদেশে একটি ‘জাতীয় শিক্ষা ভিশন-২০৫০’ প্রণয়ন করা যেতে পারে, যেখানে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ থাকবে- যেখানে ভিশন হবে : মানবসম্পদকে জ্ঞানসম্পদে রূপান্তর করা। মিশন হবে- উদ্ভাবনী, নৈতিক ও বাংলাদেশকেন্দ্রিক শিক্ষা গড়ে তোলা। আল্টিমেট লক্ষ্য হবে- বিশ্বমানের বিজ্ঞানী, চিন্তাবিদ ও রাষ্ট্রনেতা তৈরি করা।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স ও কারিকুলাম নতুন করে ডিজাইন : বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম প্রায় পুরোপুরি পাশ্চাত্যের ধারার পুনরুৎপাদন। এর পরিবর্তে, বাংলাদেশের নিজস্ব দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ও উন্নয়ন অভিজ্ঞতাকেও পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইরানের শাসনব্যবস্থা নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও ইসলামী বিপ্লবের পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিষয়ে যে নয়া দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে অনুকরণযোগ্য। ইউরোপের অন্যান্য নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ নিজেদের ‘গ্রেট ট্র্যাডিশন’ গড়ে তুলেছে, যেখানে ইংরেজি সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক দর্শনকে ব্রিটিশ অভিজ্ঞতার সাথে মিল রেখে পড়ানো হয়। বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ‘বাংলাদেশী সমাজতত্ত¡’, ইতিহাস বিভাগে ‘বাংলাদেশী সভ্যতা অধ্যয়ন’ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ‘বাংলাদেশী শাসন মডেল’ বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা যেতে পারে।
৪. নিয়োগপ্রক্রিয়ার সংস্কার : বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ও অনৈতিক নিয়োগপ্রক্রিয়া জ্ঞানচর্চাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এই সংস্কৃতিকে বদলে এনে মেধার ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক মানসম্মত প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রণিধানযোগ্য। তারা আন্তর্জাতিক মান ও আন্তর্জাতিক স্কলারদের এনে তাদের একাডেমিক মানকে বিশ্বমানে উন্নীত করে তুলেছে। বাংলাদেশেও বিদেশী ও প্রবাসী বাংলাদেশী স্কলারদের আকর্ষণ করার মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৫. উদ্ভাবন ও গবেষণায় বিপ্লব : জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে গবেষণাভিত্তিক জ্ঞান অর্থনীতি (রিসার্চ-ড্রিভেন নলেজ ইকোনমি) গড়ে তুলতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও শিক্ষার বাজেট না বাড়িয়ে উল্টো কর্তন করেছে, যা অনেকটা অনাকাক্সিক্ষত। কাতার তাদের জাতীয় ভিশন-২০৩০-এ গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশাল অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। আজ তারা মধ্যপ্রাচ্যে শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হয়ে উঠছে। দক্ষিণ কোরিয়া শিক্ষা ও গবেষণায় বিশাল বিনিয়োগ করে এক প্রজন্মের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিগত শক্তি হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশকে জাতীয় গবেষণা বোর্ড গঠন করতে হবে যা বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাকেন্দ্রকে অনুদান দেবে, আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করবে ও বিশ্বমানের প্রকাশনায় উৎসাহিত করবে।
৬. রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি : ভবিষ্যতের বাংলাদেশের সভ্যতাগত দর্শনভিত্তিক শিক্ষাকে শুধু একাডেমিকভাবে নয়; বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেও এটি যথাযথ গ্রহণ করতে হবে। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এই দর্শনভিত্তিক উন্নয়ন মডেল যুক্ত করতে হবে। যেমনটি করেছেন মালয়েশিয়ার আনোয়ার ইবরাহিম। তিনি তার ‘মাদানি’ দর্শনকে তার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডায় যুক্ত করেছেন। একইভাবে এরদোগান রাষ্ট্রের সেক্যুলারিজমের সাথে তুরস্কের মুসলিম ইতিহাস ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন করে নয়া শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছেন। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি দল ও ব্যক্তি নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা, গবেষণা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের রূপরেখা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ‘বাংলাদেশের সভ্যতাগত পুনর্জাগরণ’-এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনীতি প্রস্তাব করতে হবে।
সংক্ষেপে বলা যায়, বাংলাদেশী সভ্যতাগত দর্শনভিত্তিক শিক্ষা ও উন্নয়ন মডেল গড়ে তুলতে হলে আমাদের মুসলিম বিশ্বের ‘দর্শন ও নৈতিকতার উদাহরণ’ এবং পশ্চিমা বিশ্বের ‘গবেষণা ও ইনোভেশনের উদাহরণ’ উভয়কেই সমন্বয় করতে হবে এবং তার সুবর্ণ সুযোগ জাতির সামনে চলমান। এই সুযোগকে কাজে না লাগাতে পারলে ইতিহাসের কাঠগড়ায় হয়তো সবাইকেই দাঁড় করাবে দেশের অনাগত প্রজন্ম।
লেখক : একাডেমিক ডিরেক্টর, সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশনাল স্টাডিজ (সিজিসিএস)