পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার বিরোধিতা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণের অনেকেই করেছে। এই বিরোধিতা পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা থেকে যতটা না, তার চেয়েও বেশি ছিল প্রতিবেশী ভারতের প্রভাববলয়ে চলে যাবার শঙ্কাজনিত। বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে ব্রিটিশ-পরবর্তী উপমহাদেশে হায়দারাবাদসহ অনেকগুলো স্বাধীন রাজ্য সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে ভারত কিভাবে গিলে ফেলেছে। সরাসরি আগ্রাসনে যাদের গিলে ফেলা যায়নি সেখানে চলেছে চাণক্য নীতির প্রয়োগ। ফলে মালদ্বীপ ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো সত্যিকার স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি কোনোকালে। ভারতের সহযোগিতায় স্বাধীনতা লাভের যারা বিরোধী ছিলেন তাদের শঙ্কা যে অমূলক ছিল না, বাংলাদেশের গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে ইতোমধ্যে তা প্রমাণিত। হাসিনা আর কিছুকাল ক্ষমতায় থাকলে ভারতের অঙ্গরাজ্য পরিণত হতো বাংলাদেশ।
হাসিনার দেড় দশকের শাসনে বাংলাদেশ মূলত ভারতের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। এর রাজনীতি অর্থনীতি ও সামরিকনীতির পুরোটাই ছিল ভারতের পদতলে। ভারতের চাওয়া হচ্ছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারতের স্বার্থে চালিত হবে। তার নির্দেশনা আসবে দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে। বিদেশী মিশনগুলো ভারতীয় নির্দেশনা অনুযাযী চলবে। ভারতের এই চাওয়া অনুযায়ী হাসিনার আমলে দেশ চলেছে। হাসিনা পালানোর পরও দেখা গেল কলকাতা উপহাইকমিশনে কোরবানিতে পশু জবাই বাতিল করার আদেশ হলো। ভারত রাষ্ট্র মাইন্ড করবে তাই সংশ্লিষ্ট কূটনীতিক এই আদেশ দিয়ে বসলেন। যাই হোক ওই কূটনীতিক ড. ইউনূস সরকারের পক্ষে থেকে নোটিশ খেয়েছেন। তার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে। শঙ্কার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ভারতকে খুশি করার মানসিকতা সম্পন্ন বিপুলসংখ্যক দুর্বল মস্তিষ্কের লোক রয়ে গেছে।
হাসিনার দেশ চালানোয় ক্রমেই পরিষ্কার হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছে চলে গেছে। হাসিনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে সামনে প্রদর্শন করার জন্য পুতুল হিসেবে। গুরুতর সামরিক ও ভূ-কৌশলগত সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগসহ গুরুত্বপূর্ণ পদায়ন ভারতের পছন্দ অনুযায়ী হয়েছে। দেশের কর্তৃত্ব ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে হাসিনাকে মাফিয়া কায়দায় দেশ চালানোর অধিকার দিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিনি শুধু নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে দেশের মানুষকে বশীভূত রাখবেন। হাসিনার কাজ এটুকুই। এতে তিনি ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছেন। ভারত তার প্রতি খুব খুশি। ওই কাজ করার জন্য তিনি একটি মাফিয়া চক্র তৈরি করেছিলেন। এই বাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি আর্মি পুলিশকে ব্যবহার করেন। তিনি লুটপাট করার অবাধ স্বাধীনতাও পেয়েছিলেন। তার সৃষ্ট ধনিকশ্রেণী একচেটিয়া শোষণ করার অধিকার পেয়েছিল। এই অলিগার্করা দেশের অর্থনীতিকে চুষে ছোবড়া বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এই যাত্রায় ভারতীয় হাইকমিশন, র‘য়ের এজেন্ট ও হাসিনাকে সমর্থনকারী ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরাও একটা ভাগ পেতেন। সেজন্য ওই সময় ভারতীয় বিভিন্ন সেক্টরের চাকরিজীবীদের বাংলাদেশে পোস্টিং অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। হাসিনার আমলে সবাই বাংলাদেশে চাকরি করতে চাইতেন। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তারাই চিৎকার চেঁচামেচি করেছেন। বিনা সিক্রি, হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, পিনাক রঞ্জনসহ একপাল কূটনীতিক ব্যাপক হতাশ হয়েছেন। এখনো তারা হাসিনার পক্ষে সফাই গেয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয় সাংবাদিকদের একটি অংশ হাসিনার মাসোয়ারা পেতেন। হাসিনার পেইড ভারতীয় মিডিয়া হাসিনার পতন টানা এক বছর কোনোভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারা গুজব ভুল ও অপতথ্য ছড়িয়ে ড. ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করার হেন কোনো চেষ্টা নেই করেনি।
বর্ষা বিপ্লবে হাসিনা ক্ষমতা হারালেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ ভারত। কারণ দেশটি হারিয়ে ফেলেছে তার খাস তালুক। সেই অর্থে হাসিনা ও তার অলিগার্করা অতবেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কারণ তারা ইতোমধ্যে বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করে ফেলেছে। সেই পাচার হওয়া অর্থ আবার ভারতে খুব সামান্য গেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পাচার হওয়া ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের বেশির ভাগ পশ্চিমা দেশগুলোতে গেছে। ভারতে গেছেন শুধু হাসিনা। তার সাথে গেছে চিহ্নিত দাগি অপরাধীরা, যারা পশ্চিমে পালাতে পারেনি। এরা এখন ভারতের জন্য বিশাল বোঝা। এরা সবাই আন্তর্জাতিক আদালতে অচিরেই দণ্ডিত হবেন। দণ্ডিত আসামিদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারত জবাবদিহির মধ্যে পড়বে। হাসিনার সাঙ্গোপাঙ্গরা পাচার করা অর্থে তাদের কয়েক প্রজন্ম আরাম আয়েশে কাটাতে পারবে। এদিকে এর শতভাগ লায়াবিলিটিজ তারা তুলে দিয়ে গেছে ভারতের ঘাড়ের ওপর। বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে দেশটি রীতিমতো নাস্তানাবুদ। নতুন প্রজন্মের কাছে ভারত এখন সলিড এক শত্রুর নাম।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানাচ্ছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সাথে হাসিনার দশটি অসম চুক্তি বাতিল করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগসহ চারটি যোগাযোগ প্রকল্প। যেগুলোর উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে তাদের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার। ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। সবচেয়ে ক্ষতিকর চুক্তি ছিল মিরসরাই ও মোংলায় ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান জিআরএসইর সঙ্গে টাগবোট কেনার চুক্তি। আদানির বিদ্যুৎ কেনা চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই ঘোষণায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মন বেজার। তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলবেন না, বলার পরও আবার জানালেন এতগুলো নয়, একটি চুক্তি বাতিল হয়েছে। অন্যায্য চুক্তি বাতিল হলে তিনি খুশি নন। হাসিনার পালানোর পর আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পুনর্গঠন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। বিশেষ করে ভারতের সরাসরি শত্রুতার নীতি গ্রহণ বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করে। এই অবস্থায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দরকার ছিল একজন সাহসী সক্ষম এবং ভারতের সাথে সঠিক বোঝাপড়া করতে পারে এমন ব্যক্তির।
যাই হোক, তৌহিদ হোসেনের দুর্বলতা স্পষ্ট হলেও অন্তর্বর্তী সরকার সঠিক পথে হাঁটছে বলেই মনে হয়।
মোদি ভারতের ক্ষমতায় আসার পর দেশটি অপরিণামদর্শী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেছে। তাতে ন্যায্যতা কিংবা আদর্শের কোনো বালাই নেই। বর্ণবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যায়। এই সময়ে সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সব সুবিধা নিলেও বৈশ্বিক পরিসরে তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ভারত। রাশিয়ার ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ ভারতীয় সুবিধাবাদী নীতির কারণে কার্যকর প্রভাব ফেলেনি। অবরোধের মধ্যে বিপুল তেল কিনে রাশিয়াকে ভারত স্বস্তি দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র কানাডা ও পশ্চিমা দেশগুলোতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের কার্যক্রম হাতেনাতে ধরা পড়েছে। সেসব দেশের নাগরিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা প্রমাণ হয়েছে। এ ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ, পাকিস্তান এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও ভারত চালিয়ে আসছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আদানিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবৈধ সুবিধা আদায় করে দিতে গিয়ে এখন লেজেগোবরে অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আদানি ও তার কোম্পানি দণ্ডিত। মোদির কারণে দেশটির বিদেশনীতি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ট্রাম্প সরকার ভারতের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন শুল্ক আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ইতিহাসের তলানিতে ঠেকেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করলে চারদিক থেকে চাপে পড়া ভারত সরকার হাসিনা ও তার সাথে পালিয়ে থাকা সদস্যদের ফেরত না দিয়ে উপায় থাকবে না। ভারতের জন্য সুবিধার জায়গা হচ্ছে বাংলাদেশের ভেতর তাদের বিশাল দালাল শ্রেণী। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত উপায়ে ভারত এদের তৈরি করেছে। শিল্প সাহিত্য সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতায় এরা গিজ গিজ করছে। এরা ইঙ্গিতের অপেক্ষায় থাকে।
সময়মতো তারা ভারতের পক্ষে দালালি করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিকশিত হতে হলে এই দালাল শ্রেণীকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি ভারতীয় আধিপত্যবাদ রুখে দিতে পারে এমন শক্তিগুলোর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’ এই নীতিতে পাকিস্তান আমাদের জন্য অন্যতম প্রধান বিকল্প। ভারতের হয়ে হাসিনা পাকিস্তানের সাথে প্রায় সবরকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে শত্রুতা করার কোনো সুযোগ এখন পাকিস্তানের নেই। তাদের সাথে একটা সুযোগই আছে বন্ধুত্ব তৈরি করার। পাকিস্তানকে বন্ধু বানিয়ে ভারতের শত্রুতাকে আমরা কাউন্টার করতে পারি। এতে প্রথম সুবিধা হবে সীমান্ত আগ্রাসন কমানো যাবে। সীমান্তে প্রতিনিয়ত পাখির মতো বাংলাদেশের মানুষ শিকার করার নীতি বদলাতে বাধ্য হবে ভারত।
বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তান ও ভারতের মনস্তত্ত¡ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারত তার বিপুল আয়তনের পাশাপাশি ধর্র্মীয় পরিচয়ের ভিন্নতা এবং পরমাণু বোমার অধিকারী হওয়ার অহঙ্কার নিয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক করতে আসে। সাথে আছে তাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দেয়ার কৃতিত্ব দাবি। চারপাশ থেকে ঘিরে থাকায় তারা মনে করে ভারত ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই। ভারতীয় শত্রুতার জবাবে পাকিস্তানের রয়েছে আমাদের প্রতি এক ধরনের বন্ধুত্বের মনোভাব। ভাগ হয়ে গেলেও স্বাধীনতার পাঁচ দশকে পাকিস্তান বিভিন্নভাবে সেই বন্ধুত্ব প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশীরা পাকিস্তানে গিয়ে উত্তম মেহমানদারি পায়।
বাংলাদেশীর প্রতি যেকোনো পাকিস্তানির আচরণ ভাইয়ের মতো। পাকিস্তানের করাচিতে কয়েক লাখ বাংলাদেশীর বাস। বিদেশী বলে কখনো তারা তাড়িয়ে দেয়ার মানসিকতা দেখায়নি। অন্যদিকে ভারত তাদের বাংলাভাষী লোকদের বেআইনিভাবে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশীদের নিশানা করে নাগরিকত্ব আইন করেছে। বাংলাদেশীরা চিকিৎসা নিতে, বেড়াতে কিংবা পড়াশোনার কাজে দেশটিতে গিয়ে বৈরী আচরণের শিকার হচ্ছে। বাংলাভাষায় কথা বলায় পিটিয়ে বাংলাদেশী হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। কেবল হাসিনা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরাই তাদের আপনজন।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কয়েক দফায় সফর করছে। তারা নতুন করে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়। বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও মুসলিম উম্মাহ প্রশ্নে তারা একযোগে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায়। এসব ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব উভয় দেশকে লাভবান করবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে তাদের সহযোগিতা আমাদের জন্য উপযোগী হবে। ভারতীয় আগ্রাসন মোকাবেলায় দুই দেশের জন্য সেটা লাভজনক।
ভারত মিথ্যা ও অপতথ্যে ভর করে প্রতিবেশীর ওপর চড়াও হয়। ইউনূস সরকার এই তথ্য সন্ত্রাসের শিকার। প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ সফরে গিয়ে ভারতের এ হীন নীতির প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সম্প্রতি পাকিস্তানি জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলকেও ইউনূস একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভুয়া খবর ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
অপারেশন সিন্দুর নামে মোদি সরকার পাকিস্তানে যে আক্রমণ চালিয়েছিল সেটাও এ ধরনের এক তথ্যসন্ত্রাসের ওপর ভিত্তি করে। কাশ্মিরে এক সন্ত্রাসী হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। অথচ এর পক্ষে কোনো প্রমাণ মোদি হাজির করতে পারেননি। মোদির মনগড়া তথ্যকে বিশ্বের কোনো দেশ গ্রহণ করেনি। তারপরও পাকিস্তানে আক্রমণ করে উচিত শিক্ষাও মোদি পেয়েছেন।



