তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেপথ্যের কর্তাব্যক্তি ২০০৮ সালের মাঝামাঝি ভারতে সফরে গিয়ে নিজের চাকরির নিরাপত্তার বিনিময়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন। জেনারেল মইন ইউ আহমেদের সেই পাতানো নির্বাচনে ভারতের স্বার্থরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার পথে মূল প্রতিবন্ধকতা হিসেবে সেনাবাহিনীকে চিহ্নিত করেন। অন্য দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের একমাত্র বাধা হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ভারত এবং শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার প্রকল্প হাতে নেয়। এতে ভারতীয়রা পরামর্শক এবং হাসিনা সরকার বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে।
গৌরবময় পেশাদার সেনাবাহিনী : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তৎকালীন মেজর জিয়ার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে বিদ্রোহ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। তার পর থেকে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনীর নিউক্লিয়াস হয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের গোড়াপত্তন করেছিল। স্বাধীনতার পর ভারত বাংলাদেশে স্বাধীন সেনাবাহিনীর অস্তিত্বের বিরোধিতা করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা-জনতা ভারতের এ অন্যায় আবদার প্রত্যাখ্যান করে। তবে সেনাবাহিনী অবহেলিত থেকে যায়। সেনাবাহিনীর সমান্তরালে জাতীয় রক্ষী বাহিনী গঠন করা হয়।
সেনাবাহিনীর অস্ত্র-প্রশিক্ষণের ঘাটতি থাকলেও রক্ষী বাহিনী দেশ দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। তবে ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীতে উন্নয়ন শুরু হয়। দ্রুত সেনাবাহিনী একটি পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হতে থাকে। প্রেসিডেন্ট জিয়ার বিচক্ষণতায় প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-গোলাবারুদ, পোশাক, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে পেশাদারত্ব সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী বিশ্বমানের সশস্ত্রবাহিনীর সাথে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করে। আসে জাতিসঙ্ঘে দায়িত্ব পালনের ডাক। দ্রুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসঙ্ঘে সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণের গৌরব অর্জন করে। একই সাথে দেশ গঠনে, পুনর্নির্মাণে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে জাতির পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি ঈর্ষণীয় সুশৃঙ্খল বাহিনীতে পরিণত হতে থাকে।
সেনাবিরোধী প্রচারণা : প্রথমে হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একটি মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি ‘কার্ল সিওভাক্কো’ নামে এক ব্যক্তির সাথে যৌথভাবে হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল রিভিউ জার্নালে ২০০৮ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে আগে ১৯ নভেম্বর ‘স্টেমিং দ্য রাইজ অব ইসলামিক একস্ট্র্রিমিজম ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেন। সেই নিবন্ধে জয় দাবি করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৫ শতাংশ সৈনিক কওমি মাদরাসা থেকে রিক্রুট করা হয়েছে। জয় এ ভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মৌলবাদী বলে চিহ্নিত করে মৌলবাদমুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। তথ্যটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা; কারণ সে সময় কওমি মাদরাসার সনদ সেনাবাহিনীতে যোগদানের যোগ্য ছিল না।
বিডিআর হত্যাযজ্ঞ : সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে প্রথমে ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরকে বেছে নেয়া হয়। সেনা অফিসাররা বিডিআরের নেতৃত্ব দেয়ায় সীমান্তে এ বাহিনীর সাহসী তৎপরতা, দক্ষতা এবং উচ্চ মনোবল ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সীমান্তে বিএসএফের চাপিয়ে দেয়া বেশ কয়েকটি সংঘর্ষে বিডিআর জওয়ানরা সাহসী ও পেশাদারিভবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে বিএসএফের সৈনিকরা অনেকে হতাহতের শিকার হয় এবং পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে। ফলে সম্মুখ সমরে পিছুহটা ভারত বিকল্প উপায়ে ‘চোরাগোপ্তা’ বা ‘কোভার্ট অপারেশন’এর- ষড়যন্ত্র করে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেই প্রজেক্ট হাতে নেয় বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। পরিকল্পনা মাফিক বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় সেনা অফিসারদের হত্যার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গোয়েন্দা অপারেশনের মাধ্যমে বিডিআর সৈনিক বিদ্রোহের আড়ালে এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মেজর জেনারেল থেকে ক্যাপ্টেন পদবির মোট ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হাসিনার পতনের পর বর্তমানে নানা ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা এবং তৎকালীন হাসিনা সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল।
দেশপ্রেমিক অফিসারদের চাকরিচ্যুতকরণ : বিডিআর হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ‘ইন্দো-হাসিনা’ এক ঢিলে অনেক পাখি মারার সুযোগ পেয়ে যায়। এক দিকে সেনাবাহিনীর মনোবলে চির ধরে, অন্য দিকে এ হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে প্রতিবাদকারী দেশপ্রেমিক অফিসারদের চাকরিচ্যুত করতে থাকে। ফলে পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা এবং পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদকারীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হিসেবে বহিষ্কার করার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব অত্যন্ত দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা করে।
অভ্যন্তরীণ অভিযান : এরপর শুরু হয় চিরুনি অভিযান। ধার্মিক, সৎ এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের চিহ্নিত করে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়। এমনকি কোনো অফিসার এশা ও ফজরে মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করেন তাদেরও গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয় এমন অভিযোগ রয়েছে। দেশপ্রেমিক বলে চিহ্নিত অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তাদের ‘ডাম্পিং পোস্টিং বা ‘জমাখানা’ হিসেবে পরিচিত স্থানগুলোতে বদলি করা হয়। পদোন্নতির বিষয়ে ধার্মিক বিশেষ করে দাড়িওয়ালা অফিসারদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত করা হয়। এ সময় কিছু চিহ্নিত সিনিয়র অফিসারকে জুনিয়র অফিসারদের দাড়ির প্রতি স্পর্শকাতরতা প্রকাশ করতে দেখা যেত। এ জন্য অনেকে তাদের ধর্ম-কর্ম বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে চলতেনÑ যেন সিনিয়র অফিসার বা হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়তে না হয়। এভাবে গোয়েন্দাজালের মাধ্যমে সেনা অফিসারদের মধ্যে একটি ভীতির সংস্কৃতি সৃষ্টি করা হয়। দু’জন অফিসার কথা বলার সময় সতর্ক থাকতেন তৃতীয় কোনো অফিসার শুনে ফেলছেন কি না! খুব কাছের না হলে অন্যকে গুপ্তচর বলে ভয় করা হতো। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমনভাবে জাল বিস্তার করে রেখেছিল যে, এর অপারেটররা সহকর্মীদেরও ক্ষতি করতে দ্বিধা করতেন না।
পেশাদারত্ব দুর্বলকরণ : সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল মুজিব বন্দনা! সিনিয়র অফিসাররা স্বেচ্ছায় বা বাধ্য হয়ে মুজিব বন্দনায় নেমেছিলেন। বিভিন্ন পেশাগত বক্তৃতার আগে-পরে, মাঝখানে অপ্রাসঙ্গিকভাবে হলেও মুজিব বন্দনায় মেতে উঠতেন। এটি হয়ে উঠেছিল পদোন্নতি বা ভালো পদায়নের পূর্বশর্ত। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, পেশাদারত্বের সব আচরণনীতি ভেঙে জেনারেল সাহেব প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে প্রকাশ্যে কদমবুচি করেছেন। এভাবে যোগ্যতার চেয়ে ব্যক্তিগত আনুগত্য এবং মুজিব বন্দনা পদোন্নতি বা পদায়নের সিঁড়ি হয়ে উঠেছিল বলে অনেকে মনে করেন। ফলে র্যাবের মেজর জিয়া লে. কর্নেল হওয়ার যোগ্য না হলেও তাকে জেনারেল পর্যন্ত বানানো হয়েছে! এ ধরনের অসংখ্য উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে।
চেইন অব কমান্ড নিষ্ক্রিয়করণ : ফ্যাসিস্টদের সবচেয়ে বড় আঘাত ছিল সেনাবাহিনীর কমান্ড নিষ্ক্রিয়ের অপচেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক সিদ্দিকী একটি সমান্তরাল চেইন অব কমান্ড তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। তিনি সেনাপ্রধানদের ওপর প্রভাব সৃষ্টির সর্বপ্রকার চেষ্টা করেছিলেন। কোনো কোনো সেনাপ্রধান এটি না মানায় রোষানলে পড়েন। সেই সাথে পদোন্নতি, বদলি, চাকরিচ্যুতি ইত্যাদি বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হরহামেশা প্রভাব বিস্তার করত। এ বিষয়ে জনশ্রুতি রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শিরায় শিরায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ সক্রিয় ছিল। ফলে গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত অনেক দেশপ্রেমিক অফিসার অসহায় বোধ করতেন।
অপেশাদার কিন্তু উচ্চাভিলাষী সেনাপ্রধান নিয়োগ ছিল কমান্ড চেইনকে দুর্বল করার একটি বড় হাতিয়ার। আরো কিছু বিষয় সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার উপাদান হিসেবে কার্যকর ছিল। র্যাবে অফিসারদের পোস্টিং হলেও তারা পুরোপুরি জিয়া এবং তারেক সিদ্দিকীর নিয়ন্ত্রণে থেকে অন্যায়-মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে পেশাদারত্ব হারিয়ে ফেলতেন। অন্য দিকে আর্মিকে সুকৌশলে ব্যবসাবাণিজ্যে জড়িয়ে ফেলা হয়। রাস্তাঘাট, ব্রিজ নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য এবং যন্ত্রপাতির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় কিছু সিনিয়র অফিসার দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন আর সংশ্লিষ্ট জুনিয়র অফিসাররা সোলজারিংয়ের চেয়ে ব্যবসাটিকে বেশি পছন্দ করতে গিয়ে পেশাদারত্ব হারিয়েছেন।
মৌলিক দর্শন বদলের চেষ্টা : ভিন দেশের আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসন প্রতিরক্ষাই একটি দেশের সেনাবাহিনীর মৌলিক দর্শন হয়ে থাকে। কিন্তু সুস্পষ্ট সেই আধিপত্যবাদকে সাদরে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আমাদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছিল। প্রশিক্ষণের মূল চেতনা সুকৌশলে পরিবর্তনের চেষ্টা হয়েছিল। যে নেরেটিভ দিয়ে ‘ওয়ার গেমের’ প্রতিরক্ষা কৌশল সাজানো হতো তার কেন্দ্রবিন্দু বদলে ফেলা হয়েছিল। তদুপরি সেনা অফিসারদের মধ্যে ভারত প্রেম চর্চায় মিলিটারি একাডেমিতে তরুণ অফিসারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে ভারতীয় সেনাপ্রধানকে দিয়ে সালাম গ্রহণ করানো হয়। সেনানিবাসে অফিসার ক্লাবে নিয়মিত হিন্দি ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার সুকৌশলে হাসিনা ভারতের সাথে সামরিক ‘সমঝোতাস্মারক’ স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে ভারতের নিম্নমানের সামরিক অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি আমদানির চুক্তি হয়েছিল। যারা আধিপত্য ও আগ্রাসন চালাচ্ছে তাদের তৈরি অস্ত্র আমাদের কিনতে বাধ্য করা হয়!
সেনাবাহিনীকে জঙ্গিবাদে জড়ানো : ফ্যাসিস্ট সরকার সেনাবাহিনীকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে ইসলাম ধর্মের চর্চার গন্ধ পাওয়া যেত সেখানে তা কঠোর হস্তে দমন করা হতো। অফিসার ক্যাডেট নিয়োগের বেলায় আইএসএসবিতে কঠোর স্ক্রিনিং করে ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগী প্রার্থীদের বাদ দেয়া হতো। ধার্মিক অফিসারদের জঙ্গি নেতা তকমা দিয়ে কল্পিত নেরেটিভ প্রচার করা হতো। মেজর (অব:) জাহিদকে জঙ্গি নেতা বলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর মেজর (অব:) সিনহা হত্যাকাণ্ড এবং ২০১৭ সালে সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে লে. কর্নেল আজাদ নিহত হওয়ার ঘটনা একই নেক্সাসের অংশ। সেরা চৌকস অফিসার মেজর জিয়াকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। মিথ্যা জঙ্গি অভ্যুত্থানের নাটক সাজিয়ে অনেক মেধাবী অফিসারকে চাকরিচ্যুত করে সেনাবাহিনীকে মেধাশূন্য করার প্রচেষ্টা চালানো হয়!
আল্লাহর শুকরিয়া যে, দেরিতে হলেও আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু যে ক্ষতি তারা করে গেছে, আমাদের সেনাবাহিনীর তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তবে আশার কথা হলো, আমাদের সেনাবাহিনীর বেশির ভাগ সদস্য দেশপ্রেমিক ও পেশাদার। যার কারণে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে না দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনী দেশ-জাতির কল্যাণে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নেয়। কাজেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা থাকলে খুব দ্রুত ক্রান্তিকাল কাটিয়ে সেনাবাহিনী তার আগের মর্যাদা ও গৌরবের জায়গায় পৌঁছতে পারবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক