২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ পোশাকসংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেয়। নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য ‘পেশাদার শালীন পোশাক’ পরার কথা বলে দেয়। এতে ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যরে পোশাক পরিহার করার নির্দেশনা ছিল। পুরুষদের জন্য জিন্স ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহারের কথা বলা হয়। সামাজিক সংগঠন, নারীবাদীরা এবং বিভিন্ন ব্যক্তি পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পোশাকসংক্রান্ত নির্দেশনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের আর্থিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক, যে দায়িত্ব হাসিনা সরকারের সময় তারা পালন করতে না পারায় লুটেরা শ্রেণী দেশের পুরো ব্যাংক ব্যবস্থাকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। এ ছাড়া এটি দেশী-বিদেশী বিপুল মুদ্রা সংরক্ষণ করে। এর নিরাপত্তা বিধানেও বিগত সরকারের সময় ব্যাংকটি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। পোশাক বিতর্কে মিডিয়া ও সুশীলসমাজ যেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, এমন সচেতনতা তারা ব্যাংকটির বিভিন্ন ধরনের স্খলনের সময় দেখায়নি। আর্থিক খাত রক্ষা ও দেশের অর্থভাণ্ডার পাহারা দেয়ার চেয়ে তাদের কাছে এই ব্যাংক কর্মকর্তাদের পোশাক সংবেদনশীলতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল!
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে জানানো হচ্ছে, ড্রেস কোড-সংক্রান্ত ঘোষণাটি ছিল পরামর্শমূলক- নির্দেশনামূলক নয়। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব বয়সের নারী ও পুরুষের মধ্যে পোশাকের একটি ইউনিটি আনতে চেয়েছিল। তারা এটিও স্বীকার করছে, তাদের বলার ধরনটি হয়তো সঠিক ছিল না। তাই তারা ভুল সংশোধন করে নিয়েছে। তার পরও দেশী-বিদেশী মিডিয়া চরম নেতিবাচক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। দেশের প্রায় প্রতিটি মিডিয়া এ নিয়ে খবর ও বিশ্লেষণ ছেপেছে। কিছু বিদেশী মিডিয়াও এ নিয়ে বাড়তি উৎসাহ দেখাচ্ছে। অথচ এই মিডিয়া একেবারে নীরব ছিল- এই ব্যাংক যখন তার মূল কাজটি ঠিকভাবে করেনি সেই সময়। দেশের আর্থিক ব্যবস্থার পাহারাদার হওয়ার বদলে বাংলাদেশ ব্যাংক তখন নিজেই দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে সহায়তা করছিল। বাংলাদেশের ব্যাংকের ভেতরে অপরাধী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। তারাই দেশের আর্থিক ও ব্যাংক খাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে। এতে হাসিনার অলিগার্কদের জন্য অর্থ লুটে নেয়ার সুযোগ উন্মুক্ত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির একটি ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। এটিই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্পর্শকাতর প্রথম চুরির ঘটনা। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার এক কর্মচারী টাকার বান্ডিল নিয়ে সরে পড়েন। ওই সময়ে কয়েকজনের সন্দেহ হলে তল্লাশি করে তার কাছে থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়। সিসিটিভিতে দেখা যায়, তিনি ব্যাংকের নিরাপদ এলাকা থেকে টাকা চুরি করেন। হাতেনাতে ধরার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ছেড়ে দেয়া হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে। যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বাধিক সুরক্ষিত একটি এলাকা। তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয় অত্যন্ত উঁচুমানের। ইন্ডিয়ান স্টেট ব্যাংকের এই কর্মচারীকে বন্ধুত্বের খাতিরে ছেড়ে দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই চুরিকে অত্যন্ত হালকাভাবে নিয়েছে। একে তারা দেখেছে কয়েক হাজার টাকা চুরির ঘটনা হিসেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় এটি প্রভাব ফেলতে পারে, সেটি তারা ভাবেনি। সেই সময় বাংলাদেশের মিডিয়ায় খবরটি গুরুত্ব পায়নি। খোঁজাখুঁজি করেও এ খবরটি মিডিয়ায় পাওয়া যাবে না। প্রতিবেশী চুরি করেছে, সম্ভবত এই লজ্জায় আমাদের মিডিয়া এ খবরকে এড়িয়ে গেছে। এর পরের বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নজিরবিহীন চুরির ঘটনাটি ঘটে। ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙে ৮০ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার এমন নজির দ্বিতীয়টি আর নেই।
এত বড় ঘটনা ঘটার পরও এ নিয়ে প্রথমে কোনো খবর জানা যায়নি। ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে ভারতে এক অনুল্লেখযোগ্য সম্মেলনে যোগ দিতে চলে যান। দেশের মিডিয়ায় খবরটি এলো ফিলিপাইনে প্রকাশিত এক সংবাদ সূত্রে। বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি খবরটি অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠুনকো হয়ে পড়ার কারণে।
চোর কত টাকা নিয়ে গেল সেটি নয়; বরং চোর যে পথ চিনে গেল- সেটিই ছিল গুরুতর বিষয়। কিন্তু এ নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ায় তেমন কোনো উদ্বেগ দেখা যায়নি। মূল ধারার মিডিয়ায় আজ পর্যন্ত এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হয়নি। ড্রেস কোড নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রীতিমতো আত্মসমর্পণ করেছে, তার পরও মিডিয়া ও সুশীলসমাজ তাদের বিরুদ্ধে লেগে আছে। তারা খুঁজে বের করতে চায়- ‘ড্রেস কোডের কালপ্রিট’ কারা। তাদের সাজা নিশ্চিত করতে সবাই একপায়ে খাড়া। কিন্তু যারা অর্থ চুরি করে নিয়ে গেল, তাদের বিরুদ্ধে এরা পুরোপুরি বেখবর।
একটি শ্রেণী অত্যন্ত পরিকল্পিত উপায়ে প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে- নারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্রেস কোড নির্দেশনা। এর পেছনে কারা রয়েছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দবি জানাচ্ছেন তারা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তিন দিনের মাথায় গভর্নরের আদেশে ড্রেস কোড-সংক্রান্ত নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করে নেয়। তার পরও ৫৪ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। তারা এ উদ্যোগকে নারীর মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রাতিষ্ঠানিক রুচি ও সংস্কৃতির জন্য লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের খারাপ নজির বলে আখ্যা দিয়েছেন তারা। বিশিষ্ট নাগরিকদের এই বিবৃতি পড়ে মনে হতে পারে- দেশের অর্থভাণ্ডার ডাকাতি হয়ে যাক, তাতে কোনো সমস্যা নেই কিন্তু পোশাকের বিষয়ে কিছু বলা যাবে না এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। তারা মনের সুখে পোশাক পরে ঘুরে বেড়াতে পারলেই হবে; যে কারণে এদের ব্যাংক দেউলিয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কখনো বিবৃতি দিতে দেখা যায় না। এমনকি এই গোষ্ঠী দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্বার্থরক্ষায় সচেতনতা দেখায় না; বরং তারা দেশের মানুষের মৌলিক স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মোটেও পরোয়া করে না।
যে কারণে সুলতানা কামালের বিবৃতি দেয়ার অধিকার নেই
৫৪ বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন কথিত মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তিনি এ ধরনের দলের পালের গোদা হয়ে থাকেন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে হাসিনা নাৎসি শাসন কায়েম করেছিলেন। রীতিমতো গণহত্যা চালিয়ে সব তিনি হজম করে ফেলেছিলেন। গুম-খুন করা যখন তার জন্য পান্তাভাত হয়ে গেল, বৈধভাবে প্রতিবাদ করার সব অধিকার কেড়ে নেয়া হলো, দেশের মানুষের এই নরক থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোনো পথ যখন পাচ্ছিল না, তখন জাতিসঙ্ঘসহ কিছু বৈশ্বিক সংগঠন হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলেছিল। যুক্তরাষ্ট্র খুনে বাহিনী র্যাব ও হাসিনার মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় ২০২১ সালে। তাতে হাসিনা মানবাধিকার লঙ্ঘন কমাননি। কিন্তু তার প্রয়োজন ছিল দেশের বাইরে থেকে আসা চাপ মোকাবেলা করে পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনা। তার সেই চেষ্টায় এগিয়ে আসেন তার বান্ধবী সুলতানা কামাল। ইন্ডিয়া টুডের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ২০২২ সালে সুলতানা কামাল জাতিসঙ্ঘের বাংলাদেশবিষয়ক মানবাধিকার প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করেন। শাপলা গণহত্যা ও জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসঙ্ঘের দেয়া তালিকা ভুল দাবি করেন তিনি ওই সাক্ষাৎকারে। তার বক্তব্যের টোন হচ্ছে- লাশ গোনা যেহেতু ভুল হচ্ছে, সুতরাং হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। হাসিনার যা খুশি বাংলাদেশ করতে দিক।
ইন্ডিয়া টুডের সাথে সেটি ছিল সুলতানা কামালের একটি পাতানো সাক্ষাৎকার। তারা প্রশ্ন করে জাতিসঙ্ঘ লাশের তালিকার বিষয়ে অধিকারের মতো বেসরকারি সংস্থার ওপর যে নির্ভর করছে তা কি ঠিক হয়েছে। তিনি উত্তর দেন- এটি বিজ্ঞতাপূর্ণ অথবা যথোচিত ছিল না।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি অপ্রাসঙ্গিকভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার টেনে আনেন। যেখানে তিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে অভিযুক্ত করেন। তার মতে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান দু’টি হাসিনার যুদ্ধাপরাধ বিচার কার্যক্রমে সাহায্য করছে না। তাদের এ অবস্থানকে তিনি ‘নট ফেয়ার’ বলছেন। যেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিদক দলের ওপর তখন বিচারিক হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিলেন হাসিনা। এ ধরনের জঘন্য এক বিচারে কেন মানবাধিকার সংগঠন সমর্থন জোগাচ্ছে না- সে জন্য সুলতানা কামাল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান দু’টির ওপর ক্ষিপ্ত।
সাক্ষাৎকারে ইন্ডিয়া টুডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম সামরিক স্বৈরশাসক উল্লেখ করেন। তার সংযোগে ১৯টি মিলিটারি ক্যু হওয়ার দাবি করা হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ দাবি ছিল হাসিনার সময়ে, যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সেটি একই রকম স্কেলে খালেদা জিয়ার দু’বার ক্ষমতার থাকার সময়েও হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের মতে, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ সাল থেকে সন্ত্রাস চাপিয়ে দিয়েছে দেশের ওপর। এখন তাই শুধু হাসিনা সরকারের ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। তা হলেই কেবল হাসিনার ওপর মানবাধিকারসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা ন্যায়সঙ্গত হবে। সুলতানা কামালের সাথে প্রশ্নোত্তরের পাশাপাশি পত্রিকাটি বাংলাদেশ নিয়ে যে ভয়াবহ মূল্যায়ন উদ্দেশ্যমূলক পুশ করেছে তাতে যেকোনো বিবেকবান মানুষ চরম ব্যথিত হবেন। সাংবাদিকতার নামে মিথ্যা বানোয়াট আর ভুল তথ্য ঠেসে দিয়েছেন তারা। সুলতানা কামাল এগুলোকে কবুল করে হাসিনার পক্ষে কামলা খেটেছেন।
সাক্ষাৎকারে সুলতানা কামাল হাসিনার এনফোর্স ডিসএপিয়ারেন্স (গুম) বাংলাদেশের একটি প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা বলে উল্লেখ করে বিশেষ রেজিম কিংবা রাজনৈতিক দলের আলাদা সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন। বাস্তবতা হচ্ছে গুমের সংস্কৃতি হাসিনার আগে বাংলাদেশ কেউ চালু করেনি। তিনি একে পদ্ধতিগত অস্ত্র বানান। পুলিশ-র্যাব-সামরিক বহিনীর মধ্য থেকে একটি বিশেষ বাহিনী এ জন্য গড়ে তোলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এ-সংক্রান্ত ভয়াবহ সব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। র্যাবের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে স্বীকার করা হয়, হাসিনার নির্দেশে কিভাবে গুম পরিচালিত হতো। মাসের শেষের দিকে বিচারবহিভর্ূত হত্যা বেড়ে যেত। এর কারণ ছিল বিশেষ ইউনিটগুলো তাদের কোটা পূরণ করার জন্য মাসের শেষে মরিয়া চেষ্টা চালাত। যারা যত বেশি হত্যা করত, তদের জন্য তত বেশি পুরস্কার মিলত। প্রমোশন, সুযোগ-সুবিধা তাদের বাড়িয়ে দেয়া হতো। একটি শ্রেণী এর লোভে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা করত। এরাই গুম করত। সুলতানা কামাল গুমকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে একটি স্বাভাবিক ঘটনা উল্লেখ করে হাসিনার হাতের রক্তের দাগ মুছে দেয়ার কাজটি করেছেন।
মানবাধিকারকর্মীর সাইনবোর্ড নিয়ে সুলতানা কামাল বাংলাদেশকে এক মৃত্যুপুরী বানাতে সহযোগিতা করেছেন। শুধু হাসিনার সময় নয় স্বাধীনতার পর থেকে তিনি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন। পোশাক নিয়ে কথা বলার অধিকার তাই তিনি রাখেন না। তাকে আগে মানবাধিকারের বিরুদ্ধে নেয়া অবস্থানের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। স্বীকার করতে হবে, হাসিনা গুম-বিচারবহিভর্ূত হত্যাসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।
ইন্ডিয়া টুডের নির্লজ্জ সাংবাদিকতা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্রেসকোড নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে বাংলাদেশের মিডিয়া ও সুশীলদের মতো উদ্বিগ্ন। ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও পত্রিকাটি আক্রমণাত্মক শিরোনাম- ‘তালেবান ইরা ইন বাংলাদেশ?’ তাদের ওয়েবসাইটে ঝুলিয়ে রেখেছে।
ভারত সরকার তালেবানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। তালেবানের সাথে তাদের দূতিয়ালি চলছে। তারা ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে আসা-যাওয়া শুরু করেছে। তালেবানের পোশাক স্পর্শকাতরতা ভারতের জন্য এখন কোনো সমস্যা হচ্ছে না; অথচ ইন্ডিয়া টুডে ইউনূস সরকারকে ‘তালেবান ইরা’ অপবাদ দিয়ে দিলো। ভারতীয় মিডিয়ার এই নির্লজ্জ অপসাংবাদিকতা দেশটির মান-মর্যাদা প্রতিনিয়ত খর্ব করছে। তাদের এ ব্যাপারে কোনো হুঁশ নেই।